Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বেলাগাম হও, নম্বর বাড়াও
তন্ময় মল্লিক

‘বিধায়কের সম্পত্তির সঙ্গে উপার্জনের কোনও সঙ্গতি নেই। তার হিসেব আমার কাছে এসে গিয়েছে। কীভাবে এত সম্পত্তি, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হবে। তিনি হয়তো তিহারে যেতে পারেন। এই হুঁশিয়ারির পর বিধায়ক যদি চুপ করে যান তাহলে আমাদের কিছু বলার নেই।’ কথাগুলি প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। তিনি এখন তমলুক কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী। নন্দকুমারের তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার দে’কে তাঁর এই হুমকি। 
‘আমাকে কঠোর হতে বাধ্য করবেন না। গঙ্গারামপুরে একজন ভাইবোনের গায়ে হাত পড়লে যে ক’দিন চেয়ারম্যান থাকবেন, তারচেয়ে বেশি দিন ইডি-সিবিআইয়ের হাতে থাকবেন।’ বক্তার নাম ডঃ সুকান্ত মজুমদার। বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের বিদায়ী সাংসদ। এবারও তিনি একই কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী। 
বিজেপির এই দুই প্রার্থীই উচ্চশিক্ষিত। সুকান্তবাবু কলেজের অধ্যাপক। মানুষ গড়ার কারিগর। তাই রাজনীতিতে যেমন তাঁর অনুগামী আছে, তেমনই আছে অনেক গুণমুগ্ধ ছাত্রছাত্রী। এহেন সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত এবং সম্মাননীয় ব্যক্তিরাও বিরোধীদের ‘হুমকি’ দিচ্ছেন। বুঝিয়ে দিচ্ছেন, তাঁদের কথা না শুনলে যেতে হবে তিহার জেলে। কেন্দ্রীয় এজেন্সি যে বিজেপি নেতাদের কথাতেই চলে, সেটা সুকান্তবাবুরাই প্রমাণ করে দিচ্ছেন।
এই সব হুমকির উদ্দেশ্য বিরোধীদের চমকানোর পাশাপাশি দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করা। রাজনীতিতে এটা নতুন নয়। যুগ যুগ ধরে নানাভাবে বিরোধীপক্ষকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা হয়েছে, আগামীতেও হবে। তবে, বদলে যাচ্ছে হুমকি-ধমকির ধরন। আগে যা হতো গোপনে, এখন তা হচ্ছে প্রকাশ্যে। খুল্লামখুল্লা।
তপন সিংহের ‘আতঙ্ক’ সিনেমাটার কথা মনে আছে? বৃষ্টিভেজা রাতে ‘শিক্ষক’ সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় নিজের চোখে ছাত্রকে খুন করতে দেখে ভয়ে চিৎকার করে উঠেছিলেন। মাস্টারমশাইয়ের চোখেমুখে ঠিকরে পড়ছে আতঙ্ক। মাস্টারমশাই সব দেখে ফেলেছেন জানার পর ছাত্র ঠান্ডা মাথায় হুমকি দিয়ে বলেছিল, ‘আপনি কিন্তু কিছুই দেখেননি মাস্টারমশাই।’
সিনেমাটা তৈরি হয়েছিল বাম আমলে। এটাই ছিল তৎকালীন সামাজিক পরিস্থিতি। চোখের সামনে ঘটে যাওয়া অন্যায়, অত্যাচার মানুষ মুখবুজে মেনে নিত। বলা ভালো, মানতে বাধ্য করা হতো। রাজ্যের রাজনীতিও চলত সেই ছকেই। বিরোধীদের দমিয়ে দেওয়ার জন্য আঁটা হতো নিত্যনতুন ফন্দি। নেওয়া হতো এমন সব কৌশল যাতে বিরোধিতা করার ইচ্ছাটাই কর্পূরের মতো উবে যায়।
সিপিএমের ক্ষমতায় থাকার রেকর্ড গড়ার পিছনে ছিল বিরোধীদের দমিয়ে রাখার নানান ফর্মুলা। তবে ‘থান থিওরি’র ধারেকাছে কেউ ছিল না। রাতের অন্ধকারে বিরোধী দলের ডাকাবুকো নেতার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হতো থান কাপড়। সঙ্গে ছোট্ট চিরকুট, ‘বেশি বাড়াবাড়ি করো না।’ ইঙ্গিত স্পষ্ট, রাজনীতি নিয়ে মাতামাতি করলে স্ত্রীকে হতে হবে বিধবা। এভাবেই লড়াকু বিরোধী নেতার পায়ে ‘বেড়ি’ পরানোর দায়িত্বটা দেওয়া হতো বাড়ির মহিলাদের উপরেই। আতঙ্কটা পৌঁছে যেত একেবারে বাড়ির অন্দরে। মূলত সিপিএমের এই থিওরিতেই বাংলায় নেমে এসেছিল শ্মশানের শান্তি। 
তবে গ্রামবাংলাকে মুক্তাঞ্চল বানানোয় সিপিএমের সবচেয়ে কার্যকরী অস্ত্রটির নাম ছিল ‘খেতমজুর বয়কট’। কেউ মাথা তোলার চেষ্টা করলেই জারি হতো ‘খেতমজুর বয়কটে’র হুলিয়া। মাঠের পাকাধান মাঠেই পড়ে থাকত, খামার পর্যন্ত পৌঁছত না। পার্টি অফিসে গিয়ে মুচলেকা দিয়ে তুলতে হতো বয়কটের ফতোয়া। তারপরও কেউ ‘বেয়াদপি’ করলে ধোপা-নাপিত বন্ধ। পাড়ার লোকজনের সঙ্গে মেলামেশা বন্ধ। যার নাম ছিল ‘সামাজিক বয়কট’। আর তা তোলার জন্য দিতে হতো মোটা অঙ্কের জরিমানা। 
রাজ্যে ক্ষমতা পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু বিরোধীপক্ষকে দমিয়ে রাখার মানসিকতা বদলায়নি। কর্তৃত্ব কায়েমের জন্য কোনও তৃণমূল নেতা দিয়েছে সিপিএমের সঙ্গে সাপের মতো আচরণ করার নির্দেশ। আবার কেউ দিয়েছে অনুষ্ঠান বাড়িতে সিপিএমের লোকজনকে নিমন্ত্রণ না করার পরামর্শ। পুলিসকে বোমা মারার হুমকি দিয়ে সবাইকে পিছনে ফেলে দিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। তবে বিখ্যাত হয়েছিল তাঁর ‘গাঁজা কেস’। অবশ্য খেলা জমিয়ে দিয়েছে বিজেপি। তারা দেখিয়ে দিচ্ছে ক্ষমতায় থাকলে বিরোধীদের কতভাবে হেনস্তা করা যায়!
তৃণমূলের নেতারা ‘বাঘ’ মেরেছে মুখে। আর বিজেপি সেটা কাজে করে দেখাচ্ছে। ক্ষমতা দখলের পথে ‘কাঁটা’ হলেই তা উপড়ে ফেলার জন্য চলে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। বারবার ডেকে বুঝিয়ে দিচ্ছে, হয় আত্মসমর্পণ, না হয় জেল। হাতেগরম উদাহরণ অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সেই তালিকায় নাকি রয়েছে আরও নাম। অনেকেই ভেবেছিলেন, নির্বাচন ঘোষণার পর বন্ধ হয়ে যাবে কেন্দ্রীয় এজেন্সির ধরপাকড়, হয়রানি। কারণ সবই চলে যাবে কমিশনের নিয়ন্ত্রণে। তখন আর কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে এজেন্সি দাপাদাপি করতে পারবে না। কিন্তু হচ্ছে উল্টো। দিন দিন বেড়েই চলেছে। কমিশনও কিছু করতে পারছে না। কারণ আইনে নাকি কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে নিয়ন্ত্রণের সুস্পষ্ট গাইড লাইন নেই। থাকবেই বা কী করে? এমন অভূতপূর্ব ঘটনা আগে ঘটেনি। 
বিজেপি ক্ষমতায় ফেরার জন্য রাষ্ট্রশক্তিকে নির্লজ্জভাবে কাজে লাগাচ্ছে। বেছে বেছে বিরোধী দলের পোড়খাওয়া নেতাদের টার্গেট করছে। প্রথমে তাঁদের দুর্নীতিতে অভিযুক্ত করছে। তারপরই পৌঁছে যাচ্ছে এজেন্সির হাজিরা নোটিস। আর তাতেই 
হচ্ছে বাজিমাত। জেলযাত্রা এড়াতে অধিকাংশই আত্মসমর্পণ করছে। মাথা নোয়ালেই ‘ওয়াশিং মেশিনে’ ধুয়ে যাচ্ছে ময়লা। দুর্নীতিতে অভিযুক্তরাই হয়ে যাচ্ছে বিজেপির ‘সম্পদ’।
সম্প্রতি সর্বভারতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত এক রিপোর্ট বলছে, দেশে দুর্নীতিতে অভিযুক্ত বিরোধী দলের ২৫জন নেতা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তারমধ্যে ২৩ জনই আপাতত ‘কলঙ্কমুক্ত’। বিজেপিতে যোগ দিলেই সাত খুন মাফ, এটাই বিরোধীদের অভিযোগ। সেই অভিযোগ খণ্ডন না 
করে বিজেপি তাকে ‘প্রোমোট’ করছে। কারণ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত বিরোধী দলের নেতারাই বিজেপির হালটা শক্ত করে ধরছে। তাতে নরেন্দ্র মোদির ভ্রষ্টাচারের বিরুদ্ধে লড়াই শিকেয় উঠলেও তাঁর হ্যাটট্রিকের রাস্তা হবে মসৃণ। 
ভোটের মুখে কেজরিওয়ালকে জেলে পাঠানোর পিছনেও রয়েছে সেই অঙ্ক। কিন্তু অনেকেই বলছেন, কেজরিওয়ালকে জেলে পাঠিয়ে বিজেপির লাভের চেয়ে ক্ষতিই হয়েছে বেশি। কেজরিওয়াল জেলে গেলেও আম আদমি পার্টিতে ভাঙন ধরেনি। তাই মোটা টাকার টোপ দেওয়ার পাশাপাশি চলছে ধমকি, হুমকি। বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে, বিজেপিতে যোগ  না দিলে যেতে হবে জেলে। 
দিল্লি বিজেপির এই হুমকি-কালচার দ্রুত রপ্ত করে ফেলেছেন সুকান্ত মজুমদার, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়রা। রাজনীতির বাইরেও তাঁদের পেশাগত একটা পরিচয় আছে। সেই সূত্রে অনেকেই তাঁদের সম্মান করেন। কিন্তু তাঁরা যে ভাষায় কথা বলছেন, তাতে সেই সম্মানের ভিত ভেঙে চুরমার হয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি তাঁরাও জানেন। তা সত্ত্বেও তাঁরা ‘রকের ভাষায়’ হুমকি দিচ্ছেন। কিন্তু কেন? 
পঞ্চায়েত ভোটে গাইঘাটার আংরাইলে গিয়ে বিজেপির বিধায়ক স্বপন মজুমদার বলেছিলেন, ‘শাসক দলের সেসব নেতা পুলিস দিয়ে মানুষকে চমকাচ্ছে, মিথ্যে কেস দেওয়াচ্ছে তাদের বলে দিতে চাই, আগামী দিনে এই পুলিস দিয়েই তাদের এনকাউন্টার করাব।’ তাঁর এই হুমকিতে বিতর্ক হয়েছিল বিস্তর। কিন্তু দল স্বপনবাবুকে সতর্ক করেনি, উল্টে তিনি পুরস্কৃত হলেন। এবার তিনিই বারাসাত লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী। দিল্লির বিজেপি নেতৃত্ব এভাবেই বুঝিয়ে দিচ্ছে, তৃণমূলকে যে যত হুমকি দেবে, দলে তার স্কোর তত বাড়বে।
এতদিন বলা হচ্ছিল, সিএএ নাগরিকত্ব দেওয়ার, কেড়ে নেওয়ার নয়। কিন্তু বিদায়ী কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের গলায় এখন অন্য কথা। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, ‘যারা তৃণমূল করে তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না।’ এক্ষেত্রে প্রথমে ঝোলানো হয়েছিল ‘গাজর’। তাতে কাজ না হওয়ায় এখন দেওয়া হচ্ছে হুমকি। একেই কি বলে, বিনাশকালে বিপরীত বুদ্ধি!
বিজেপিতে শুরু হয়েছে ‘বেলাগাম’ হওয়ার প্রতিযোগিতা। যাঁর আক্রমণ যত তীক্ষ্ণ দিল্লিতে তাঁর কদর তত বেশি। সেই প্রতিযোগিতায় নাম লিখিয়েছেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, 
অধ্যাপক সুকান্ত মজমুদাররাও। অধ্যাপকের মুখে সিনেমার ভিলেনের ভাষা শুনে অনেকেই বিস্মিত হচ্ছেন। কিন্তু প্রাক্তন বিচারপতির হুমকিতে অবাক হননি কেউই। কারণ এজলাসে বসেই তিনি দিয়েছিলেন ‘ঢাকি সহ বিসর্জনে’র হুমকি। সেই জন্যই বোধহয় ‘বামপন্থায় বিশ্বাসী’ অভিজিৎবাবু দ্রুত মিশে গেলেন ‘গেরুয়া কালচারে’।
06th  April, 2024
তৃতীয় দফায় তাল ঠুকছে সমীকরণ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আতাউর রহমান (নাম পরিবর্তিত) এখন বছরের বেশি সময়টাই থাকেন গুরুগ্রামে। যেদিকে চোখ যায়, আকাশের পথে পাড়ি দিচ্ছে একটার পর একটা বহুতল। বড় বড় সব প্রজেক্ট। আতাউর সেখানেই রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ করেন। ঠিকাদার সংস্থাই কাজ পাইয়ে দেয়। বিশদ

কংগ্রেসের ইস্তাহার মোদির হাতে মহিমান্বিত!
পি চিদম্বরম

সদিচ্ছা ও সহযোগিতার এক অভূতপূর্ব নিদর্শন রেখেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি দায়িত্ব নিয়ে কংগ্রেসের ইস্তাহারের পুনর্লিখন করেছেন। এবং, সেখানেই না থেমে তিনি তার সঙ্গে যোগ করেছেন তাঁর নিজস্ব ভাবনাচিন্তা এবং ধারণাগুলিকে।
বিশদ

29th  April, 2024
বিদ্বেষভাষণের কেন্দ্রে যখন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী
হিমাংশু সিংহ

বিশ্বকাপ ফুটবলে এমন বহুবার হয়েছে। কাপ যুদ্ধ শুরুর ছ’মাস আগে থেকে সবাই বলেছে, ব্রাজিলই এবার সেরা। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার এক নম্বর দাবিদার। একটু তফাতে আর্জেন্তিনা। কিন্তু টুর্নামেন্ট এগতেই দেখা গেল অঘটনের ফেরে আচমকাই সেরা বাজি ছিটকে গেল। বিশদ

28th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারই বদলে দেবে অঙ্ক
তন্ময় মল্লিক

কৃষ্ণনগর পালপাড়া এলাকায় জাতীয় সড়কের ধারে একটি হোটেলে সিকিউরিটি গার্ডের কাজ করেন মধুবাবু। শরীরে ছাপোষার ছাপ স্পষ্ট। একেবারে সাদাসিধে মানুষ। কথায় কোনও মারপ্যাঁচ নেই। ভোটের হাওয়া কোন দিকে জিজ্ঞাসা করায় গড় গড় করে বলে গেলেন নিজের কথা, ‘আগে সিপিএম করতাম, এখন বিজেপি। বিশদ

27th  April, 2024
টেনশন? এতটা মরিয়া কেন মোদি? 
সমৃদ্ধ দত্ত

এতটা নার্ভাস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কোনওদিন লাগেনি। তিনি আসবেন দেখবেন জয় করবেন। তাঁর বক্তৃতা শুনতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ভক্তরা অপেক্ষা করবে। মানুষ উদ্বাহু হয়ে জয়ধ্বনি দেবে প্রতিটি ঘোষণায়। মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখবেন তিনি তাঁর জাদুভাষণে। তিনি বিশ্বগুরু। তিনি হিন্দুহৃদয় সম্রাট।
বিশদ

26th  April, 2024
‘হিন্দু’ রাজেন্দ্রপ্রসাদ বনাম মোদির ‘হিন্দুত্ববাদ’
মৃণালকান্তি দাস

রাজেন্দ্রপ্রসাদ তিওয়ারি বিশ্বনাথ মন্দিরের প্রাক্তন মহন্ত। তাঁদের পরিবার কয়েক শতাব্দী ধরে শিবঠাকুরের এই পবিত্র বাসস্থানের দায়িত্বে। দেশে ‘মন্দির রাজনীতি’ নিয়ে সেই রাজেন্দ্রপ্রসাদও আজ বিরক্ত!
বিশদ

25th  April, 2024
ফৌজদারি অভিযোগ, না প্রার্থীর অলঙ্কার?
হারাধন চৌধুরী

ভারতের বহু মানুষ এখনও নিরক্ষর। সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে সাক্ষরতার হার ৭৭.৭০ শতাংশ। হলফ করে বলা যায়, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন স্বাধীনতার অমৃতকালের কথা বলেন তখন নিশ্চয় তিনি এই তথ্য মনে রাখেন না। বিশদ

24th  April, 2024
দ্বিতীয় দফায় কতটা আত্মবিশ্বাসী বিজেপি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভোটের মরশুম শুরুর আগে ‘মডেল রিসোর্স’ সংস্থা কলকাতায় একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ইস্যু। প্রশ্নের মুখে রাখা হয়েছিল সব বয়সের এবং সবরকম শিক্ষাগত যোগ্যতার মানুষকে। নানাবিধ জিজ্ঞাস্য। কিন্তু তার মধ্যে মোক্ষম একটি প্রশ্ন ছিল, ‘আপনার মতে রামমন্দিরের জন্য ৬০০ কোটি টাকা খরচ করাটা কি যুক্তিসঙ্গত? বিশদ

23rd  April, 2024
ধর্মের নামে বজ্জাতির পরিণতি
পি চিদম্বরম

কংগ্রেস এবং বিজেপির ইস্তাহারের মধ্যে তুলনা করতে পারিনি বলে আমার গত সপ্তাহের কলামে আক্ষেপ করেছিলাম। আমার লেখার পরপরই অবশ্য ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ নামে একটি ইস্তাহার বিজেপি প্রকাশ করে। এটা এখন ভীষণ রকমে স্পষ্ট যে বিজেপি আর একটি রাজনৈতিক দলমাত্র নয়, এটি একটি কাল্ট বা গোঁড়া ধর্মীয় গোষ্ঠীর নাম।
বিশদ

22nd  April, 2024
মোদির ইস্তাহারে মানুষ ব্রাত্য, শুধুই ব্যক্তিপুজো
হিমাংশু সিংহ

ঘটা করে ইস্তাহার বেরিয়েছে গত রবিবার। প্রধানমন্ত্রীও ইতিমধ্যেই দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ জনসভার সংখ্যায় হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে ছুটছেন। কিন্তু বাংলার গরিব মানুষের বকেয়া একশো দিনের কাজের টাকা ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিতে কেউ শুনেছেন একবারও? বিশদ

21st  April, 2024
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

20th  April, 2024
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
একনজরে
অটো দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক বধূর। ঘটনায় জখম হয়েছেন অটোয় থাকা আরও এক যাত্রী। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটে শীতলকুচি-মাথাভাঙা রাজ্য ...

পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা ভোটের প্রচারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ খানিকটা ম্রিয়মাণ। এখনও পর্যন্ত তিনি জনসভা করেছেন মাত্র দু’টি। তিনি মালদহে একটি রোড শোতে অংশ নিয়েছেন। অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইতিমধ্যেই জনসভা করে ফেলেছেন ন’টি। ...

জমি দুর্নীতি মামলায় ধৃত ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের জামিনের আবেদনের প্রেক্ষিতে ইডির জবাব চাইল সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার এই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চে। আগামী ৬ মের মধ্যে এব্যপারে জবাব দিতে হবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী ...

আগামী দু’বছরের মধ্যে একটা ট্রফি জিততেই হবে বাবর আজমদের। ওডিআই ও টি-২০ ফরম্যাটে পাকিস্তানের প্রধান কোচের দায়িত্ব নেওয়ার পর ক্রিকেটারদের ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস
১৬৩৯ - দিল্লির লালকেল্লার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়
১৮৪৮- শিল্পী রাজা রবি বর্মার জন্ম
১৯১৭ – সঙ্গীতবিশারদ দিলীপকুমার রায়ের জন্ম
১৯১৯ - জালিওয়ান ওয়ালাবাগের নৃশংস হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ব্রিটিশ প্রদত্ত নাইট উপাধি ত্যাগ করেন
১৯১৯- বিশিষ্ট তবলাবাদক ওস্তাদ আল্লারাখার জন্ম
১৯৩৯- কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিলেন সুভাষচন্দ্র বসু
১৯৪৫ -  জার্মান বাহিনীর মিত্রশক্তির কাছে আত্মসমর্পণ
১৯৪৫ – ইতালির একনায়ক মুসোলিনীর মৃত্যু
১৯৪৯ -  বিশিষ্ট লোকসঙ্গীত শিল্পী উৎপলেন্দু চৌধুরীর জন্ম
১৯৫৪ -  ভারত ও চীনের মধ্যে পঞ্চশীল চুক্তি সম্পাদিত
১৯৭০ - টেনিস খেলোয়াড় আন্দ্রে আগাসির  জন্ম
১৯৮০ - চলচ্চিত্র নির্দেশক ও প্রযোজক স্যার আলফ্রেড যোসেফ হিচককের মৃত্যু
১৯৯৭ -   ব্রিটেন চীনের কাছে হংকংকে ফিরিয়ে দেয়
২০২০ - বিশিষ্টঅভিনেতা  ইরফান খানের মৃত্যু 

29th  April, 2024


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৫৭ টাকা ৮৫.০০ টাকা
পাউন্ড ১০২.১২ টাকা ১০৬.৬৩ টাকা
ইউরো ৮৭.৩৭ টাকা ৯১.৪১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৯০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,২৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৬৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৯,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৪৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৭ বৈশাখ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪। ষষ্ঠী ৪/৫৩ দিবা ৭/৬। উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্র ৫৭/৩০ রাত্রি ৪/৯। সূর্যোদয় ৫/৮/৩৯, সূর্যাস্ত ৫/৫৯/৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৩ গতে ১০/১৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩৩ মধ্যে পুনঃ ৩/২৫ গতে ৫/৮ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪৩ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ১/২৬ গতে ২/৫৬ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৫ গতে ৮/২১ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২৩ গতে ৮/৪৬ মধ্যে। 
১৭ বৈশাখ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪। সপ্তমী রাত্রি ২/৪৫। উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্র রাত্রি ১/৩৩। সূর্যোদয় ৫/৯, সূর্যাস্ত ৬/০। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৭ গতে ১০/১৪ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৬ মধ্যে ও ৩/২৯ গতে ৫/১৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৯ মধ্যে ও ৯/০ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ১/২২ গতে ২/৪৯ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৬ গতে ৮/২২ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২৪ গতে ৮/৪৭ মধ্যে। 
২০ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
সংরক্ষণ নিয়ে ভুয়ো ভিডিও ছড়াচ্ছে, কংগ্রেসকে তোপ শাহের
সংরক্ষণ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ‘বিকৃত’ ভিডিও ছড়ানোর অভিযোগে ...বিশদ

01:46:21 PM

মোদির প্রকল্প নীচু স্তরে পৌঁছতে দেয়নি দিদি: অমিত শাহ

01:46:14 PM

বাংলার গরিব জনতার টাকা যাঁরা খেয়েছেন তাঁরা জেলে যাবেনই: অমিত শাহ

01:42:28 PM

দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে পাঁচ বছরের মধ্যে রামমন্দির বানিয়েছেন মোদি: অমিত শাহ

01:39:00 PM

বাংলায় বিজেপি সরকার হলে অনুপ্রবেশ বন্ধ হবে: অমিত শাহ

01:38:59 PM

কেন্দ্রের প্রকল্পের নাম বদলে নিজের নামে চালাচ্ছে রাজ্য: অমিত শাহ

01:37:00 PM