গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
কৃষ্ণনগর সংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান রূকবানুর রহমান বলেন, ‘জয়ের ব্যাপারে আমাদের কোনও সংশয় নেই। কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্র তৃণমূলের দুর্জয় ঘাঁটি। এখানে বিরোধীরা দাঁত ফোটাতে পারবে না। আমরা সমস্ত দিক নজরে রাখছি। কোথাও ক্ষোভ-বিক্ষোভ থাকলে আমরা আলোচনা করে মিটিয়ে নিচ্ছি। কারণ, এই লড়াই কারও ব্যক্তিগত লড়াই নয়। এটা এক স্বৈরাচারী সরকারকে মুখের উপর জবাব দেওয়ার লড়াই। সেখানে কোনও কিছুর সঙ্গেই আপোস করা যাবে না।’ কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্র তৃণমূলেরও প্রেস্টিজ ফাইটের জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মোদি সরকারের স্বৈরাচারী সিদ্ধান্তে পদ গিয়েছে নির্বাচিত সাংসদ মহুয়া মৈত্রের। তাঁকেই ফের টিকেট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে ঘাসফুল শিবির। ভোটে জিতে শুধু আসন দখল নয়। কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের লড়াই হয়ে দাঁড়িয়েছে স্বৈরাচারী সরকারের মুখ বন্ধ করারও। তাই কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে ভোটের লড়াইকে মোদি বিরোধী ‘আন্দোলন’ হিসেবেই দেখছে ঘাসফুল শিবির। সম্প্রতি তেহট্ট ও কালীগঞ্জে মমতা-অভিষেকের ভাষণে তা আরও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে কৃষ্ণনগর অপেক্ষাকৃত তৃণমূলের ‘সেফ’ সিট। সংখ্যালঘু ভোট ও রাজ্যে সরকারের উন্নয়ন এই কেন্দ্রে তৃণমূলের ভোট বৈতরণী পার করার অন্যতম হাতিয়ার। অথচ, গত কয়েক মাসে কৃষ্ণনগর লোকসভায় রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট অনেক পরিবর্তন হয়েছে। সহজ সিটে তৃণমূলের লড়াই কঠিন করে তুলেছে বেশ কিছু বিষয়। যার মধ্যে অবশ্যই রয়েছে, সংখ্যালঘু ভোট কেটে বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দিতে বাম-কংগ্রেস জোটের লড়াই। যা নিয়ে কালীগঞ্জে এসে সরব হয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
ফলে, মহুয়াকে জেতানোর লড়াইকে এখন আর হালকাভাবে নিতে চাইছেন না জেলার তৃণমূল নেতারা। আদা জল খেয়ে ময়দানে নেমেছেন তাঁরা। বুথে বুথে মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়ে নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক শক্তিশালী করা হচ্ছে। তার মাঝেই জেলার কিছু ‘তরমুজ’ নেতার তলে তলে ভোট কাটার অসৎ উদ্দেশ্য সামনে আসছে। তাতে অস্বস্তিতে পড়েছে শাসকদল। ওইসব নেতারা দলের হয়ে প্রচারে থাকছেন ঠিকই। সেইসঙ্গে দলের বিরোধী গোষ্ঠীর নেতাকে টাইট দিতে রাম-বামের সঙ্গে অশুভ আঁতাত করছেন বলে অভিযোগ।
তৃণমূলের এক নেতার কথায়, ‘এই সমস্ত নেতারা দু’নৌকায় পা রেখে চলছেন। ভোটের পর এদের হিসেবে হবে।’ বস্তুত এইসব নেতাদের পিছনে ‘গোয়েন্দা’ লাগিয়ে নজর রাখছে দল। যদিও রাজনৈতিক মহলের দাবি, এইসব করে বর্তমানে ভোট প্রভাবিত করা সহজ নয়। কারণ, মানুষ এখন রাজনৈতিকভাবে অনেক বেশি সচেতন। তাঁরা জানে কাকে ভোট দিতে হবে। সেই সিদ্ধান্তও নিয়ে ফেলেছে। স্থানীয় নেতা এসে বললেন আর সিদ্ধান্ত বদল করে ফেলবেন, সেটা হবে না।