নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর: উৎসবের দিনগুলিতে নারী নিরাপত্তা সুরক্ষিত করতে মুর্শিদাবাদ জেলাজুড়ে বাড়তি মহিলা পুলিস মোতায়েন করা হচ্ছে। ইউনিফর্মের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও ঘুরবে তারা। প্রতিটি বড় পুজোর মণ্ডপে থাকবে উর্দিধারী পুলিস। আর রাস্তায় পেট্রলিং করবে উইনার্স টিমের সদস্যরা। বড় বড় রাস্তার সংযোগস্থলে পুলিসের ক্যাম্প তৈরি করা হচ্ছে। পুলিস অ্যাসিস্ট্যান্ট বুথ তৈরি করে সাধারণ মানুষকে সাহায্য করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যে কোনও সমস্যায় পড়লে সাধারণ মানুষ পুলিসের কাছ থেকে সাহায্য পাবেন।
বহরমপুর ও লালবাগ শহরে বেশ কিছু বড় বড় পুজো মণ্ডপের বাড়তি ভিড় হয়। যান নিয়ন্ত্রণ করা তাই পুলিসের কাছে বাড়তি চ্যালেঞ্জ। তাই রবিবার জেলা পুলিসের তরফ থেকে গাইড ম্যাপ প্রকাশ করে জেলাবাসীকে পুজোর পথ নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। এদিন বহরমপুর রবীন্দ্র সদনে ট্রাফিক ইউনিটের এই প্রোগ্রামে হাজির ছিলেন জেলার পুলিস সুপার সূর্যপ্রতাপ যাদব, অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) দিননারায়ণ ঘোষ, অতিরিক্ত পুলিস সুপার (সদর) মাজিদ ইকবাল খান, অতিরিক্ত পুলিস সুপার (ট্রাফিক) সৌমজিৎ বড়ুয়া, মহকুমা শাসক শুভঙ্কর রায় প্রমুখ। এদিন একসঙ্গে বহরমপুর, কান্দি, লালবাগ, বেলডাঙা, ডোমকল ও জিয়াগঞ্জ শহরের পৃথক গাইড ম্যাপ প্রকাশ করা হয়।
মুর্শিদাবাদ পুলিস সুপার সূর্য প্রতাপ যাদব বলেন, আশা করছি, সাধারণ মানুষ খুব ভালোভাবে পুজো উপভোগ করতে পারবেন। সকলকে আমাদের তরফ থেকে শারদীয়ার শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
জেলার প্রধান শহরগুলোর গাইড ম্যাপ এদিন উদ্বোধন করা হয়। সেগুলি আমরা সাধারণ মানুষের মধ্যে বিতরণ করে দিচ্ছি। কোথায় কোন রুটে কীভাবে গেলে বড় পুজোগুলি নির্বিঘ্নে দেখা যাবে, তার সম্পূর্ণ গাইড ম্যাপ এদিন প্রকাশ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, নারীদের নিরাপত্তার জন্য রাস্তায় বাড়তি পুলিস মোতায়ন করা হয়েছে। সাদা পোশাকের পুলিসও থাকবে। প্রতিটি মণ্ডপে পুলিস যেমন থাকবে, তেমন পথে পিঙ্ক পেট্রলিং বাহিনী নারীদের নিরাপত্তা সুরক্ষিত করবে।
উল্লেখ্য, বহরমপুর শহরের ভিতর দিয়ে জাতীয় সড়ক গিয়েছে। তাই সেই রাস্তায় পুজোর ক’টা দিন ট্রাক চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। শহরের বেশ কিছু রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। দর্শনার্থীরা যদি চারচাকা গাড়ি নিয়ে আসেন, তাহলে বড় গাড়ির ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট জায়গায় পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করেছে পুলিস। বহরমপুর শহরে জগন্নাথ ঘাট, রাধা ঘাট দশমুণ্ড কালীবাড়ি, ভৈরবতলা ঘাট, গোপাল ঘাট, পুরাতন কান্দি বাস স্ট্যান্ড, বাবুলবোনা, বিষ্ণুপুর কালীবাড়ি মোড়, কাশিমবাজার রেলগেট, মাতৃসদন, সিআরপিএফ ক্যাম্প সদর হাসপাতাল, বোল্ডার বাবার মন্দিরের সামনে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অপরদিকে হরিদাসমাটি পাগলা সঙ্ঘের মাঠ, কুমার হস্টেল মাঠ, শক্তি মন্দির মাঠে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শহরের বাইরে থেকে এলে এই সমস্ত জায়গায় গাড়ি রেখে তবেই শহরে প্রবেশ করতে পারবেন দর্শনার্থীরা।
অতিরিক্ত পুলিস সুপার (ট্রাফিক) বলেন, মানুষ যাতে ভালোভাবে পুজো দর্শন করতে পারে, সেজন্য আমরা বদ্ধ পরিকর। সবরকমভাবে আমরা পরিকল্পনা করে রুট গাইড ম্যাপ প্রকাশ করলাম। এগুলি মানুষ দেখে নিয়ে বের হলে পথে কোনও সমস্যায় পড়বেন না।