ঘরে বা পথেঘাটে পড়ে গিয়ে শরীরে বড় আঘাত পেতে পারেন। আমদানি রপ্তানির ব্যবসা ভালো হবে। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতাপপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে কাঁটাবেড়িয়া গ্রাম। এলাকায় দীর্ঘদিনের পুরনো রাধামাধব মন্দির রয়েছে। অণ্ডাল থানা এলাকার মহন্ত জমিদার আমলের ওই মন্দির। জমিদারদের বহু জমি বহু বছর আগে সরকার অধিগ্রহণ করে। কাঁটাবেড়িয়া গ্রাম থেকে দুর্গাপুর আসা যাওয়ার প্রধান পিচ রাস্তার পাশে ওই সব সরকারি জমি অবৈধভাবে বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, ওই মন্দির কমিটির সঙ্গে বেশ কিছু অসাধু লোকজন মন্দিরের ট্রাস্টির নাম করে সরকারি জমি প্লটিং করে বিক্রি করছে। পঞ্চায়েত প্রধান সীতারাম রুইদাসের বাড়ির পাশে ওই সরকারি জমি বিক্রি হচ্ছে। তার মধ্যে একশ্রেণির দালালচক্র ওই জমি কেনাবেচা করে দেদার রোজগার করে চলেছে। অবিলম্বে সরকারি সম্পত্তি রক্ষা করতে প্রশাসনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার।ওই জমির ক্রেতা অশোক দাস বলেন, মন্দির কমিটিকে প্রতি কাঠা জমির জন্য ৫০ হাজার টাকা করে দিয়েছি। অথচ জমির নথিপত্র কিছু নেই।
মন্দির কমিটির সদস্য শ্যামল কর্মকার বলেন, সরকারি জমি আমরা বিক্রি করছি না। গ্রামের লোকজন বাড়ি করার জন্য নিচ্ছেন। তার জন্য মন্দিরকে অনুদান দিচ্ছেন। তবে আর কাউকে এভাবে জমি দেওয়া হবে না।
পঞ্চায়েত প্রধান সীতারাম বলেন, মন্দির কমিটি জনিয়েছে তাদের জমি। জমি মন্দিরের না সরকারের খতিয়ে দেখার জন্য ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরে নথিপত্র পাঠানো হয়েছে।পশ্চিম বর্ধমান জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পাদক সুজিত মুখোপাধ্যায় বলেন, মন্দিরের জমি হলেও দেবত্র সম্পত্তি এভাবে বিক্রি করা যায় না। সরকারি জমি কি না, খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের বিডিও অর্ঘ্য মুখোপাধ্যায় বলেন, বিষয়টি জানা ছিল না। ভূমি ও ভূমি সংরক্ষণ দপ্তরকে ওই জমির নথিপত্র খতিয়ে দেখার জন্য বলা হবে।
নিজস্ব চিত্র