বহু প্রচেষ্টার পর পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে শরিকি সহমত। ব্যবসা, পেশা ও ধর্মকর্মে শুভ সময়। ... বিশদ
কৃশানু ওরফে রন্টু। শিল্পী ফুটবলার একটা গোটা প্রজন্মের আবেগ। অকালপ্রয়াত কৃশানুর জন্য ময়দানের গ্যালারি আজও দীর্ঘশ্বাস ফেলে। কোনও তরুণের চকিত থ্রু পাস নস্টালজিয়া বয়ে আনে— আহা ঠিক যেন কৃশানু...।
পুরনো বাড়ি। রক্ষণাবেক্ষণের বিস্তর সমস্যা। একদিকে কঠিন, কঠোর বাস্তব। অন্যদিকে আবেগ। সিদ্ধান্ত নেবার আগে অনেক টানাপোড়েন। শেষপর্যন্ত বাড়ি হস্তান্তরেই সম্মত হয় পরিবার। হাউহাউ করে কেঁদে ফেলেন ছেলে সোহম। কৃশানু পুত্রের স্মৃতিচারণ, ‘ছুটির দিনে বিশাল ছাদে বন্ধুরা ক্রিকেট খেলতাম। কলকাতায় থাকলে বাবাও যোগ দিত। ছোটবেলার টুকরো স্মৃতি চোখ ঝাপসা করে দিচ্ছে।’ স্ট্রী পনিও আবেগরুদ্ধ। নাকতলার এই পাড়া জানে তাঁদের প্রথম সবকিছু। কৃশানুর সঙ্গে প্রেম, বিয়ে, সোহমের জন্ম— সবকিছুর সাক্ষী এই বাড়ি। ২০০৩ সালের অভিশপ্ত ২০ মার্চ পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন কৃশানু। সেদিন নাকি রান্না চড়েনি এলাকার অনেক বাড়িতে। স্মৃতির ঝাঁপি উথলে ওঠে পনির। বললেন, ‘আমরা নিরুপায়। কিন্তু এই বাড়ি রক্ষণাবেক্ষণ করা সাধ্যের বাইরে’... বলতে চান আরও কিছু। কিন্তু গলার কাছে দলা পাকিয়ে ওঠে কান্না। সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ফ্ল্যাটের রং হবে লাল-হলুদ। ইস্ট বেঙ্গলের রং। কৃশানুর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন লাল-হলুদ শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার। তাঁর মন্তব্য, ‘ওই বাড়িতে পল্টুদা, জীবনদার সঙ্গে গিয়েছি। সুখদুঃখের স্মৃতি রয়েছে। ওর পরিবারের সঙ্গে ক্লাবের ভালোবাসার সম্পর্ক এখনও অটুট।’
পুরনো পাড়া ছেড়ে এখন ব্রহ্মপুরের ফ্ল্যাটে এখন রয়েছে গোটা পরিবার। পুরনো জার্সি, বুট, ট্রফি, মেমেন্টো, অসংখ্য মানপত্র আপাতত বাক্সবন্দি। অ্যাপার্টমেন্ট গড়ে উঠলে নতুনভাবে সাজানো হবে সবকিছু। ঝাঁ চকচকে ফ্ল্যাটের দিকে আঙুল উঁচিয়ে মানুষ বলবে, ‘এখানেই থাকতেন আমাগো রন্টুদা।’