ঘরে বা পথেঘাটে পড়ে গিয়ে শরীরে বড় আঘাত পেতে পারেন। আমদানি রপ্তানির ব্যবসা ভালো হবে। ... বিশদ
ওইদিনের সভায় দলীয় প্রার্থী ছাড়াও তৃণমূলের বহরমপুর-মুর্শিদবাদ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অপূর্ব সরকার সহ কয়েকজন বিধায়ক হাজির ছিলেন। সেখানে বক্তব্য রাখতে মমতা বলেন, নির্বাচন কমিশনের প্রতি সম্মান রেখেই বলছি। বিশ্বগুরুকে সমর্থন জানানোর জন্য ওরা স্পিকটি নট হয়ে বসে আছে। আপনাকে স্যালুট ভয়েস মাস্টার। প্রথম ফেজে একটা হিসেব দিলেন। পরের ফেজে আবার একটা হিসেব দিলেন। আর মঙ্গলবার রাতে আরও একটা হিসেব দিলেন। তাতে ভোটদানের হার বেড়ে গেল ৫.৭৫ শতাংশ। তার মানে অনেক রাজ্য অনেক রাজনৈতিক দল আছে, যারা এবিষয়ে নজর রাখে না। কিন্তু আমরা রাখি। ভিনরাজ্যের সমস্ত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে আমরা অনুরোধ করছি, একটু খেয়াল রাখুন ইভিএম মেশিনের উপর। আপনাদের গণনাকেন্দ্রগুলিতে নজর রাখুন। কারণ ১৯ লক্ষ ইভিএম মেশিন মিসিং হয়ে আছে। যে ১৯ লক্ষ ইভিএম মেশিন মিসিং হয়ে আছে, সেটা আমরা অনেকদিন ধরেই জানি। ওই মেশিন কোথায় গেল আজও তার কোনও জবাব মেলেনি। বিজেপি ওই মেশিনগুলি ব্যবহার করছে। ভোটদানের পর বিজেপি আসল মেশিন বদলে দিচ্ছে। আমাদের সন্দেহ দানা বেঁধেছে। তাই আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে জানতে চাই কোন বিধানসভায় কত ভোট হয়েছে, কোন বুথে কত ভোট হয়েছে, কত শতাংশ ভোট হয়েছে? বিস্তারিত তথ্য চাই। কমিশনের হিসেব অনুযায়ী ৫.৭৫ শতাংশ ভোট জাম্প হয়েছে। আমাদের দলের পক্ষ থেকে এবিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে জানতে চেয়েছি। ইভিএমের চিপ কে তৈরি করেছে সেটাও জানতে চাই।
মমতা বলেন, বিজেপি রাতের বেলায় কাউন্টিং সেন্টারগুলিতে যাচ্ছে। যেখানে বিজেপি দুর্বল, সেখানে গিয়ে কাউন্টিং ঘরের তালা ভেঙে এভিএম মেশিন বদলে দিচ্ছে। আমাদের রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী বিজেপির তাঁবেদারি করছে। আমাদের উপর নির্যাতন করছে। আমরা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বলতে চাই, আপনাদের অনেকদিন চাকরি আছে। শুনে রাখুন বিজেপি ক্ষমতায় আসবে না। এবার ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসতে চলেছে। এদিকে ওইদিনের সভায় মুখ্যমন্ত্রী বহরমপুর কেন্দ্রের বিদায়ী সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরীর নাম না করে বলেন, আপনাদের ঘরের ছেলে সকালে বিজেপির পা ধরে। বিকেলে সিপিএমের পা ধরে। আর রাতের বেলায় নিজের পা ধরে। লোকসভার বিরোধী দলনেতা বিজেপির এজেন্ট। তা না হলে জেলায় নাড্ডা এলেন, যোগী আদিত্যনাথ এসে তাঁর বিরুদ্ধে মুখ পর্যন্ত খুললেন না কেন?