গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
বহরমপুরের বিষ্ণুপুর কালীবাড়ি রোডে জনস্রোতের উচ্ছ্বাসের মধ্যে অভিষেক বলেন, বাংলাজুড়ে ৪২টা আসনে আমাদের সরাসরি লড়াই বিজেপির বিরুদ্ধে। কিন্তু বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে আমাদের লড়াই বিজেপি প্রার্থী এবং তাঁর ড্যামি ক্যান্ডিডেটের বিরুদ্ধে। গত দশ বছরে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার বিমাতৃসুলভ আচরণ করলেও বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ কখনও মানুষের বঞ্চনা নিয়ে কথা বলেননি। বাংলার মানুষকে যখন কেন্দ্রের বিজেপি ভাতে মারতে চেয়েছিল, কংগ্রেসের সাংসদ কোনওদিন রাস্তায় নেমে একটা আন্দোলন বা প্রতিবাদ করেননি। তৃণমূল যখন কেন্দ্রের বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করছে, তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লাগাতার আক্রমণ করে বিজেপির হাত শক্ত করছে কংগ্রেস।
অভিষেক বলেন, অধীরবাবুর হতাশার বহিঃপ্রকাশ ঘটছে। সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা ভয়ে এখন তাঁর কাছে যাচ্ছেন না। আপনি যদি এমন করেন তাহলে তিন নম্বরের পরিবর্তে চার নম্বরে চলে যাবেন। পরাজয় যাতে সম্মানের হয়, সেটা সুনিশ্চিত করুন। হারবেন যখন সেটা সম্মানের সঙ্গে হারুন।
অভিষেক স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে স্লোগান তোলেন, বহরমপুরের মাটি থেকে বিজেপির এই এজেন্টকে হাটান। দিল্লিতে ইউসুফকে পাঠান। বাংলায় হিন্দু মুসলিমের বীজ বপন করে বিজেপি আমাদের সমাজে অশান্তি ছড়াতে চেয়েছিল। বাংলার মানুষকে লাগাতার ছোট করা হয়েছে। কখনও প্রতিবাদ করেননি অধীর চৌধুরী। বাংলাকে ভাতে মারলেও তাঁকে একবারও প্রতিবাদ করতে দেখা যায়নি। মানুষকে টেকেন ফর গ্রান্টেড হিসেবে নিয়েছেন ২৫ বছরের সাংসদ।
অধীরবাবু গত ২৫ বছরে কী কী কাজ করছেন, সেই খতিয়ান এদিন চাইলেন অভিষেক। তিনি বলেন, ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রে কংগ্রেসের সরকার ক্ষমতায় ছিল। তখন বহরমপুরের জন্য তো আপনি কাজ করতে পারতেন? কত কাজ করেছেন? কত উন্নয়নের ডালি নিয়ে মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন? ২০১৪ থেকে ২০২৪ সাল আরও ১০ বছর সাংসদ। তিনি একবারও বিজেপির সরকারের কাছে দরবার করেননি।
বহরমপুরে কংগ্রেস প্রার্থী এবার নিজেই বিজেপিকে ভোট দেবেন। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছেন অভিষেক। তিনি বলেন, ছ’মাস আগে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অধীরবাবু বলেছিলেন, ‘অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যদি ভোটে দাঁড়ান, সবার আগে ভোট আমি দেব’। এরপর অভিষেক অধীরবাবুর সেই বক্তব্য মোবাইলে বাজিয়ে শোনান। তারপর বলেন, অধীর চৌধুরী নিজেই যদি বিজেপিকে ভোট দেন, তাহলে আপনারা কেন কংগ্রেসকে ভোট দেবেন? উনি চ্যালেঞ্জ করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যাযয়ের ক্ষমতা থাকলে বহরমপুর এসে দাঁড়ান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তুই-তুকারি করছেন। উনি তো কোনও বিজেপি নেতাকে বলছেন না যে, বহরমপুরে আমার বিরুদ্ধে এসে আমাকে হারান। উনি নিজেও তো ভোট দিতে যাবেন। উনি কিন্তু নির্মলবাবুকে ভোট দেবেন। তাই আগামী ১৩ তারিখ বিজেপি এবং বিজেপির এই এজেন্টকে বহরমপুর থেকে হটাতে হবে।