দক্ষিণবঙ্গ

দাসপুরের টেরাকোটার প্রাচীন মন্দির ভেঙে ফেলায় বিতর্ক, তদন্তে প্রশাসন
 

কাজলকান্তি কর্মকার, ঘাটাল: দাসপুর-১ ব্লকের হরিরামপুর গ্রামে টেরাকোটার কাজে সমৃদ্ধ ১৫০ বছরের শীতলানন্দ শিবমন্দির ভাঙা নিয়ে তীব্র বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছে। ইতিহাসের সাক্ষীকে লোপাট করার জন্যই প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী মন্দিরটিকে ভেঙে নষ্ট করা হচ্ছে বলে মহকুমার বিভিন্ন স্তরের মানুষ মন্তব্য করেছেন। ওই মন্দির কমিটির সভাপতি রঞ্জিত বাগ বলেন, ‘মন্দিরটি ধ্বংসপ্রায় হয়ে পড়েছিল। পুজোর আগে গ্রামে সভা করে সিদ্ধান্ত নিয়ে মন্দিরটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। আমরা ওখানে ৩০ লক্ষাধিক টাকা দিয়ে সুদৃশ্য একটি নতুন মন্দির তৈরি করব। এনিয়ে আমাদের গ্রামে রেজ্যুলেশনও রয়েছে।’ 
দাসপুর-মেদিনীপুর রাস্তার পাশেই ওই মন্দিরটি ছিল। মন্দিরটি ১৮৮৫ সালে তৈরি হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। অসংখ্য টেরাকোটার কাজে সমৃদ্ধ একটি ঐতিহ্যশালী মন্দির। বিশেষ করে ওই মন্দিরের টেরাকোটা শিল্প পর্যটকদের আকৃষ্ট করত। ওই ধরনের টেরাকোটার মন্দির ঘাটাল মহকুমায় খুব কমই রয়েছে। মন্দিরটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে ভগ্নপ্রায় অবস্থায় ছিল। সম্প্রতি দেখা যায়, গ্রামবাসীরা হঠাৎ করেই একদিন ওই মন্দিরটিকে ভেঙে ফেলেছেন। টেরাকোটার কাজগুলিও সংরক্ষণ করে রাখা হয়নি। 
নাড়াজোলের রাজ পরিবারের সদস্যদের দাবি, ওই মন্দির তাঁদের পূর্বপুরুষের আমালে তৈরি হয়েছিল। মন্দির নির্মাণের সময় সেবাইতদের প্রচুর জমি জায়গা দেওয়া হয়েছিল, যাতে মন্দিরের নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। তা সত্ত্বেও মন্দিরটি দীর্ঘদিন রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়নি। সেই কারণেই মন্দিরটি ক্রমশ নষ্ট হতে শুরু করেছিল। প্রাচীন মন্দিরটি ভাঙার বিষয়টি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এবং এর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা না নিলে আমরা আদালতের দ্বারস্থ হব বলে রাজ পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। 
স্থানীয় ইতিহাস নিয়ে লেখালেখি করেন নাড়াজোলের বাসিন্দা প্রাবন্ধিক দেবাশিস ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘প্রাচীন মন্দির ভেঙে ফেলা মানে ওই এলাকার ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়কে মুছে ফেলা। সরকার যদি এই মন্দিরগুলির রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা করত, তবে হয়তো এই সমস্যার সৃষ্টি হতো না।’ রাজপরিবারের সদস্য তথা নাড়াজোল আর্কিওলজিক্যাল প্রিজারভেশন কমিটি সম্পাদক সন্দীপ খান মন্দির ভাঙার বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। তিনি বলেন, ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রিজারভেশন অব হিস্টোরিক্যাল মনুমেন্ট অ্যাক্ট ১৯৫৭ ও ১৯৫৮ অনুযায়ী, প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্য ধ্বংস করা একটি দণ্ডনীয় অপরাধ। আমরা এই ঘটনায় রাজ্য প্রত্নসম্পদ দপ্তরে অভিযোগ জানিয়েছি এবং জেলা প্রশাসনেও জানিয়েছি।’
সন্দীপবাবুদের অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। দাসপুর-১ বিডিও দীপঙ্কর বিশ্বাস এনিয়ে তদন্ত শুরু করেন। তিনি বলেন, ‘জেলা প্রশাসনের নির্দেশে আমি মন্দিরের বিষয়ে একটি রিপোর্ট পাঠিয়েছি। বাকিটা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে।’
(টেরাকোটার অমূল্য শিল্পসৃষ্টি মন্দিরের দেওয়ালে (উপরে)। সেই শিল্পের ধ্বংসস্তূপ (নীচে)। বুধবার তোলা নিজস্ব চিত্র)
16h 16m ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

বিজ্ঞান গবেষণা ও ব্যবসায় আজকের দিনটি শুভ। বেকাররা চাকরি প্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.৫৮ টাকা৮৫.৩২ টাকা
পাউন্ড১০৫.৮০ টাকা১০৯.৫৪ টাকা
ইউরো৮৮.০৩ টাকা৯১.৪০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা