গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
গত কয়েক বছর ধরেই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ছাত্রছাত্রীদের জয়যাত্রা অব্যাহত। টানা ১২বছর মাধ্যমিকে প্রথম স্থান ধরে রাখা এই জেলা এবার অবশ্য সেরার মুকুট খুইয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরকে পিছনে ফেলে মাধ্যমিকে পাশের নিরিখে সেরা হয়েছে কালিম্পং। তাই উচ্চ মাধ্যমিকে কী হবে তা নিয়ে চর্চা ছিলই। বুধবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশের সময় সাংবাদিক সম্মেলনে নজর ছিল গোটা জেলাবাসীর। দেখা যায়, বিগত বছরের মতো এবারও উচ্চ মাধ্যমিকে পাশের হারে এক নম্বর স্থানে রয়েছে শিক্ষায় এগিয়ে থাকা পূর্ব মেদিনীপুর। ২০১৬সালের পর স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা হয়নি। স্কুলে স্কুলে শিক্ষক শিক্ষিকার ঘাটতি প্রকট। অনেক স্কুলে উচ্চ মাধ্যমিকের সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা নেই। স্থানীয়ভাবে আগ্রহী যুবক-যুবতীদের নিয়ে কোনওরকমে ওইসব বিষয়ে স্কুলে পঠনপাঠন চলছে। এত প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও এই জেলা নিজেদের সেরার জায়গা দখল করে রেখেছে। তাছাড়া গত বছরের মতো এবারও জেলার পাঁচজন কৃতী ছাত্রছাত্রী মেধা তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন। তমলুক, হলদিয়া, কাঁথি এবং এগরা চার মহকুমা থেকেই পাঁচ পড়ুয়া মেধা তালিকায় জায়গা করে জেলার মুখ উজ্জ্বল করেছেন।শিক্ষক ঘাটতি, ড্রপআউট এবং বেসরকারি স্কুলে দাপটের মধ্যেও ৯৫.৭৭ শতাংশ ছাত্রছাত্রী উচ্চ মাধ্যমিকে পাশ করে জেলার মুখ উজ্জ্বল করেছেন। এনিয়ে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) শুভাশিস মিত্র বলেন, আমাদের জেলা থেকে ছাত্রছাত্রীরা মেধা তালিকায় জায়গা করে নিচ্ছেন। আবার পাশের নিরিখে এই জেলায় সবার শীর্ষে। এর নেপথ্যে কয়েকটি কারণ রয়েছে। প্রথমত, এই জেলার স্কুলগুলিতে পঠনপাঠনের মান ভালো। দ্বিতীয়ত, অভিভাবকরা সচেতন। তাঁরা নিজেদের সন্তানদের পড়াশোনায় আগ্রহী করার জন্য লেগে থাকেন। তৃতীয়ত, এই জেলায় ফার্স্ট লার্নারের সংখ্যা কম। তিন-চার পুরুষ ধরে পড়াশোনায় যুক্ত পরিবারের সংখ্যাই বেশি। এসব কারণেই পূর্ব মেদিনীপুরের এই সাফল্য।এবার উচ্চ মাধ্যমিকে দশম হয়েছেন তমলুক শহরের মানিকতলার তন্নিষ্ঠা দাস। তিনি মাধ্যমিকেও দশম হয়েছিলেন। ওই কৃতী ছাত্রীর মা মধুমিতা রায় দাস ময়নার মির্জানগর এজেএস বিদ্যাপীঠের ইংরেজির শিক্ষিকা। মধুমিতাদেবী বলেন, জেলার অভিভাবকরা ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা নিয়ে ভীষণ সচেতন। স্কুল এবং পরিবার থেকে সাপোর্ট আসায় ছাত্রছাত্রীদের লক্ষ্যে পৌঁছতে সুবিধা হয়।