গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
এদিন অভিজিৎবাবু আরও বলেন, রাজ্যে সরকারি স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে। অনেক স্কুল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সরকারি বিদ্যালয়ে উন্নতি ঘটানোর সুযোগ ছিল। এজন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় অর্থ পাওয়া যায়। কিন্তু, এই রাজ্য সরকার সেই টাকা আনেনি। শিক্ষকদের ট্রান্সফার নিয়ে আমি একসময় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলাম। তারপর জানতে পারি, বিকাশ ভবনে কান্নার রোল পড়ে গিয়েছে। শিক্ষকদের বদলিতে বিরাট অর্থ লেনদেন হয়। এটা একটা মধুচক্র। উৎসশ্রী পোর্টালের মাধ্যমে এই বেনিয়ম হতো। পরবর্তীতে সেই তদন্তের উপর স্থগিতাদেশ জারি হয়। আসলে বিচারব্যবস্থা সবসময় মানুষের দুঃখ বুঝছে না। তারা আইফেল টাওয়ারে বসে কাজ করছে।
বিজেপি প্রার্থী এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, অযোগ্য প্রার্থীদের স্কুলে ঢুকিয়ে এরাজ্যে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে। তাঁদের শিক্ষাদীক্ষা সম্পর্কে ধারণা কম। আজকের দিনে শিক্ষকরাও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে ভয় ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অনুগত না হলে অনেক দূরের স্কুলে ট্রান্সফার করে দেওয়া হয়। যে কারণে তাঁদের পড়ানোর মধ্যে মনোনিবেশ করতে সমস্যা হচ্ছে। শাসক দলের এই হুমকিকে প্রতিহত করতে হবে। এটা বেশিদিন থাকতে পারে না। প্রাক্তন বিচারপতি আরও বলেন, অনেক সময় শিক্ষক শিক্ষিকাদের পেনশন ফাইল নিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে ডিআই অফিসে গড়িমসি করা হয়। ওই কাজে বাগড়া দিলে ডিআইদের আটকে রাখুন। কতদিনের মধ্যে করে দেবেন জানতে চান। ওরা বলবেন, এক মাসের মধ্যে করে দেব। বলুন, এক মাস নয়, তিনদিন। তাঁরা করতে বাধ্য হবে। আসলে এঁদের সম্বন্ধে বলতে গিয়ে আমার মুখে খারাপ ভাষা এসে যাচ্ছে। যদিও শিক্ষিত মানুষজনের সামনে সেটা ব্যবহার করব না। আমি বিচারক থাকাকালীন এধরনের মামলায় কোর্টের বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখতাম। এনিয়ে আমার বদনাম ছিল। আসল কথা, ডিআইদের অত্যাচার বন্ধ করতে হবে। আমরা ক্ষমতায় এলে ডিআইদের বেড়াল বানিয়ে ছাড়ব। আমরা খুব শীঘ্রই রাজ্যে ক্ষমতায় চলে আসবে। সেটা ২০২৪সালেও হয়ে যেতে পারে। তারপর আমরা এসএসসি-র মাধ্যমে নিয়োগ দুর্নীতিরও তদন্ত করব।