Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

অর্ধেক জনগণের সাধারণতন্ত্র
পি চিদম্বরম

আমরা জনগণ আমাদেরই জন্য ভারতের সংবিধান তৈরি করেছি। ‘এক ব্যক্তি, এক ভোট’-এর নীতিতে গণপরিষদ তৈরি হয়নি এবং এই কারণে এটা জনগণের সত্যিকার প্রতিনিধি নয়। তবু, চূড়ান্ত প্রাপ্তির ভিত্তিতে এটার বিচার করা হয়েছে, গণপরিষদ ভারতের সমস্ত মানুষের কণ্ঠস্বর হয়ে উঠেছিল। এটা এমন একটা সংবিধান যেটা নানা ঘাত-প্রতিঘাতের পরেও নিজেকে অক্ষত প্রমাণিত করেছে। এই প্রসঙ্গে মনে রাখতে হবে জরুরি অবস্থা (১৯৭৫-৭৭) কিংবা কেন্দ্রীয় সরকারের অকাল পতনের (১৯৭৯-৮০) মতো চূড়ান্ত অস্থিরতার কালগুলিকেও। অনেকবার সংশোধনের পরেও ভারতের সংবিধান স্বমহিমায় উজ্জ্বল রয়েছে, কারণ কখনোই এর মূল কাঠামোতে আঘাত হানা হয়নি।
একসময় ননী পালকিওয়ালা সংবিধানের ‘মূল কাঠামো’ অবিকৃত (unalterable and unamendable) রাখার তত্ত্ব সংশ্লিষ্ট মহলের বিবেচনার জন্য উপস্থাপন করেছিলেন। তখন কিছু পণ্ডিত ও আইনজ্ঞ তাঁর যুক্তিটি নিয়ে উপহাস করতে ছাড়েননি। একটা সার্বভৌমের সংসদের সংবিধান সংশোধনের (অনুচ্ছেদ ৩৬৮) যে ক্ষমতা রয়েছে, সেটা সরকারি প্রশাসন (executive) কীভাবে খর্ব করতে পারে কিংবা তাদের দ্বারা নিযুক্ত বিচারপতিদের বিবেচনার উপর সেটা ছেড়ে দেওয়া যেতে পারে—সেই প্রশ্ন তাঁরা সেদিন তুলেছিলেন। দিনের শেষে তেরোজন বিচারপতির ভিতরে মাত্র সাতজন পালকিওয়ালাজির সেদিনের মহান যুক্তিটি মেনে নিয়েছিলেন। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিয়ে আজ আমরা বলতে পারি যে—ভাগ্যিস, ওইক’জন বিচারপতি তাঁর যুক্তিটির সঙ্গে সহমত হয়েছিলেন!
সবার জন্য বিচার কই?
ভারতের সংবিধানের বৈশিষ্ট্য এটাই যে সে সমস্ত ‘নাগরিক’-এর জন্য সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ‘সুবিচার’... ‘সুনিশ্চিত’ করার ব্যবস্থা করেছে। এখানে ‘সামাজিক সুবিচার’-এর মতো প্রতিটি কথাই‌ গভীর অর্থবহ। এই কথাগুলিই অগণিত মানুষের মনে বিরাট প্রত্যাশার পারদ চড়িয়ে রেখেছে এবং প্রত্যাশা এমনভাবেই জেগে রয়েছে। আগামী ২৬ জানুয়ারি, ২০২০-তে আমরা আমাদের সংবিধানের ৭০তম বর্ষ উদযাপন করতে চলেছি।
এটাই মোক্ষম প্রশ্নগুলি করার সময়: সামাজিক ন্যায়বিচার (social justice) কারা পেয়েছে এবং কারা পায়নি? অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার (economic justice) কাকে বলে এবং সব নাগরিক কি অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার পেয়ে থাকেন? এমনকী, যখন সব নাগরিকের রাজনৈতিক ভোটাধিকার রয়েছে, তখনও কি তাঁরা সকলে রাজনৈতিক সুবিচারটি পেয়ে থাকেন?
শত শত বছর যাবৎ পিরামিডের সবার নীচে রয়ে গিয়েছে তফসিলি জাতি (এসসি) এবং তফসিলি জনজাতিগুলি (এসটি)। অন্যান্য অনগ্রসর জাতিগুলি (ওবিসি) এবং তাদের ভিতরে যারা সবচেয়ে নীচে পড়ে রয়েছে, এবং সংখ্যালঘু শ্রেণীগুলিকে অন্য পিছিয়ে-পড়া গোষ্ঠী হিসেবে গণ্য করতে হবে। একশো বছরের বেশিকাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যেমন কৃষ্ণাঙ্গরা ছিলেন, তেমনি অবস্থায় আজকের ভারতে পড়ে রয়েছেন দলিতরা, জনজাতিগুলি এবং মুসমানরা। এক গৃহযুদ্ধের মাধ্যমে আমেরিকায় ক্রীতদাসপ্রথা নির্মূল হয়েছিল এবং ১৯৬৩-তে তৈরি হয়েছিল নাগরিক অধিকার আইন (Civil Rights Act)। তারপর দীর্ঘ প্রক্রিয়ার ভিতর দিয়ে সমাজে প্রতিষ্ঠা হয়েছিল কৃষ্ণাঙ্গদের গ্রহণযোগ্যতা, তাদের জন্য ইতিবাচক পদক্ষেপ এবং সমান সুযোগ-সুবিধা। ভারতে আমাদের যে সংবিধান, তা অস্পৃশ্যতাকে ভালো চোখে দেখে না এবং ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্যকে অবৈধ বলে ঘোষণা করেছে। এসি, এসটিদের সংরক্ষণেরও ব্যবস্থা করেছে এই সংবিধান। তার পরেও বাস্তবটা হল যে অবহেলিত শ্রেণীগুলি সামাজিক ন্যায়বিচার থেকে যথেষ্ট বঞ্চিত। মানব উন্নয়নের অন্য সূচকগুলির সঙ্গে শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং সরকারি চাকরি তাদের নাগালের বাইরে রয়ে গিয়েছে।
বৈষম্যের শিকার ও দরিদ্র
গৃহ, অপরাধ, বিচারাধীন মানুষ, ক্রীড়াক্ষেত্রে প্রতিনিধিত্ব প্রভৃতি সংক্রান্ত তথ্যের উল্লেখ করছি না, যেগুলি থেকে প্রমাণ হতে পারত যে এসসি, এসটি এবং মুসলিমরা সামাজিকভাবে বৈষম্যের শিকার এবং তারা অবহেলা, অপমান ও অত্যাচারের পাত্র।
সামাজিক ন্যায়েরই সুফল হল অর্থনৈতিক ন্যায়। অবহেলিত এবং অনগ্রসর শ্রেণীরাই লেখাপড়ার সুযোগ কম পায়, তাদের সহায়-সম্পত্তিও কম, সরকারি চাকরি বা উচ্চমানের চাকরিতে তাদের খুঁজে পাওয়া যায় সামান্যই। স্বাভাবিকভাবে তাদের আয়ও কম এবং তারা কেনাকাটা বা খরচাপাতিও করতে পারে না অন্যদের মতো। নীচের সারণি থেকে এর একটা চিত্র খুঁজে পাওয়া যেতে পারে:
চরমতম ব্যর্থতা
তৃতীয় প্রতিশ্রুতি ছিল রাজনৈতিক ন্যায়বিচার (political justice)—সেটা পূরণের ক্ষেত্রে দেখা গেল চরমতম ব্যর্থতা। সংরক্ষিত নির্বাচন কেন্দ্রগুলিকে ধন্যবাদ। এটার জন্যই সমস্ত রাজ্য বিধানসভা এবং সংসদের মতো নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানগুলিতে সন্তোষজনক অনুপাতে এসসি এবং এসটি প্রতিনিধিত্ব পাওয়া সম্ভব হচ্ছে। কিন্তু রাজনৈতিক ন্যায়বিচার সেখানে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে বলেই মনে হয়। অনেক রাজনৈতিক দলেই সিদ্ধান্তগ্রহণের ক্ষেত্রগুলিতে এসসি, এসটি প্রতিনিধিত্ব ঠিকমতো নেই, যেটুকু আছে সেটাকে নিয়মরক্ষার অতিরিক্ত বলা যাবে না। এমনকী এসসিদের নিজেদের বলে পরিচিত পার্টিগুলিতেও (যেমন বিএসপি, ভিসিকে) যদি এসসিদের খুঁজে পাওয়া যায় তো দেখবেন, তাদের প্রতি সমর্থনটা এসসি ভোটারদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছ। যতক্ষণ না তারা বৃহত্তর সামাজিক জোট (বহুজন) বা রাজনৈতিক গাঁটবন্ধন তৈরি করতে পারছে, ততক্ষণ তারা যে তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই রয়ে যাচ্ছে। দুর্দশা মুসলিমদের ক্ষেত্রে আরও বেশি।
মূল ধারার রাজনৈতিক দলগুলির নিজস্ব ‘সংখ্যালঘু সেল’ থাকে, কিন্তু অগ্রণী নেতাদের মধ্যে সংখ্যালঘুদের কাউকে বিশেষ একটা রাখা হয় না। বিজেপি খোলাখুলি মুসলিমদের সম্পর্কে সাবধান থাকে এবং তাদেরকে এনআরসি-সিএএ-এনপিআর-এর ভয় দেখায়। অন্যদিকে, আইইউএমএল কিংবা এআইএমআইএম-এর মতো যেসব দল মুসলিমদের সামনে রেখে রাজনীতি করে তারা বড়জোর ‘কোয়ালিশন পার্টনার’ অথবা ‘স্পয়লার’ হতে পারে, কিন্তু কখনোই ‘উইনার’ তারা হয় না।
মুসলিমদের পক্ষে সবচেয়ে গুরুতর ব্যাপার এই যে তারা দেশবাসীর বিশেষ সমর্থন পায় না অথবা প্রবল বিরোধিতার মুখে তাদের পড়তে হয়। এই প্রসঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীরের কথাটা ভাবুন। আমার তো মনে হয়, কাশ্মীর উপত্যকার ৭৫ লক্ষ মানুষের স্বার্থের কথাটি দ্রুত চাপা পড়ে যাচ্ছে। গত ৫ আগস্ট থেকে উপত্যকা (যেটাকে অবশ্য অর্ধেক এবং একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে রূপান্তরিত করে দেওয়া হয়েছে) অবরোধের মধ্যে রয়েছে। জঙ্গি কার্যকলাপের খতিয়ান নিলে দেখবেন, ২০১৯ সালটা এই প্রশ্নে এক দশকের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে।
স্বভাবতই সাধারণ মানুষও সবচেয়ে বেশি হতাহত হয়েছেন। সেখানে ৬০৯ জনকে বিনা কারণে হেপাজতে নেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন তিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীও। লিখিত সরকারি বিবৃতি অনুসারে সংবাদ মাধ্যম অবশ্য কাশ্মীর উপত্যকায় ‘স্বাভাবিক’ অবস্থা ফিরেছে বলে ‘রিপোর্ট’ করছে। বাকি ভারত মনে হয় কাশ্মীরি জনগণের কথা ভুলে গিয়ে তাদের অন্যসকল জরুরি বিষয়ে মনোনিবেশ করেছে। ২০১৯-এর আগস্টে যে ‘হেবিয়াস করপাস পিটিশন’ দাখিল করা হয়েছিল, সুপ্রিম কোর্ট পরে সেটার রায় দেবে বলে সংরক্ষিত রেখেছে।
লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাপ্য ন্যূনতম সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায়বিচার খারিজ করে দিয়ে রোজ সংবিধান লঙ্ঘন করা হচ্ছে। জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে যেটা চলছে সেটাকে সংবিধানের পবিত্রতা নষ্ট করা বলা চলে, কিন্তু আদালতের রায়ের জন্যই আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। ৭০ বছর পর কী দেখছি? সমস্ত নাগরিককে যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তাদের মধ্যে অন্তত অর্ধেকের কাছে তা অপূর্ণ রয়ে গিয়েছে এবং বাকি অর্ধেক নাগরিক পেয়েছেন বটে তবে ছিটেফোঁটাই।  
06th  January, 2020
দড়ি ধরে টান মারাটাও গণতন্ত্রের বড় শক্তি
সন্দীপন বিশ্বাস

নির্বাচন পর্ব গড়িয়ে গড়িয়ে প্রায় শেষের দিকে এগিয়ে চলেছে। চার পর্বের ভোট শেষে ফলাফলের দিশা অনেকটাই যেন পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। আর দিন কুড়ি পরেই বাস্তব চিত্রটা বোঝা যাবে। কিন্তু এর মধ্যেই সারা দেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেটা দেখে ‘হীরক রাজার দেশে’র শেষাংশের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। বিশদ

মতুয়াদের নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দেবেন না মোদি
গোপাল মিস্ত্রি

আপনি কি মতুয়া? আপনার জন্ম কি ভারতেই? এই বাংলার মটিতে? আপনি এই মাটির জল-হাওয়ায় বড় হয়েছেন? আপনি কি চাকরিজীবী অথবা ব্যবসায়ী, কিংবা কৃষক? ভোট দেন কি? আপনার ভোটেই তো নির্বাচিত দেশজুড়ে মন্ত্রী, এমএলএ, এমপিরা। বিশদ

এক বছরের প্রধানমন্ত্রী?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

পাওয়ার সেন্টার। হতে পারে বিশেষ কোনও ব্যক্তি, বা একটা কোর গ্রুপ। কোম্পানি চালাতে, পার্টি, রাজ্য কিংবা দেশ... পাওয়ার সেন্টারকে কিছুতেই অস্বীকার করা যায় না। গণতন্ত্রেও না। কারণ, গণতান্ত্রিক সিস্টেমকে ঠিকমতো প্রয়োগ করার জন্যও একজন ব্যান্ড মাস্টার প্রয়োজন। বিশদ

14th  May, 2024
একজন ‘শক্তিশালী’ নেতা মিথ্যা বলবেন কেন?
পি চিদম্বরম

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একজন স্বঘোষিত ‘শক্তিশালী’ নেতা। তিনি প্রায়ই তাঁর ৫৬ ইঞ্চির বুকের ছাতি নিয়ে অহঙ্কার করতেন। তাঁর অনুগামীরা—খান মার্কেট চক্রের নিয়ন্ত্রণ, শহুরে নকশালদের উপড়ে ফেলা, টুকরে-টুকরে গ্যাংকে ধ্বংস করা, পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দেওয়া, সহযোগী সরকারি ভাষা হিসেবে ইংরেজির কার্যত বিলুপ্তি, মূলধারার মিডিয়াকে বশীভূত করা এবং ‘বিশ্বগুরু’ হিসেবে ভারতের কাল্পনিক মর্যাদার দিকে ইঙ্গিত করেন। বিশদ

13th  May, 2024
নিরপেক্ষ রেফারি ছাড়া খেলার মূল্য কী?
জি দেবরাজন

ভারতের সংবিধানের ৩২৪ অনুচ্ছেদের অধীনে নির্বাচন কমিশনের ব্যাপক ক্ষমতা রয়েছে। এই ধারাটি কমিশনকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার ক্ষমতা দেয়। কমিশনের কর্মপদ্ধতি ‘আইনসম্মত’ এবং ‘নিরপেক্ষ’ বলেই বিশ্বাস করা হয়। বিশদ

13th  May, 2024
আক্রমণ ছেড়ে মোদিজি আত্মরক্ষায় কেন?
হিমাংশু সিংহ

ছবিটা একবার ভাবুন। নরেন্দ্র মোদি একক প্রচেষ্টায় গোল করতে পারছেন না, উল্টে নিজের পেনাল্টি বক্সে দাঁড়িয়ে ক্রমাগত গোল বাঁচাচ্ছেন। গোলকিপার না স্ট্রাইকার ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। অনেক দূরে অমিত শাহ। বাকিদের মেঘ-রোদ্দুরে ঠিক ঠাওরই করা যাচ্ছে না। বিশদ

12th  May, 2024
‘ধর্মগুরু’র কোটি টাকার ফ্ল্যাট, দ্বিধায় মতুয়ারা
তন্ময় মল্লিক

পাশাপাশি দু’টি মন্দির। একটি হরিচাঁদ ঠাকুরের, অন্যটি গুরুচাঁদের। পায়ের চাপে ভেঙে যাওয়া ভক্তদের ছড়ানো বাতাসার গুঁড়ো সরিয়ে গোবরজলে ধোয়া হয়েছে মন্দির চত্বর। তাতে নোংরা গেলেও কটু গন্ধে টেঁকা দায়। ভন ভন করছে মাছি। বিশদ

11th  May, 2024
বাংলার অপবাদের ক্ষতিপূরণ কীভাবে হবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

দুটি বাসযাত্রার কাহিনি। অথচ মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে কতটা বদলে গিয়েছে ভাবমূর্তি। ২০১৮ সালে মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন কভার করতে গিয়েছিলাম। বাসে ভোপাল থেকে বুধনি যাওয়ার সময় সহযাত্রী এক সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মী আশ্চর্য কথা বলেছিলেন। বিশদ

10th  May, 2024
সনাতন ধর্ম কি এবার শুদ্ধতা হারাবে?
মৃণালকান্তি দাস

ভারতীয় রাজনীতিতে এই শব্দযুগলের আগ্রাসী রূপ এর আগে কেউ দেখেনি। নরেন্দ্র মোদির সৌজন্যে ভারতবাসীর সেই ‘সৌভাগ্য’-ও হল। দেশে দু’দফা ভোটের পর বিজেপি নেতাদের ভাষণ শুনলে অন্তত তাই-ই মনে হওয়া স্বাভাবিক। বিশদ

09th  May, 2024
ডাকো নতুন নামে
মীনাক্ষী সিংহ

‘তোমারি নাম বলবো নানা ছলে’—গানের সুরে একথা বলেছেন রবীন্দ্রনাথ, বলেছেন ঈশ্বরকে নানা নামে ডাকবেন। বিশদ

08th  May, 2024
রোগ ধরে দিয়েছে গুজরাত
হারাধন চৌধুরী

রোগনির্ণয় কেন্দ্রের নাম গুজরাত। আসল রোগ ধরে দিয়েছে মোদি-শাহের নিজের রাজ্যই। ভোট রাজনীতির এই অনবদ্য জুটির বিপন্নতা বোধ এবার গুজরাতেই সবচেয়ে বেশি। তা না-হলে প্রথম পদ্মটি পাঁক এড়িয়ে চয়ন করার কৌশল সেখানেই নেওয়া হল কেন! বিশদ

08th  May, 2024
অধীর মিথ ভাঙবে? নজর কিন্তু বহরমপুরেই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘আমার বয়স ৪৯ বছর। আরও ৩০ বছর আমি তোমাদের বিরুদ্ধে লড়ে যাব। সংসদের ভিতরে। সংসদের বাইরে। রাস্তায়, নর্দমায়... সর্বত্র। আদিম হিংস্র মানবিকতার যদি আমি কেউ হই/স্বজনহারানো শ্মশানে তোদের চিতা আমি তুলবই। শেষ দেখব। বিশদ

07th  May, 2024
একনজরে
গত লোকসভা নির্বাচনের তুলনায় হবিবপুর বিধানসভা এলাকায় এবার অনেক ভালো ফল করবে তৃণমূল কংগ্রেস। স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের নিয়ে বুথভিত্তিক আলোচনার পর এমনটাই জানিয়েছেন দলের হবিবপুর ব্লক সভাপতি কেষ্ট মুর্মু।  ...

তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মামলা শুনবেন না বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। মঙ্গলবার বিচারপতি সেনগুপ্তের এজলাসে মামলাটির শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ওই মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি  সেনগুপ্ত। ...

ঘন নীল সোয়েটারের সঙ্গে গাঢ় বাদামি শর্টস। ঝকঝকে সাদা মোজা আর বাদামি জুতো। এটাই টিনটিনের ট্রেডমার্ক। বেলজিয়ান শিল্পী অ্যার্জের অমোঘ সৃষ্টি বিশ্বের জনপ্রিয় কমিক স্ট্রিপ। ...

নর্মদা নদীতে স্নান করতে নেমে নিখোঁজ ৭ পর্যটক। ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাতের সুরাতে। স্থানীয়দের চেষ্টায় উদ্ধার করা গিয়েছে একজনকে। জানা গিয়েছে, ৮ জনের ওই দলটিতে তিনজন ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

নিকটজনের স্বাস্থ্য সমস্যায় মানসিক অস্থিরতা। মুদ্রণ বা সংবাদপত্রের ব্যবসা,বৃত্তি শিক্ষাকেন্দ্রের পরিচালনায় সাফল্য। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক পরিবার দিবস
১৭৭৬: প্রথম বাষ্প চালিত জাহাজ বানানো হয়
১৮১৭: ধর্মীয় সংস্কারক ও দার্শনিক দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম
১৮১৮: বাংলা ভাষার প্রথম সংবাদপত্র বেঙ্গল গেজেট প্রকাশিত হয়
১৯৫১: দৈনিক সংবাদ-এর আত্মপ্রকাশ
১৮৫৯: নোবেলজয়ী ফরাসি পদার্থ বিজ্ঞানী পিয়ের কুরির জন্ম
১৯০৫: কবি ও লেখক অন্নদাশঙ্কর রায়ের জন্ম
১৯১৫: বিপ্লবী চারু মজুমদারের জন্ম
১৯৩২: বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সাগর সেনের জন্ম
১৯৬৭: অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিতের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৯ টাকা ৮৪.৪৩ টাকা
পাউন্ড ১০৩.২১ টাকা ১০৬.৬৬ টাকা
ইউরো ৮৮.৫৭ টাকা ৯১.৭২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৬৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, বুধবার, ১৫ মে, ২০২৪। অষ্টমী অহোরাত্র। অশ্লেষা নক্ষত্র ২৬/৩ দিবা ৩/২৫। সূর্যোদয় ৫/০/১৭, সূর্যাস্ত ৬/৫/৩৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৮ গতে ১১/৭ মধ্যে পুনঃ ১/৪৪ গতে ৫/১৩ মধ্যে। রাত্রি ৯/৪৪ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৫ গতে ১/২২ মধ্যে। বারবেলা ৮/১৬ গতে ৯/৫৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৩ গতে ১/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৬ গতে ৩/৩৮ মধ্যে। 
১ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, বুধবার, ১৫ মে, ২০২৪। সপ্তমী দিবা ৬/৬। অশ্লেষা নক্ষত্র অপরাহ্ন ৫/১০। সূর্যোদয় ৫/০, সূর্যোদয় ৬/৭। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৬ গতে ১১/১০ মধ্যে ও ১/৫০ গতে ৫/২৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/৫০ মধ্যে ও ১১/৫৮ গতে ১/২২ মধ্যে। কালবেলা ৮/১৭ গতে ৯/৫৫ মধ্যে ও ১১/৩৪ গতে ১/১২ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৭ গতে ৩/৩৯ মধ্যে। 
৬ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বেহালার সরশুনাতে প্রচারে দক্ষিণ কলকাতার বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরী

01:21:26 PM

রাজস্থানের জয়পুরে তামার খনিতে লিফ্ট বিপর্যয়ের জেরে মৃত্যু হল এক সিনিয়র ভিজিল্যান্স অফিসারের

01:18:50 PM

বিজেপি কর্মীর বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও মারধরের ঘটনার প্রতিবাদে বোলপুরের চৌরাস্তায় পথ অবরোধ বিজেপি প্রার্থী পিয়া সাহার

01:10:00 PM

১২ টা ৩৮ মিনিটে কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বর রুটে মেট্রো পরিষেবা স্বাভাবিক হল

01:09:47 PM

দুর্নীতিগ্রস্তদের জেলে যেতেই হবে: অমিত শাহ

01:06:42 PM

প্রত্যেক শরণার্থীকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে: অমিত শাহ

01:06:19 PM