যে কোনও ব্যবসায় অগ্রগতি আশা করা যায়। মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের কর্মের প্রয়োগ পদ্ধতি নিয়ে সমস্যা হতে ... বিশদ
বাংলা ছবির ‘চিরঞ্জিত যুগ’ নিঃসন্দেহে আট ও নয়ের দশক। প্রসেনজিৎ, তাপস পাল, অভিষেক চট্টোপাধ্যায়দের থেকে সামান্য সিনিয়র চিরঞ্জিত মনে করেন, ‘অথচ ওই দর্শকরাই ছিলেন বাংলা ছবির আসল বক্স অফিস।’ ‘বউ হারালে বউ পাওয়া যায়, মা হারালে পাওয়া যায় না রে’-এর মতো মিথ হয়ে যাওয়া সংলাপের নায়ক এর জন্য দায়ী করলেন তথাকথিত বাংলা ‘ইন্টেলেকচুয়াল’ ছবিকে। ‘এই ছবিগুলো ওঁদের মাথার উপর দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছিল’, পর্যবেক্ষণ তাঁর। ‘দর্শকরা মুখ ফিরিয়ে নিলেন বলেই হলগুলো মাছি তাড়াতে শুরু করল। অবধারিত ফলশ্রুতিতে হলগুলো একটা একটা করে বন্ধ হতে শুরু করল। আমি যদি আবার ‘কেঁচো খুঁড়তে কেউটে’র মতো ছবি বানাই, মানুষ দেখবে কোথায়? আমি ওই জন্য ছবি বানানোই ছেড়ে দিয়েছি’, স্পষ্ট হতাশ সাতটা ছবির পরিচালক চিরঞ্জিত। তাঁর ভাষায়, ‘পায়জামা, হাওয়াই চটি, গায়ে বুশশার্ট পরা মানুষগুলো শপিংমলের হলে ঢুকতে সঙ্কোচ বোধ করেন। ভয় পান। এই মাল্টিপ্লেক্স কালচারটা তাঁরা নিতে পারেন না, যাঁরা ‘নিশিপদ্ম’, ‘বেদের মেয়ে জ্যোৎস্না’ বা ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ’ দেখতেন। এটা বাংলা ছবির খুব বড় সঙ্কট।’
চিরঞ্জিতের পর্যবেক্ষণ, বাংলা ছবির বাজেট কমে যাওয়া, কম দিনে শ্যুটিং শেষ করে ফেলাই হল এক বিপুল শ্রেণির দর্শকের মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া। বললেন, ‘ছবিতে লগ্নির টাকা বিভিন্ন স্বত্ব বিক্রি করে হয়তো উঠে আসছে। কিন্তু একাধিক হলে চলে যে ছবিটা হিট হতো, তার থেকে যে পরিমাণ লভ্যাংশ উঠে আসত, সেই সম্ভাবনা আজ আর নেই। যদি এখন আবার ‘বেদের মেয়ে জ্যোৎস্না’ বানিয়ে রিলিজ করা হয়, তাহলে ১১ কোটি টাকা লাভ করতে পারবে না। যেটা ১৯৯১ সালে করেছিল।’