গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
সংবাদদাতা, ঘাটাল: গৃহবধূকে ‘খুন’ করার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। মৃত গৃহবধূর নাম সঙ্গীতা মাইতি (২০)। দাসপুর থানার কাশীনাথপুরে তাঁর শ্বশুর বাড়ি। বুধবার সন্ধ্যায় শ্বশুরবাড়িতেই তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। বৃহস্পতিবার সঙ্গীতার বাপের বাড়ির পক্ষ থেকে শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করা হয়। পুলিস জানিয়েছে, ওইদিন রাতেই মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গৃহবধূর বাপের বাড়ির পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ জমা পড়েছে। পুলিস ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তবে কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।মৃতের বাপের বাড়ি ওই থানারই কুচামারিতে। সঙ্গীতা যখন মাধ্যমিকে পড়ত তখনই প্রশান্ত মাইতি নামে এক যুবক তাকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করে। সঙ্গীতার দিদি মৌসুমী রাউৎ বলেন, বিয়ের বিষয়টিতে প্রথমের দিকে আমাদের আপত্তি থাকলেও পরে মেনে নিই। প্রশান্ত ভিন রাজ্যে প্রিন্টিং প্রেসের কাজ করেন। সঙ্গীতা তাঁর শ্বশুর, শাশুড়ি এবং এক দিদি শাশুড়ির সঙ্গে গ্রামেই থাকত। দুই পরিবারের মধ্যে যাওয়া-আসাও শুরু হয়।সঙ্গীতার বাবা বলরাম জানা বলেন, বিয়ের বছর দুই বেশ সুখের সংসার চলছিল। তারপর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকেরা আমার মেয়ের উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার শুরু করে। মেয়ে আমাদের বাড়িতে ফোন করলেও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা সন্দেহ করত। ঠিকমতো খেতে দিত না। শখ-সাধও পূরণ করতে দিত না। বুধবার সন্ধ্যায় আমাদেরকে মেয়ের মৃত্যু সংবাদ দেওয়া হয়। গিয়ে দেখি, আমার মেয়েকে ওরা খুন করে টাঙিয়ে দিয়েছে।প্রশান্ত ভিন রাজ্যেই রয়েছে। ওই দিন বাড়িতে সঙ্গীতার শ্বশুর, শাশুড়ি এবং দিদি শাশুড়ি ছিল। বলরামবাবু বলেন, আমার জামাইয়ের প্ররোচনায় মেয়ের শাশুড়ি, শ্বশুর এবং দিদি শাশুড়ি মেয়েকে খুন করেছে। দোষীদের শাস্তি চেয়ে আমরা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি।
