গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
বাবা কাঞ্চন নন্দী রামপুরহাটের আয়াস হাইস্কুলের বাংলার শিক্ষক। মা তৃপ্তি কুণ্ডু রামপুরহাটের সুঁন্দিপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। কাঞ্চনবাবুর গ্রামের বাড়ি খয়রাশোল থানার পাঁচরার বাগাশোল গ্রামে। কর্মসূত্রে তিনি রামপুরহাটে থাকেন। ছোট থেকেই পড়াশোনায় অত্যন্ত মনোযোগী সৌম্যজিৎ। উচ্চ মাধ্যমিকে বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করেছিলেন। তাঁর বিষয়ভিত্তিক প্রাপ্ত নম্বর বাংলায় ৯৪, ইংরেজিতে ৯৯, গণিতে ১০০, কেমিস্ট্রি ও বায়োলজিতে ৯৯ করে নম্বর পেয়েছেন। প্রতিটি বিষয়েই তাঁর গৃহশিক্ষক ছিল।
খেলাধুলার প্রতি সৌম্যজিতের সেরকম টান নেই। তবে টিভিতে হলিউডের সিনেমা দেখতে তাঁর খুবই ভালো লাগে। একটা সময় বাড়িতে গান বাজনার চর্চা করতেন। কিন্তু মাধ্যমিকে আশানুরূপ ফল না হওয়ায় সেই চর্চা বন্ধ করে সময়টা পড়াশোনায় দেন। তিনি বলেন, নির্দিষ্ট সময় বেঁধে পড়াশোনা করতাম না। পড়ার ফাঁকে সুকুমার রায় ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বইও পড়তাম। মাধ্যমিকের সময় যেহেতু কোভিডকাল ছিল, তখন অনলাইন ক্লাস চলত। তাতে খুব একটা মনোযোগী হতে পারিনি। প্র্যাকটিসও সেভাবে করতে পারিনি। ফলে মেধাতালিকায় স্থান করে নিতে পারিনি। সেই দুঃখ ও আক্ষেপ থেকে আমি উচ্চ মাধ্যমিকে পড়াশোনায় বেশি মনোযোগ দিই। হাতেনাতে সেই ফল মেলায় আমি খুশি।
আগামী প্রজন্মের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, সর্বক্ষণ পড়লেই যে সাফল্য আসবে এমনটা নয়। সিলেবাস তাড়াতাড়ি শেষ করতে হবে। নিয়মিত প্র্যাকটিস চালিয়ে যাওয়া আবশ্যিক। ক্লাস বা টিউশনের পরীক্ষায় কম নম্বর পাওয়া নিয়ে ভেঙে পড়লে চলবে না। আমি টেস্ট পরীক্ষায় ৪৬০ নম্বর পেয়েছিলাম। আসলে আমি কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি, নিজের কাছে সেই বিষয়ে স্পষ্ট থাকা প্রয়োজন।
কাঞ্চনবাবু বলেন, ছেলেকে বাড়িতে বাংলা বিষয় ববাবরই আমিই দেখিয়ে এসেছি। মাধ্যমিকের সময় ছেলে ও আমি দু’জনে খুবই পরিশ্রম করেছিলাম। কিন্তু আশানুরূপ ফল হয়নি। তাই উচ্চ মাধ্যমিকে এত ভালো ফল করবে তা ভাবিনি। ও নিজের চেষ্টায় রাজ্যের মেধাতালিকায় জায়গা পাওয়ায় ভীষণ আনন্দ হচ্ছে। ওর এই সাফল্যের পিছনে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অবদান যথেষ্ট। স্কুলের প্রধান শিক্ষক কৌস্তভ দত্ত বলেন, বিদ্যালয়ের সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা সহ সকলে খুশি ও আনন্দিত। সৌম্যজিৎকে অসংখ্য শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। ও খুবই ভালো ছেলে। প্রতিবছর মাধ্যমিক না হয় উচ্চ মাধ্যমিকে মেধাতালিকায় এই বিদ্যালয় স্থান দখল করে আসছে। কৃতী পডুয়াদের জন্য সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে।