Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

‘কল্পতরু’ শ্রীরামকৃষ্ণ মাদুলি দিতে শুরু করলে সোনায় মুড়ে যেত গোটা কামারপুকুর
হিমাংশু সিংহ

সিঁথি-বরানগরে আমার বাস গত পাঁচদশক ধরে। সেই সুবাদে প্রতি বছর পয়লা জানুয়ারি কল্পতরু উৎসবে কাশীপুর উদ্যানবাটীতে জনপ্লাবন দেখার অভিজ্ঞতা নতুন কিছু নয়। সেই ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি। এবছরও ১ জানুয়ারি দুপুরে সিঁথি পেরিয়ে বিটি রোডের পাশ দিয়ে অফিসে আসছিলাম। তখনই চোখে পড়ল সেই পুরনো দৃশ্য। কল্পতরু উৎসবে যোগ দিয়ে মনের ভক্তি নিবেদনের সে কী অনির্বচনীয় আনন্দ। মানুষের স্রোত এঁকেবেঁকে আছড়ে পড়েছে রাজপথে। লাইনের শুরু শেষ দেখা যাচ্ছে না কিছুই। যতদূর চোখ যায় শুধু কালো মাথা। অনন্ত মানব সমুদ্রে মিশে ধীর পায়ে এগিয়ে চলেছে সব বয়স, সব শ্রেণীর ভক্ত। মূল মন্দিরের ৬-৭ কিলোমিটার আগে থেকেই জমাট ভিড়। সারিবদ্ধ ও সুশৃঙ্খলভাবে দোতলার যে ঘরে ঠাকুর থাকতেন তা দর্শনের অনাবিল আনন্দ প্রত্যেকের মধ্যে। এমনকী বৃদ্ধ, অসুস্থরাও হার মানতে রাজি নন। সমানে হাঁটছেন। সাত সকাল থেকেই জনস্রোত জনপ্লাবন প্রায় সুনামির চেহারা নিচ্ছে। এ কোন অদ্ভুত আকর্ষণ! কীসের টানে দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসছে মানুষ। মিলে যাচ্ছেন ঠাকুরের প্রেমকমলে। কোনও রাজনৈতিক দলের বৃহৎ সমাবেশ তো নয়। না কোনও সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল। দু-আড়াই মাস ধরে সমস্ত জেলায় সভা করে মানুষকে দলে দলে কোনও মহতী সভায় যোগদানের অনুরোধ আহ্বান জানানো হয়েছে, তাও তো নয়। মূল্যবৃদ্ধি, বেকার সমস্যা, ব্যবসার মন্দা সহ হাজারো সামাজিক ও রাজনৈতিক ইস্যুকে সামনে রেখে কিছু পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থাও তো নেই! তাহলে কীসের আকর্ষণে প্রতি বছর ইংরেজি নববর্ষে ভোর থেকে রাত পর্যন্ত আবালবৃদ্ধবণিতার নিরবচ্ছিন্ন মিছিল ঢেউ তোলে কাশীপুর উদ্যানবাটীতে। কাশীপুর উদ্যানবাটী যদি ব্রিগেড ময়দান হয় তাহলে এই বিরাট জনসমাবেশের প্রধান আকর্ষণ নিঃসন্দেহে ১৩৪ বছর আগে ঠাকুরের ‘কল্পতরু’ হওয়ার কাহিনী। যে ঐশ্বরিক ঘটনার কয়েক মাস পরেই ঠাকুর দেহ রেখেছিলেন এখানেই। কিন্তু এত যুগ পর সভ্যতার আমূল অগ্রগতি সত্ত্বেও আজও মানুষ তাঁর আশীর্বাদের পরশ পেতে এমন কাঙাল, এত পিপাসার্ত।
ফিরে যাই ১৮৮৬ সালের ১ জানুয়ারিতে। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ সেদিন বিকেলে অসুস্থ শরীরে উপর থেকে নেমে এসে ধীরে ধীরে এগিয়ে গেলেন উদ্যান ধরে। সেখানেই দেখা হল পরমভক্ত গিরিশচন্দ্র, রামচন্দ্র, অতুল, নবগোপাল, হরমোহন, বৈকুণ্ঠ, কিশোরী (রায়), রামলাল, অক্ষয়, হারান প্রমুখের সঙ্গে। তাঁরা প্রণাম করার পর ঠাকুর গিরিশকে বললেন, তুমি যে সবাইকে এত কথা বলে বেড়াও তা তুমি আমার মধ্যে কী এমন দেখেছ? গিরিশচন্দ্র বিচলিত না হয়ে ঠাকুরের পায়ের কাছে হাঁটু মুড়ে বসে বললেন, ব্যাস বাল্মিকী যাঁর ইয়ত্তা করতে পারেননি আমি তাঁর সম্বন্ধে বেশি কী আর বলতে পারি! মুগ্ধ ঠাকুরের মুখ থেকে এরপর গিরিশকে উপলক্ষ করে বেরিয়ে আসে সেই অবিস্মরণীয় উক্তি—‘‘তোমাদের কী আর বলব, আশীর্বাদ করি তোমাদের চৈতন্য হোক।’’ অত্যন্ত সহজ সরল লোকশিক্ষার কথা। যার তাৎপর্য আজও বিভিন্ন রূপে বিভিন্নভাবে প্রতি মুহূর্তে নিষ্ঠাবান ভক্তের সামনে মূর্ত হয়ে ওঠে। ঠাকুরের ‘কল্পতরু’ হওয়া আসলে পরমরূপে তাঁর আত্মপ্রকাশেরই কাহিনী। একইসঙ্গে এই কল্পতরু হওয়া ভক্তের হৃদয়কেও সম্যকভাবে প্রস্ফুটিত করার অনবদ্য প্রয়াসও বটে।
শোনা যায়, সেদিন ঠাকুরের কল্পতরু হওয়ার মুহূর্তে ঘটনাস্থলে না থাকলেও তাঁর প্রিয় শিষ্য নরেন কিন্তু কাছেই ছিলেন। সেদিন সামান্য কয়েকজন ভক্ত প্রত্যক্ষভাবে ঠাকুরের কৃপালাভে ধন্য হয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম জনৈক হারানচন্দ্র দাস। ভাবাবিষ্ট ঠাকুর তাঁর মাথায় পাদপদ্ম রেখে কৃপা করেছিলেন। এই প্রথম এমন ঘটনা বলে তাঁর সেদিনের ভক্তরা সাক্ষ্য দিয়েছেন। ঠাকুরের ভাইপো রামলালও ওই ঘটনার অন্যতম সাক্ষী ছিলেন। ঠাকুরের কৃপাধন্য রামলাল বলেছিলেন, আগে ইষ্টমূর্তি ধ্যান করতে বসে তাঁর শ্রীঅঙ্গের কিছুটামাত্র মানসচক্ষে দেখতে পেতাম। যখন পাদপদ্ম দেখেছি তখন তাঁর মুখ অদৃশ্য থাকত। আবার কখনও মুখ থেকে তাঁর কটিদেশ পর্যন্তই হয়তো দেখতে পেতাম। তখন তাঁর শ্রীচরণ দেখতে পেতাম না। আবার ওইরূপে যা দেখতাম সেটাকে সজীব বলেও মনে হতো না। আজ ঠাকুর স্পর্শ করামাত্র ‘সর্বাঙ্গসম্পূর্ণ ইষ্টমূর্তি’ সহসা হৃদয়পদ্মে আবির্ভূত হলেন। একসময় নড়ে চড়ে ঝলমল করে উঠলেন!
সেই অনির্বচনীয় অভিজ্ঞতা আজও সমানভাবে বাস্তব। ১৩৪ বছর আগে ঠাকুরের সেই উক্তি এবং তাঁর অবিস্মরণীয় ঐতিহাসিক অভিঘাত আজও গোটা বাংলায় ফি-বছর ১ জানুয়ারি ঝড় তোলে। আর তাতে ভেসেই বিটি রোড দিয়ে জনস্রোত এগিয়ে চলে কাশীপুর উদ্যানবাটীর দিকে। এই ‘ব্রিগেডে’ তিনিই বক্তা, তিনিই পথপ্রদর্শক। ‘তোমাদের চৈতন্য হোক’—ওই কথার বাইরে আর কিছুই তো তিনি বলে যাননি। অথচ ওই একটা উক্তির জোরেই গোটা সিঁথি কাশীপুর বরানগর বছরের শুরুতেই এমন পবিত্র তীর্থক্ষেত্র। এই বরানগরেই বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্থানে ঠাকুরের পদধূলি পড়েছে। কোনও মাদুলি, তাগা, পয়মন্ত পাথর তিনি ভক্তদের দেননি। শুধু নিষ্কাম নিঃস্বার্থ ভক্তি এবং দৃঢ় বিশ্বাসের জোরে সত্যকে প্রতিষ্ঠা করা ও তার মধ্য দিয়ে ঈশ্বরলাভের পথ বাতলে দিয়েছিলেন অগণিত ভক্তকে। বলা বাহুল্য, কল্পতরু শব্দটার মধ্যে একটা ভোজবাজির গন্ধ আছে। কিন্তু ঠাকুরের সেই ঐতিহাসিক লীলাখেলা কল্পতরু নামে খ্যাত হলেও ঝাড়ফুঁক ওষুধ তাবিজ দেওয়ার জাদুকর তিনি ছিলেন না। তাঁর ঈশ্বরসাধনা ছিল স্বার্থগন্ধশূন্য। তাই আজও এত যুগ পরেও ওই একটি কথার টানেই মানুষ ছুটে যায় কাশীপুর উদ্যানবাটীতে। আর এঁকে বেঁকে পাঁচ-ছ’ঘণ্টা অপেক্ষার পর ভেতরে প্রবেশ করে ঠাকুরের সামনে নত হয়ে প্রণাম করে আবার যে যাঁর কাজে চলে যান। একবার ঠাকুরের অত্যন্ত আপনজন হৃদে প্রশ্ন করেছিল, মামা, মায়ের কাছে গিয়ে কিছু শক্তি চেয়ে নাও না। কিছু সিদ্ধাই চাও। ভাগ্নের কথা শুনে মায়ের কাছে শক্তি বা সিদ্ধাই চাইতে গিয়ে ঠাকুরের সে এক ভয়ানক তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল। ‘শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত’র পাতায় তা সবিস্তারে বলা রয়েছে। মায়ের কাছে ভর্ৎসিত হওয়ার পর ঠাকুর বেরিয়ে এসে হৃদেকে বলেছিলেন, তুই কেন আমায় এরূপ কথা শিখিয়ে দিলি। তোর জন্যই তো মায়ের কাছে শক্তি চাইতে গিয়ে আমার এরূপ দশা হল।
ঠাকুর বলছেন, যাদের সিদ্ধাই থাকে তাদের প্রতিষ্ঠা লোকমান্য এসব হয়। কত লোক আসছে, যাচ্ছে, ঘরে জিনিস থইথই। কত জিনিস কত লোক এনে দিচ্ছে। কিন্তু সে যদি মনে করে তার এমন শক্তি হয়েছে যে শত শত লোককে খাওয়াতে পারে, তাহলে ঠাকুরের সেই নিষ্কাম স্বার্থহীন ভগবান সাধনার কী হবে? তাই ঠাকুরের কাছে সিদ্ধাই গুরুগিরি ছিল আসলে ‘বেশ্যাগিরি’র মতো। ওই পাঁকে তিনি কখনোই আটকে পড়েননি। তাঁর শিষ্যদেরও আটকে পড়তে দেননি। এমনকী তাঁর মানসপুত্র নরেনকেও তিনি সিদ্ধাই আর ঝাড়ফুঁকের মত বিষয়ের অনেক বাইরে রেখেছিলেন। নরেনকে জ্ঞানের কল্পতরু হিসেবেই তিনি তুলে ধরতে চেয়েছেন। তাই তীব্র অনটনের মধ্যেও নরেন মা ভবতারিণীর কাছে গিয়ে ‘বিবেক’ আর ‘বৈরাগ্য’-এর অতিরিক্ত কিছুই চাইতে পারেননি। এর নেপথ্যে যে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণেরই প্রভাব ও লীলা কাজ করেছিল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। পিছন থেকে সুতোটা আগাগোড়া যে ধরা ছিল ঠাকুরের হাতেই। ঠাকুরের সেই দেখানো পথেই আজ মানব কল্যাণে নিয়োজিত রামকৃষ্ণ মিশনের কর্মকাণ্ড বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত, যা না-দেখলে বিশ্বাসই করা যায় না।
ঠাকুর যদি সত্যিই মাদুলি দিতেন, পাথর দিতেন তাহলে তাঁর জীবৎকালেই কামারপুকুরকে সোনা দিয়ে মুড়ে দেওয়া সম্ভব হতো। আগামী অঘ্রাণে তোমার মেয়ের বিয়ে পাকা কিংবা ফেব্রুয়ারিতেই তোমার ছেলের চাকরির যোগ আছে—এই সস্তা গুরুগিরি আজীবন ছিল তাঁর না-পসন্দ। এসব দেখলে শুনলে তিনি ঘৃণায় মুখ সরিয়ে নিয়ে বলতেন, ‘ছিঃ, হ্যাক থুঃ!’ আজীবন নিজেকে এবং নিজের সাধনাকে তিনি বিক্রি করেননি, হাট করে খুলে দেননি অলৌকিক শক্তির দোকান। সেই কারণেই আজও রামকৃষ্ণ মিশন মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে। তার কর্মকাণ্ড আরও বিস্তারলাভ করছে। সেই আদর্শই আজও লাখো মানুষকে ঠাকুরের অনবদ্য লোকশিক্ষায় শুধু উদ্বুদ্ধই করছে না, আশ্রয়ও দিচ্ছে। তবে আক্ষেপ একটাই, তাঁর এই অনবদ্য লোকশিক্ষার সবটুকু অনুভব করলেও কেন যেন আমাদের চৈতন্যটা শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ হয় না। এভাবেই সময় যায়, আবার একটা ১ জানুয়ারি ফিরে ফিরে আসে।
05th  January, 2020
দড়ি ধরে টান মারাটাও গণতন্ত্রের বড় শক্তি
সন্দীপন বিশ্বাস

নির্বাচন পর্ব গড়িয়ে গড়িয়ে প্রায় শেষের দিকে এগিয়ে চলেছে। চার পর্বের ভোট শেষে ফলাফলের দিশা অনেকটাই যেন পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। আর দিন কুড়ি পরেই বাস্তব চিত্রটা বোঝা যাবে। কিন্তু এর মধ্যেই সারা দেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেটা দেখে ‘হীরক রাজার দেশে’র শেষাংশের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। বিশদ

মতুয়াদের নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দেবেন না মোদি
গোপাল মিস্ত্রি

আপনি কি মতুয়া? আপনার জন্ম কি ভারতেই? এই বাংলার মটিতে? আপনি এই মাটির জল-হাওয়ায় বড় হয়েছেন? আপনি কি চাকরিজীবী অথবা ব্যবসায়ী, কিংবা কৃষক? ভোট দেন কি? আপনার ভোটেই তো নির্বাচিত দেশজুড়ে মন্ত্রী, এমএলএ, এমপিরা। বিশদ

এক বছরের প্রধানমন্ত্রী?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

পাওয়ার সেন্টার। হতে পারে বিশেষ কোনও ব্যক্তি, বা একটা কোর গ্রুপ। কোম্পানি চালাতে, পার্টি, রাজ্য কিংবা দেশ... পাওয়ার সেন্টারকে কিছুতেই অস্বীকার করা যায় না। গণতন্ত্রেও না। কারণ, গণতান্ত্রিক সিস্টেমকে ঠিকমতো প্রয়োগ করার জন্যও একজন ব্যান্ড মাস্টার প্রয়োজন। বিশদ

14th  May, 2024
একজন ‘শক্তিশালী’ নেতা মিথ্যা বলবেন কেন?
পি চিদম্বরম

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একজন স্বঘোষিত ‘শক্তিশালী’ নেতা। তিনি প্রায়ই তাঁর ৫৬ ইঞ্চির বুকের ছাতি নিয়ে অহঙ্কার করতেন। তাঁর অনুগামীরা—খান মার্কেট চক্রের নিয়ন্ত্রণ, শহুরে নকশালদের উপড়ে ফেলা, টুকরে-টুকরে গ্যাংকে ধ্বংস করা, পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দেওয়া, সহযোগী সরকারি ভাষা হিসেবে ইংরেজির কার্যত বিলুপ্তি, মূলধারার মিডিয়াকে বশীভূত করা এবং ‘বিশ্বগুরু’ হিসেবে ভারতের কাল্পনিক মর্যাদার দিকে ইঙ্গিত করেন। বিশদ

13th  May, 2024
নিরপেক্ষ রেফারি ছাড়া খেলার মূল্য কী?
জি দেবরাজন

ভারতের সংবিধানের ৩২৪ অনুচ্ছেদের অধীনে নির্বাচন কমিশনের ব্যাপক ক্ষমতা রয়েছে। এই ধারাটি কমিশনকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার ক্ষমতা দেয়। কমিশনের কর্মপদ্ধতি ‘আইনসম্মত’ এবং ‘নিরপেক্ষ’ বলেই বিশ্বাস করা হয়। বিশদ

13th  May, 2024
আক্রমণ ছেড়ে মোদিজি আত্মরক্ষায় কেন?
হিমাংশু সিংহ

ছবিটা একবার ভাবুন। নরেন্দ্র মোদি একক প্রচেষ্টায় গোল করতে পারছেন না, উল্টে নিজের পেনাল্টি বক্সে দাঁড়িয়ে ক্রমাগত গোল বাঁচাচ্ছেন। গোলকিপার না স্ট্রাইকার ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। অনেক দূরে অমিত শাহ। বাকিদের মেঘ-রোদ্দুরে ঠিক ঠাওরই করা যাচ্ছে না। বিশদ

12th  May, 2024
‘ধর্মগুরু’র কোটি টাকার ফ্ল্যাট, দ্বিধায় মতুয়ারা
তন্ময় মল্লিক

পাশাপাশি দু’টি মন্দির। একটি হরিচাঁদ ঠাকুরের, অন্যটি গুরুচাঁদের। পায়ের চাপে ভেঙে যাওয়া ভক্তদের ছড়ানো বাতাসার গুঁড়ো সরিয়ে গোবরজলে ধোয়া হয়েছে মন্দির চত্বর। তাতে নোংরা গেলেও কটু গন্ধে টেঁকা দায়। ভন ভন করছে মাছি। বিশদ

11th  May, 2024
বাংলার অপবাদের ক্ষতিপূরণ কীভাবে হবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

দুটি বাসযাত্রার কাহিনি। অথচ মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে কতটা বদলে গিয়েছে ভাবমূর্তি। ২০১৮ সালে মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন কভার করতে গিয়েছিলাম। বাসে ভোপাল থেকে বুধনি যাওয়ার সময় সহযাত্রী এক সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মী আশ্চর্য কথা বলেছিলেন। বিশদ

10th  May, 2024
সনাতন ধর্ম কি এবার শুদ্ধতা হারাবে?
মৃণালকান্তি দাস

ভারতীয় রাজনীতিতে এই শব্দযুগলের আগ্রাসী রূপ এর আগে কেউ দেখেনি। নরেন্দ্র মোদির সৌজন্যে ভারতবাসীর সেই ‘সৌভাগ্য’-ও হল। দেশে দু’দফা ভোটের পর বিজেপি নেতাদের ভাষণ শুনলে অন্তত তাই-ই মনে হওয়া স্বাভাবিক। বিশদ

09th  May, 2024
ডাকো নতুন নামে
মীনাক্ষী সিংহ

‘তোমারি নাম বলবো নানা ছলে’—গানের সুরে একথা বলেছেন রবীন্দ্রনাথ, বলেছেন ঈশ্বরকে নানা নামে ডাকবেন। বিশদ

08th  May, 2024
রোগ ধরে দিয়েছে গুজরাত
হারাধন চৌধুরী

রোগনির্ণয় কেন্দ্রের নাম গুজরাত। আসল রোগ ধরে দিয়েছে মোদি-শাহের নিজের রাজ্যই। ভোট রাজনীতির এই অনবদ্য জুটির বিপন্নতা বোধ এবার গুজরাতেই সবচেয়ে বেশি। তা না-হলে প্রথম পদ্মটি পাঁক এড়িয়ে চয়ন করার কৌশল সেখানেই নেওয়া হল কেন! বিশদ

08th  May, 2024
অধীর মিথ ভাঙবে? নজর কিন্তু বহরমপুরেই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘আমার বয়স ৪৯ বছর। আরও ৩০ বছর আমি তোমাদের বিরুদ্ধে লড়ে যাব। সংসদের ভিতরে। সংসদের বাইরে। রাস্তায়, নর্দমায়... সর্বত্র। আদিম হিংস্র মানবিকতার যদি আমি কেউ হই/স্বজনহারানো শ্মশানে তোদের চিতা আমি তুলবই। শেষ দেখব। বিশদ

07th  May, 2024
একনজরে
ঘন নীল সোয়েটারের সঙ্গে গাঢ় বাদামি শর্টস। ঝকঝকে সাদা মোজা আর বাদামি জুতো। এটাই টিনটিনের ট্রেডমার্ক। বেলজিয়ান শিল্পী অ্যার্জের অমোঘ সৃষ্টি বিশ্বের জনপ্রিয় কমিক স্ট্রিপ। ...

লাভপুরে তিন ভাইকে পিটিয়ে খুনের ঘটনায় মঙ্গলবার বোলপুর আদালতে হাজিরা দিলেন বিধায়ক মুকুল রায় ও লাভপুরের প্রাক্তন বিধায়ক মনিরুল ইসলাম। লোকসভা নির্বাচনের পর মঙ্গলবার এই ঘটনা নিয়ে চর্চা শুরু হয় বোলপুরে। ...

নর্মদা নদীতে স্নান করতে নেমে নিখোঁজ ৭ পর্যটক। ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাতের সুরাতে। স্থানীয়দের চেষ্টায় উদ্ধার করা গিয়েছে একজনকে। জানা গিয়েছে, ৮ জনের ওই দলটিতে তিনজন ...

অসহনীয় মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ। ফের অগ্নিগর্ভ পাক-অধিকৃত কাশ্মীর। মঙ্গলবার ওই অঞ্চলের রাজধানী মুজফফরাবাদে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে ফের ঝরল রক্ত।  পাকিস্তান রেঞ্জার্সের নির্বিচার গুলিবর্ষণে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

নিকটজনের স্বাস্থ্য সমস্যায় মানসিক অস্থিরতা। মুদ্রণ বা সংবাদপত্রের ব্যবসা,বৃত্তি শিক্ষাকেন্দ্রের পরিচালনায় সাফল্য। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক পরিবার দিবস
১৭৭৬: প্রথম বাষ্প চালিত জাহাজ বানানো হয়
১৮১৭: ধর্মীয় সংস্কারক ও দার্শনিক দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম
১৮১৮: বাংলা ভাষার প্রথম সংবাদপত্র বেঙ্গল গেজেট প্রকাশিত হয়
১৯৫১: দৈনিক সংবাদ-এর আত্মপ্রকাশ
১৮৫৯: নোবেলজয়ী ফরাসি পদার্থ বিজ্ঞানী পিয়ের কুরির জন্ম
১৯০৫: কবি ও লেখক অন্নদাশঙ্কর রায়ের জন্ম
১৯১৫: বিপ্লবী চারু মজুমদারের জন্ম
১৯৩২: বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সাগর সেনের জন্ম
১৯৬৭: অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিতের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৯ টাকা ৮৪.৪৩ টাকা
পাউন্ড ১০৩.২১ টাকা ১০৬.৬৬ টাকা
ইউরো ৮৮.৫৭ টাকা ৯১.৭২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৬৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, বুধবার, ১৫ মে, ২০২৪। অষ্টমী অহোরাত্র। অশ্লেষা নক্ষত্র ২৬/৩ দিবা ৩/২৫। সূর্যোদয় ৫/০/১৭, সূর্যাস্ত ৬/৫/৩৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৮ গতে ১১/৭ মধ্যে পুনঃ ১/৪৪ গতে ৫/১৩ মধ্যে। রাত্রি ৯/৪৪ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৫ গতে ১/২২ মধ্যে। বারবেলা ৮/১৬ গতে ৯/৫৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৩ গতে ১/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৬ গতে ৩/৩৮ মধ্যে। 
১ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, বুধবার, ১৫ মে, ২০২৪। সপ্তমী দিবা ৬/৬। অশ্লেষা নক্ষত্র অপরাহ্ন ৫/১০। সূর্যোদয় ৫/০, সূর্যোদয় ৬/৭। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৬ গতে ১১/১০ মধ্যে ও ১/৫০ গতে ৫/২৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/৫০ মধ্যে ও ১১/৫৮ গতে ১/২২ মধ্যে। কালবেলা ৮/১৭ গতে ৯/৫৫ মধ্যে ও ১১/৩৪ গতে ১/১২ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৭ গতে ৩/৩৯ মধ্যে। 
৬ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: ৪ রানে আউট জয়সওয়াল , রাজস্থান ৪/১ (০.৪ ওভার), বিপক্ষ পাঞ্জাব

07:45:13 PM

স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে গুলি!
গুলিবিদ্ধ স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকো।  বুধবার সরকারি একটি বৈঠক সেরে ...বিশদ

07:25:00 PM

আইপিএল: পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত রাজস্থানের

07:18:27 PM

চিপসের প্যাকেট আনতে ভুল! ডিভোর্স চাইলেন স্ত্রী
দাম্পত্য সম্পর্কে চিড় ধরালো সামান্য একটি চিপসের প্যাকেট! শুনতে অবাক ...বিশদ

06:02:18 PM

বারাকপুরে রোড শো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের

05:31:23 PM

হাওড়ার ইছাপুরে রোড শো তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

04:15:04 PM