গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
আরামবাগ জয় পেতে তৃণমূল এবার মরিয়া। মুখ্যমন্ত্রী এদিন সভামঞ্চ থেকে তৃণমূল প্রার্থীকে জয়ী করার আবেদন করেন। আরামবাগের মানুষের কাছে বাগদি সম্প্রদায় থেকে উঠে আসা উচ্চশিক্ষিত মিতালি বাগকে গ্ৰহণ করার আবেদন জানান। সেইসঙ্গে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, সিপিএমের হার্মাদ বাহিনীর লোকজন বিজেপিতে ঢুকেছে। বিজেপি জিতলে আবার ত্রাসের রাজনীতি শুরু হবে। শান্তি নাকি হিংসার রাজনীতি, কোনটা বেছে নেবেন আপনারা?
রাজনৈতিক হিংসার বাড়বাড়ন্ত নিয়ে তৃণমূল নেত্রীর গলায় উদ্বেগ শোনা যায়। তিনি বলেন, বিজেপির হার্মাদরা মিতালির গাড়ি ভাঙচুর করেছে। ওর ড্রাইভারের উপর হামলা চালিয়েছে। বুঝতেই পারছেন এরা কতটা বেপরোয়া। তাই আপনাদেরই ঠিক করতে হবে, কাকে ভোট দেবেন, এই বিজেপিকে নাকি স্বচ্ছ ভাবমূর্তির মিতালিকে?
রাজনৈতিক মহলের মতে, আরামবাগে মিতালি বাগকে প্রার্থী করে তৃণমূল এবার মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছে। সাধারণ ঘরের মেয়ের মতো তৃণমূল প্রার্থীর আচরণ মানুষের মন জয় করে নিচ্ছে। অভিনব প্রচার করে প্রতিদিন সংবাদের শিরোনাম আসছেন। মাটি কামড়ে লড়াই করছেন। স্বচ্ছ ভাবমূর্তির এই নেত্রীকে সামনে রেখে দলের নেতা-কর্মীরা প্রচারে ঝাঁপিয়েছেন। তাঁর হয়ে লড়াইয়ের জন্য দলের নেতা-কর্মীদের এদিন নির্দেশ দেন মমতা। কয়েকজন নেতার নাম ধরে বলেন আপনারা নিজেদের এলাকাটা দেখুন।
সভামঞ্চ তৃণমূল নেত্রীর গলায় মিতালির ভূয়সী প্রশংসা শোনা যায়। মমতা বলেন, মিতালি পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি জেলা পরিষদ করেছে। কিন্তু, ওর গায়ে কেউ কালির আঁচড় পর্যন্ত দিতে পারিনি। ও উচ্চ শিক্ষিত। দলটা ভালোভাবে করবে বলে বিয়ে পর্যন্ত করেনি। ওকে গ্ৰহণ করে নেওয়ার দায়িত্ব আপনাদের। ওকে জিতিয়ে দিন।
মিতালিদেবী বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর আশীর্বাদ আমরা মাথার উপর আছে। হামলা হওয়ার পর উনি আমার খোঁজ নিয়েছেন। উপেক্ষা, বঞ্চনার ভিতর দিয়ে উঠে এসেছি। আমরা দিদির অনুগত সৈনিক। মানুষের আশীর্বাদ নিয়েই আমরা আরামবাগ জয়লাভ করব।
আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর সভায় ভিড় হয়নি। দলীয় নেত্রীর উপস্থিতিতেই ওদের নেতারা নিজেদের মধ্যে অশান্তি করছে। বিদায়ী সাংসদকে ওরা মঞ্চে জায়গা দিতে পারছে না। মানুষ সবই বুঝতে পারছে। ভোটেই মানুষ সব জবাব দেবে।
আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি রামেন্দু সিংহরায় বলেন, মুখ্যমন্ত্রী সভায় এসে দলীয় নেতা-কর্মীদের কিছু বার্তা দিয়ে গিয়েছেন। দলের সকল নেতা-কর্মীকে সেই নির্দেশ পালন করতে হবে। সেইসঙ্গে আরামবাগের উন্নয়নের বার্তাও মুখ্যমন্ত্রী দিয়েছেন। বিশেষ করে আরামবাগ মাস্টার প্ল্যানের সঙ্গে বন্যা রোধে আরও হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। আরামবাগ জয় নিয়ে আমরা ১০০ শতাংশ আশাবাদী। বিদায়ী সাংসদ অপরূপা পোদ্দারের মঞ্চে উঠতে না পারার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিষয়টি জানি না। দল খতিয়ে দেখবে।