সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
ঘড়ির কাঁটায় বেলা পৌনে ১১টা। মাঠে ঢুকলেন স্প্যানিশ কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। পরনে গাঢ় নীল শার্ট ও প্যান্ট। সঙ্গী সহকারী ডেলগাডো ও দুই ফুটবলার, ক্লেটন সিলভা ও শৌভিক চক্রবর্তী। তাঁর প্রশিক্ষণেই ট্রফির খরা কেটেছে ইস্ট বেঙ্গলের। আইএসএলে শেষ ম্যাচ পর্যন্ত দল ছিল প্লে-অফের লড়াইয়ে। তাই রবিবার স্প্যানিশ কোচের উপস্থিতি বারপুজোর উন্মাদনা বাড়িয়ে দিল কয়েকগুণ। রোদের প্রখর তাপ উপেক্ষা করেই হাসিমুখে সমর্থকদের সেলফির আব্দার মেটালেন লাল-হলুদ কোচ। সেই সঙ্গে আগামী মরশুমে দলের আরও ভালো পারফরম্যান্সের প্রতিশ্রুতিও দিলেন তিনি। বললেন, ‘বাংলা নববর্ষের দিনে সমর্থকদের এই উন্মাদনায় আপ্লুত। এই বিশেষ দিনে একটাই কথা বলব, ভরসা রাখুন। দল সঠিক পথেই এগচ্ছে। সুপার কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। পাশাপাশি ডুরান্ড কাপের ফাইনালে পৌঁছয়। আইএসএলে শেষ ম্যাচ পর্যন্ত প্লে-অফের জন্য লড়েছে। পরেরবার দল আরও ভালো ফল করবে।’ উল্লেখ্য, একটা সময় নববর্ষের দিনই নতুন মরশুমের অধিনায়কের নাম ঘোষণা করত ইস্ট বেঙ্গল। তাঁর হাত দিয়েই হতো বারপুজোর সংকল্প। রবিবার অবশ্য দুই প্রজন্মের দুই ফুটবলার মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য আর শৌভিক চক্রবর্তীর উপস্থিতিতে সম্পন্ন হল বারপুজো। সঙ্গে ছিলেন ক্লাব সচিব সহ একঝাঁক প্রাক্তনী। সমর্থকদের জন্য ছিল খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা। পাতে লুচি, ছোলার ডাল ও মিষ্টি।
আইএসএলে আশা জাগিয়ে এবারও লিগ টেবিলে নবম স্থানেই শেষ করে ইস্ট বেঙ্গল। তবে ব্যর্থতা ঝেড়ে আগামী মরশুমে ভালো দল গড়তে তৎপর ক্লাব। এই প্রসঙ্গে শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার বলেন, ‘কঠিন লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে চলেছি আমরা। ক্লাবকে হস্তান্তর না করার লড়াই। এরজন্য সময় লাগবে। এবার দল সুপার কাপ জিতেছে। আগামী মরশুমে আরও ভালো ফল করতে হবে। ট্রান্সফার ফি দিয়ে বেশ কয়েকজন ভারতীয় ফুটবলারকে সই করানোর চেষ্টা চলছে। প্রাক মরশুম প্রস্তুতি খুবই জরুরি। কোচের সঙ্গে আলোচনা করে তা বিদেশে করা সম্ভব কিনা, বিবেচনা করা হবে।’ উল্লেখ্য, ক্লেটন ও সাউলের পাশাপাশি হিজাজি মাহেরের সঙ্গে চুক্তি নবীকরণের কথা অনেকটাই এগিয়েছে। চলতি সপ্তাহেই হতে পারে ঘোষণা। ক্লেটন বলেন, ‘নতুন বছর সকলের ভালো কাটুক। গত মরশুমে সুপার কাপ জয় আমার কাছে সেরা মুহূর্ত। ১২ বছর পর দল সাফল্য পেয়েছে। ডার্বিতে গোল অবশ্যই তৃপ্তির। তবে ট্রফি জয়ের স্বাদ অতুলনীয়।’