পুজোর পর লক্ষ্মী পুজো। আর তার মানেই নিরামিষ খাবার। সুস্বাদু দুই ধরনের নিরামিষ কম্বো মেনুর রেসিপি দেওয়া হল আজ পাঠকদের জন্য। পুজোর দিনে মা লক্ষ্মীকে ভোগ হিসেবেও নিবেদন করতে পারেন এই পদগুলো।
সুজির মশলা পরোটা
উপকরণ: সুজি ১ কাপ, ময়দা কাপ, জিরে, ধনে, কসুরি মেথি পাতা, জোয়ান ১চামচ শুকনো লঙ্কা ২টো, (সব মশলা শুকনো খোলায় ভেজে গুঁড়ো করে নিন), তেল পরিমাণ মতো, নুন, চিনি স্বাদমতো।
প্রণালী: সব মশলা শুকনো খোলায় ভেজে গুঁড়ো করে নিন। কড়াইয়ে জল গরম করতে দিন। তাতে নুন, চিনি, সাদা তেল, ভাজা মশলা ও সুজি দিন। কম আঁচে ভালো করে মিশিয়ে নিন। বেশ মণ্ড মতো হলে নামিয়ে ঠান্ডা করে নিন। তাতে অল্প অল্প ময়দা যোগ করুন। এবার সুজির মণ্ডকে আধঘন্টা তেল মাখিয়ে ঢেকে রাখুন। এবার ময়দার গুঁড়ি মাখিয়ে গোল করে বেলে তেলে সেঁকে নিন। আলুর দমের সঙ্গে পরিবেশন করুন সুজির মশলা পরোটা।
আলুর দম
উপকরণ: আলু ৫০০ গ্ৰাম, টক দই ৫০ গ্ৰাম, আদাবাটা ১ চা চামচ, হলুদ ও লঙ্কা গুঁড়ো ১চা চামচ, কাশ্মীরি লঙ্কা গুঁড়ো ১চা চামচ, নুন, চিনি স্বাদমতো, তেল পরিমাণ মতো, কাঁচালঙ্কা ৩টে, হিং ১ চিমটে, ধনে, জিরে, মৌরি, শুকনো লঙ্কা, গোলমরিচ,গরমমশলা সব ১টেবিল চামচ করে, শুকনো খোলায় ভেজে গুঁড়ো করা।
প্রণালী: আলু দু’টুকরো করে কেটে ধুয়ে নিন। এবার আলুগুলো সেদ্ধ করে নিন। কড়াইয়ে তেল গরম করে নুন, হলুদ গুঁড়ো লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে আলুগুলো ভেজে নিন। কাজু, চারমগজ, আদা, লঙ্কা একটু গরম জলে দিয়ে তুলে বেটে নিন। কড়াইতে তেল গরম করে হিং, তেজপাতা, জিরে, কাঁচালঙ্কা ফোড়ন দিয়ে বাটা মশলা দিন। ভালোভাবে নাড়াচাড়া করে নিন। একটা বাটিতে টকদই ভালো করে ফেটিয়ে নিন। তাতে নুন, চিনি, হলুদ গুঁড়ো, কাশ্মীরি লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে কড়াইতে ঢেলে দিন। এবার ভেজে রাখা আলুগুলো দিয়ে মশলার সঙ্গে নেড়েচেড়ে নিন। পরিমাণ মতো জল দিয়ে ফুটিয়ে নিন। ৫ মিনিট কম আঁচে ঢাকা দিয়ে রাখুন। পাঁচ মিনিট পর গ্ৰেভি ঘন হয়ে এলে ধনেপাতা কুচি, ভাজা মশলা, শাহি গরমমশলা গুঁড়ো ছড়িয়ে নামিয়ে নিন।
জাফরানি মিষ্টি পোলাও
উপকরণ: গোবিন্দভোগ চাল ২ কাপ, মাওয়া ১ কাপ, কাজু, কিশমিশ ১ মুঠো, দুধে ভেজানো জাফরান ১ চিমটে, এলাচ, লবঙ্গ, দারচিনি ১ চা চামচ, নুন স্বাদমতো, চিনি ১ কাপ, আদার রস ১ চা চামচ, জিরে গুঁড়ো ১ চা চামচ, গরমমশলা গুঁড়ো ১ চা চামচ, ঘি ১ টেবিল চামচ, গোলাপজল ১ চা চামচ।
প্রণালী: গোবিন্দভোগ চাল জলে পনেরো থেকে কুড়ি মিনিট ভিজিয়ে জল ঝরিয়ে শুকিয়ে নিন। চালের মধ্যে আদার রস, জিরে গুঁড়ো, গরমমশলা গুঁড়ো, নুন ও এক চামচ ঘি মাখিয়ে আধঘণ্টা রাখুন। ঈষদুষ্ণ গরম দুধে কেশর ভিজিয়ে রাখুন। মেওয়া গ্ৰেট করে নিন। কাজু ও কিশমিশ ভেজে তুলে নিন। ওই তেলে এলাচ, লবঙ্গ, দারচিনি দিয়ে চাল দিন। নুন ও ৩ কাপ জল দিয়ে ঢাকা দিন। চাল আধসেদ্ধ হলে চিনি দিন। ভেজে রাখা কাজু, কিশমিশ, গ্ৰেট করা মাওয়া, দুধে গোলা কেশর দিন। কিছুক্ষণ পর চাল সেদ্ধ হলে গরমমশলা গুঁড়ো ও গোলাপ জল ছড়িয়ে ঢাকা দিয়ে ভালো করে ঝাঁকিয়ে নিন। কিছুটা সময় রেখে তারপর নামিয়ে পরিবেশন করে দিন জাফরানি মিষ্টি পোলাও।
ছানার ডালনা
উপকরণ: দুধ ১ লিটার, ময়দা ১ টেবিল চামচ, আলু ২টো, টম্যাটো ১টা, আদা বাটা ২ চা চামচ, নুন, চিনি স্বাদমতো, জিরে গুঁড়ো ১ চা চামচ, কাশ্মীরি লঙ্কা গুঁড়ো ১ চা চামচ, তেজপাতা ২টো, কাঁচালঙ্কা ৩টে গোটা, গরমমশলা ২ চামচ, গরমমশলা গুঁড়ো চা চামচ, তেল পরিমাণ মতো।
প্রণালী: দুধ ভালো করে জ্বাল দিন। লেবু অথবা ভিনিগার দিয়ে ছানা কেটে নিন। ছানার থেকে জলটা বের করে নিন। জল ঝরিয়ে ময়দা ও নুন দিয়ে ভালো করে মাখুন। একটা থালায় তেল মাখিয়ে ছানাটা ছড়িয়ে দিন। তারপর পিস পিস করে কেটে নিন। কড়াইয়ে তেল গরম করে এরপর ডুবো ভেজে তুলে নিন। তেলের মধ্যে জিরে, তেজপাতা, গোটা গরমমশলা ফোড়ন দিয়ে হিং, আদা কাঁচালঙ্কা বাটা, টম্যাটো বাটা, নুন, চিনি, জিরে গুঁড়ো দিয়ে কম আঁচে ৩-৪ মিনিট কষিয়ে নিন। চেরা কাঁচা লঙ্কা ও গরম জল দিন। ফুটে উঠলে ভাজা ছানা দিয়ে দিন। দু’-তিন মিনিট ভালো করে ফুটিয়ে গরমমশলা গুঁড়ো ছড়িয়ে গ্যাস বন্ধ করে কিছুক্ষণ ঢাকা দিয়ে রেখে পরিবেশন করুন।
দেবারতি রায়