গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
এদিন সকাল থেকেই খানাকুল, পুরশুড়া, গোঘাট থেকে বাস, ট্রেকার ও গাড়িতে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা সভাস্থলে ভিড় করতে থাকেন। মহিলাদের উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সহ বিভিন্ন প্রকল্প চালু করে মহিলাদের সম্মান দিয়েছেন। তাঁদের স্বনির্ভর হওয়ার পথ দেখিয়েছেন। এদিনের ভিড়ে সেই প্রতিফলনই দেখা গিয়েছে।
এদিন সভামঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যেও উঠে আসে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের কথা। তিনি বলেন, আমরা বলেছিলাম জিতলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার করে দেব। দিয়েছি কি দিইনি? এবার এখন বলছি, এটা আপনারা যতদিন বাঁচবেন ততদিন পাবেন। আর এই কথা শোনা মাত্রই মহিলা কর্মী-সমর্থকরা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন। করতালি, উলুধ্বনিতে উদ্বেল হয়ে ওঠে সভাস্থল।
রাজনৈতিক মহলের মতে, এবারের লোকসভা ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম হাতিয়ার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প। রাজ্য সরকারের এই প্রকল্প মহিলাদের আকৃষ্ট করেছে। তাই তৃণমূল কংগ্রেসের যেখানেই সভা সমিতি হচ্ছে, সেখানেই মহিলাদের ভিড় হচ্ছে নজরকাড়া। বিভিন্ন জায়গা থেকে মহিলারা জমায়েত করছেন। তাঁরা কেউ হাতে নিয়ে আসছেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কেউ আবার প্ল্যাকার্ড গলায় ঝুলিয়ে সভাস্থলে ঢুকছেন সগৌরবে।
গলায় প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে এদিন পুরশুড়া থেকে সভাস্থলে ভিড় করেছিলেন চৈতালি ঘোষ। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী আমাদের অনেক দিয়েছেন। বিভিন্ন প্রকল্পে আমরা সুবিধা পাচ্ছি। আমাদের সংসারে সচ্ছলতা ফিরেছে। এই সরকার থাকলে প্রকল্পের ভাতা বাড়বে। তাছাড়া মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন আজীবন এই প্রকল্পের সুবিধা মিলবে। তাই যিনি আমাদের জন্য এত করছেন, এদিন তাঁকে দেখতে এসেছিলাম। সামনে থেকে তাঁকে দেখে খুব খুশি হয়েছি। রুনা পারভিন নামে স্থানীয় এক মহিলা তৃণমূল কর্মী বলেন, অনেক সময় স্বামী আমাদের হাত খরচ দিতে অপারগ হয়ে ওঠে। তখন দিদির দেওয়া এই টাকা আমাদের অনেক কাজে আসে। বাড়ির ছোট ছেলেমেয়েদের কিছু কিনে দিতে পারি। দিদি আমাদের জন্য অনেকে করছেন।