দক্ষিণবঙ্গ

‘মাতৃযান’ অ্যাম্বুলেন্সের চালকরা ভাড়া নিয়ে খুশি নন, প্রতি স্টেজে বৃদ্ধির দাবি

সংবাদদাতা, নবদ্বীপ: বাজারে দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধি ঘটেছে, কিন্তু সরকারি অনুদান বাড়েনি নিশ্চয় যান অ্যাম্বুলেন্স (মাতৃযান) প্রকল্পের খাতে। ফলে সমস্যায় পড়েছেন নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালের নিশ্চয় যান চালকরা। এই নিশ্চয় যান শুধুমাত্র প্রসূতি এবং নবজাতককে (এক বছর পর্যন্ত) প্রসবের পর বাড়ি পৌঁছে দিয়ে আসে। এমনকী গর্ভবতী মায়েদের বাড়ি থেকে নিয়েও আসতে হয়। কোন গর্ভবতী মায়ের শারীরিক কোনও বিশেষ সমস্যা হলে তখন তাঁদের অন্য কোন উচ্চ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য স্থানান্তরিত করতে হয়। সে ক্ষেত্রে ওই রোগীকে নিয়ে যেতে হয় নিশ্চয় যান চালকদের। বিনিময়ে সরকারিভাবে যে ভাড়া পাওয়া যায়, দূরত্ব অনুযায়ী তা খুবই কম। তাতে আর্থিকভাবে খুবই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে নিশ্চয় যান (মাতৃযান) চালকদের। তাঁদের দাবি, এবিষয়ে সরকারিভাবে একটু ভাবনা-চিন্তা করা উচিত। 
এ প্রসঙ্গে নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালের সুপার অনঘ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ওদের এই আবেদন লিখিত আকারে জানালে, সেটা আমরা স্বাস্থ্যদপ্তরকে জানাব। এই নিশ্চয় যানের ভাড়া কিলোমিটার প্রতি সরকারি যে রেট আছে, সেই রেট অনুযায়ী বিল হয়। আবার যদি নতুন করে অর্ডার হয় তাহলে আমরাও সেভাবেই বিল করব। আমাদের এখান থেকে কৃষ্ণনগরের দূরত্বটা এমনই তাতে হয়ত কিছুটা সমস্যা হয়। এই বিষয়টি নিয়ে ওদের সাথে একাধিক বার কথা হয়েছে। ওদেরকে আশ্বস্ত করা হয়েছে আপনারা রেট চার্ট দিয়ে লিখিত দিন, আমরা সেটা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পাঠাব। এটার পরিবর্তন হলে সারা রাজ্যের ক্ষেত্রেই সেটা প্রযোজ্য হবে, শুধুমাত্র নবদ্বীপের জন্য নয়।
নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিশ্চয়ই যান প্রকল্পে ৭টি গাড়ি চলে। চালকরা জানালেন, ২৪ ঘণ্টা তাঁদের হাসপাতালেই বসে থাকতে হয়। কখন রোগী নিয়ে যাওয়ার ডাক পড়বে। অপেক্ষার সময় তাঁরা অন্য কোন ভাড়াও নিয়ে যেতে পারেন না। অথচ এর জন্য কোন পারিশ্রমিক পাওয়া যায় না। যে ভাড়া সরকারিভাবে পাওয়া যায়, তাতে তেল খরচ, ড্রাইভারের বেতন দিয়ে কিছুই থাকে না। প্রতিদিন ঘাটতি হচ্ছে। তবুও বিকল্প কোনও রাস্তা না থাকায় এই কাজ করতে হচ্ছে।
এক নিশ্চয় যানের চালক জানালেন, ২০১১ সালে শেষবারের মতো সরকারিভাবে টেন্ডার হয়েছিল। সেই থেকে এখনও পর্যন্ত একই রেট চলছে। এই প্রকল্পে ১০২ নম্বরে ফোন করলে যেকোন রোগীর পরিবার গাড়ি পেতে পারেন হাসপাতালে পৌঁছতে। এই গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে অ্যাম্বুলেন্সের ক্ষেত্রে গাড়ির তেল খরচ বাবদ ১৮ টাকা কিলোমিটার, আর মাতৃযানের ক্ষেত্রে ৮ টাকা কিলোমিটার দেওয়া হয়। মাসের শেষে হাসপাতাল থেকেই বিল দেওয়া হয়।  এছাড়া প্রতিটি গাড়ি চালককে  ২৪ ঘণ্টা ডিউটি করতে হয়। কখন রোগী নিয়ে যেতে হবে, তার জন্য অপেক্ষায় থাকতে হয়। তার জন্য আলাদা কোনও পারিশ্রমিক মেলে না।
অপর এক নিশ্চয় যান চালক জানালেন, এক থেকে ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত ১৫০ টাকা, ১১ থেকে ২০ কিলোমিটার পর্যন্ত ২৫০ টাকা, ২১ থেকে ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত ৩৫০ টাকা, ৩১ কিলোমিটার থেকে ৫৬ কিলোমিটার পর্যন্ত ৪৫০ টাকা দেওয়া হয়। কৃষ্ণনগর হাসপাতাল পর্যন্ত গাড়ি নিয়ে যেতে প্রায় ৪০০ টাকা তেল খরচই লেগে যায়। যেভাবে গাড়ির তেলের দাম এবং দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধি ঘটছে, সেই পরিস্থিতিতে নিশ্চয় যান চালকরা সন্তুষ্ট নন।  -নিজস্ব চিত্র
16h 16m ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

বিজ্ঞান গবেষণা ও ব্যবসায় আজকের দিনটি শুভ। বেকাররা চাকরি প্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.৫৮ টাকা৮৫.৩২ টাকা
পাউন্ড১০৫.৮০ টাকা১০৯.৫৪ টাকা
ইউরো৮৮.০৩ টাকা৯১.৪০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা