ঘরে বা পথেঘাটে পড়ে গিয়ে শরীরে বড় আঘাত পেতে পারেন। আমদানি রপ্তানির ব্যবসা ভালো হবে। ... বিশদ
এপিসি ব্লাইন্ড স্কুলের পাঁচ দৃষ্টিহীন পরীক্ষার্থী অর্পিতা ঘোষ, মালা বাগ, পিনাকী ঘোষ, প্রকাশ রবিদাস ও মহম্মদ কাইফ। নবদ্বীপের স্কুল থেকে পরীক্ষায় বসলেও অর্পিতার বাড়ি কৃষ্ণনগরে, মালার বাড়ি কালনায় ও পিনাকীর বাড়ি গুপ্তিপাড়ায়। প্রকাশ বীরভূম ও কাইফ মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। তারা প্রত্যেকেই ছোটবেলা থেকে নবদ্বীপ এপিসি ব্লাইন্ড স্কুলের হস্টেলে থেকে পড়াশোনা করেছে। এবারের মাধ্যমিকে তারা নবদ্বীপ ধাম বিদ্যাপীঠ স্কুলে জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা দিয়েছিল। মহম্মদ কাইফ তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নম্বর পেয়েছে। প্রত্যেকেরই একটাই লক্ষ্য, ভালো করে পড়াশোনা করে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়া। এপিসি ব্লাইন্ড স্কুলের প্রধান শিক্ষক বাসুদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ২০১৮ সালে আমাদের স্কুল মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অনুমোদন লাভ করেছে। এবছর পাঁচজন মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে। হস্টেলে থেকে ব্রেইল পদ্ধতিতে পড়াশোনা করে ওরা।
বাসুদেববাবু বলেন, এই ছাত্রছাত্রীদের বেশিরভাগেরই পরিবারের আর্থিক অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। দৃষ্টিহীনদের জন্য যদি আলাদা কোনও মহাবিদ্যালয় থাকত, আবাসিক হিসেবে সেখানে থেকে উচ্চশিক্ষা লাভ করত-তাহলে ভালো হতো। বর্তমানে এপিসি ব্লাইন্ড স্কুলে ৫২জন পড়ুয়া রয়েছে। প্রি-প্রাইমারি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হয়। তবে স্কুলে শিক্ষকের সংখ্যা মাত্র তিনজন। এই কয়েকজন শিক্ষক নিয়ে এত বড় স্কুল চালাতে হিমসিম খেতে হয় বলে বাসুদেববাবু জানান।