নিজস্ব প্রতিনিধি, তমলুক ও সংবাদদাতা, বেলদা: বুধবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলাজুড়ে নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তী পালিত হল। জেলাশাসকের অফিসে কবিপ্রণাম অনুষ্ঠান হয়। উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক জয়সি দাশগুপ্ত, অতিরিক্ত জেলাশাসক(সাধারণ) সৌভিক চট্টোপাধ্যায়, অতিরিক্ত জেলাশাসক(জেলা পরিষদ) অনির্বাণ কোলে প্রমুখ। রবীন্দ্রসঙ্গীত, রবীন্দ্রনৃত্য ও আবৃত্তি ও আলোচনার সভার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়। 
পাঁশকুড়া ব্রাডলি বার্ট হাইস্কুলে প্রাকৃতিক পরিবেশে স্কুলের বকুলতলা প্রাঙ্গণে কবিগুরুর জন্মদিন পালিত হল। সঙ্গীত, নৃত্য ও আবৃত্তি পরিবেশন করা হয়। বিদ্যালয়ের শিক্ষক মানসকুমার দাস এবং অভিজিৎ মণ্ডল কবিগুরুর বিষয়ে বক্তৃতা রাখেন। নন্দকুমারের বেতকল্লা মিলনী বিদ্যাপীঠেও নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কবিগুরুর জন্মজয়ন্তী পালিত হয়। তাম্রলিপ্ত পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন সংস্থার উদ্যোগে তমলুক শহরে ১১নম্বর ওয়ার্ডে রবীন্দ্রজয়ন্তী পালিত হয়। স্কুল পড়ুয়ারা নাচ, গান, আবৃত্তিতে অংশগ্রহণ করে। 
পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন জায়গায় রবীন্দ্র জয়ন্তী পালন করা হয়। বেলদার রবীন্দ্রনগর নাগরিক কমিটি সহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিনটি পালন করা হয়। গান্ধী পার্কে বেলদা কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ‘সারাদিনমান রবীন্দ্রনাথ’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়। দাঁতনের অগ্নিবীণা ক্লাব ও পাঠাগারের উদ্যোগে সরাইবাজারে রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন দাঁতনের বিধায়ক বিক্রমচন্দ্র প্রধান। দাঁতনের ভট্টর কলেজ ছাত্র সংসদের উদ্যোগে ‘রবিপ্রণাম’ শীর্ষক অনুষ্ঠান করা হয়। মালযমুনা কালীপ্রসন্ন স্মৃতি হাইস্কুলেও কবিগুরুর জন্মদিন পালিত হয়। কেশিয়াড়িতে স্থানীয় কয়েকটি ক্লাব ও সংগঠনের পক্ষ থেকেও দিনটি পালন করা হয়। তবে এদিন কেশিয়াড়ি রবীন্দ্রভবনে অবস্থিত রবি ঠাকুরের আবক্ষ মূর্তিতে কোনও মালা দেওয়া হয়নি। পরে স্থানীয় এক যুবকের উদ্যোগে ওই মূর্তিতে মাল্যদান করা হয়।  মেদিনীপুরের রবীন্দ্র নিলয়ে রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন।-নিজস্ব চিত্র