গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
সোমবার অমিত শাহের সভামঞ্চে দিলীপ ঘোষ জানান, বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের গ্রামে গ্রামে গিয়েছেন। মানুষ তাঁকে বলছেন, কোনও এমপিকেই দেখেননি। পোড় খাওয়া নেতা দিলীপবাবু একথা বলে এই এলাকার বিজেপিরই বিদায়ী এমপি সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়াকে খোঁচা দিলেন কিনা তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে।
বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্র বৈচিত্র্যে ভরা। দুর্গাপুর, পানাগড় এলাকায় শিল্পাঞ্চল যেমন রয়েছে তেমনই বর্ধমান, গলসি, মন্তেশ্বর, ভাতারে বিস্তীর্ণ কৃষিজমি রয়েছে। এই লোকসভা কেন্দ্রে লক্ষ লক্ষ কৃষক পরিবারের সদস্য রয়েছেন। এই ভোটারদের অবস্থানই অনেকের মাথাব্যথার কারণ। হরিয়ানা ও পাঞ্জাবের কৃষকরা মূলত দিল্লির কৃষক আন্দোলনের নেতৃত্ব দিলেও চাষিদের উপর পুলিসি অত্যাচার দেশের প্রতিটি কৃষক পরিবারকেই আঘাত দিয়েছিল। সারের দাম বাড়া, ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ঘোষণা না করা সহ নানা ইসুতে কেন্দ্র সরকারের প্রতি ক্ষোভ চরমে উঠেছে চাষিদের। সেই ক্ষোভই আছড়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন দিলীপবাবু। সোমবার দুর্গাপুরে শাহের সভামঞ্চ থেকেই দিলীপবাবু চাষিদরদী হয়ে ওঠেন।
দামোদর নদের উপর থাকা দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকেই ক্যানেলের মাধ্যমে বর্ধমানের বিস্তীর্ণ অংশে সেচের জল পৌঁছনো হয়। সভায় দিলীপবাবু বলেন, চাষিরা চাষ করার জন্য পর্যাপ্ত জল পাচ্ছেন না। পলি তোলার জন্য দুর্গাপুর ব্যারেজ ড্রেজিং করতে হবে। রাজ্য সরকার কেন্দ্রের কাছে তার আবেদনই করেননি। আমি জয়লাভ করার পর কেন্দ্রীয় সরকারের মাধ্যমে ড্রেজিং করাতে উদ্যোগী হব। চাষিরা পর্যাপ্ত চাষের জল পাবেন। বিজেপি বিরোধী দলগুলির দাবি, বিজেপির এই গ্যারান্টিও বহু পুরনো। তাতে কাজ হবে না। কৃষকসভার রাজ্য সম্পাদক অমল হালদার বলেন, বিজেপি ও তৃণমূল, দুই সরকারই চাষিদের জন্য কিছুই করেনি। মোদি সরকার ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ধার্য করেনি। বাজেটে ৬২ হাজার কোটি টাকার সারের ভর্তুকি কমিয়েছে। সারের দাম বাড়ছে। বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছেন কৃষকরা। ব্যারেজ ড্রেজিং করাই এখন নির্বাচনী চমক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বনাথ পাড়িয়াল বলেন, বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নৌকাবিহার করে ড্রেজিং করার কথা জানিয়েছিলেন। গতবার বিজেপির প্রার্থী আলুওয়ালিয়াও ব্যারেজ ড্রেজিং করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। দশ বছরের বিজেপি সরকার কেন এই কাজ করল না? ওদের ভাঁওতায় আর মানুষ বিশ্বাস করে না। ফাইল চিত্র