ঘরে বা পথেঘাটে পড়ে গিয়ে শরীরে বড় আঘাত পেতে পারেন। আমদানি রপ্তানির ব্যবসা ভালো হবে। ... বিশদ
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, সালার থানার কাগ্রামের বাসিন্দা মীর হাবিবুর রহমান ওরফে টগর শেখ(৫৪) পেশায় গোরু ব্যবসায়ী ছিলেন। প্রতিবেশী গ্রামগুলিতে তিনি গোরু কেনাবেচা করতেন। ২০২১ সালের ৩০ অক্টোবর সকালে তিনি বাইকে করে প্রতিবেশী বাবলা গ্রামে এসেছিলেন গোরু বিক্রির টাকা আদায়ের জন্য। এরপর দুপুরে সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে বহড়া গ্রামের পিন্টু শেখের চায়ের দোকানের কাছে কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁর পথ আটকায়। দুষ্কৃতীরা বাইক থেকে টেনে নামিয়ে আনে হাবিবুর শেখকে। এরপর প্রকাশ্যে তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়। এমনকী মৃতের কাছে থাকা টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। পরে তাঁকে সালার ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক মৃত বলে জানান।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে মৃতের ছেলে ফিরোজ আলি বহড়া গ্রামের আনারুল শেখ, বসির শেখ, জয়নাল শেখ, সোয়াদ শেখ ও কাগ্রামের ভুলু শেখের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে সালার থানার পুলিস খুনের ঘটনার তদন্ত শুরু করে। পুলিস আনারুল ও বসিরকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর থেকেই তারা জেল হেফাজতে ছিল। যদিও বাকি অভিযুক্তরা জামিনে ছাড়া পেয়েছিল। মৃতের ছেলে ফিরোজ আলি বলেন, বাবার খুনে অভিযুক্তরা সকলেই জমি কেনাবেচা করত। ভয় দেখিয়ে জমি হাতিয়ে নিত ওরা। বাবা গোরুর ব্যবসা করলেও ওই জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। একাই জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলেন। সেই কারণেই বাবাকে খুন করা হয়।
এদিকে বৃহস্পতিবার ধৃত পাঁচজনকে ফের আদালতে তোলা হলে বিচারক সকলকে দোষী সব্যস্ত করেছিলেন। এরপর এদিন তাদের সাজা ঘোষণা হয়। এবিষয়ে আদালতের সরকারি আইনজীবী সুকান্ত মুখোপাধ্যায় বলেন, জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় খুন করা হয়েছিল ওই প্রৌঢ়কে। এই মামলায় মোট ২৪ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। নৃশংস এই খুনের ঘটনায় বিচারক পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন।