বহু প্রচেষ্টার পর পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে শরিকি সহমত। ব্যবসা, পেশা ও ধর্মকর্মে শুভ সময়। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন বাঁকুড়া সীমানার শেষ এবং পুরুলিয়া জেলার শুরু গড়শিকা গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘোড়ামুর্গা গ্রাম থেকে বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকার র্যালি শুরু করেন। প্রার্থী ছাড়াও রঘুনাথপুরের বিধায়ক বিবেকানন্দ বাউরি, রঘুনাথপুর বিধানসভার কনভেনর অরূপ আচার্য, এসসি মোর্চার বাঁকুড়া জেলা সভাপতি মামনি বাউরি প্রমুখ ছিলেন। র্যালিটি ঘোড়ামুর্গা গ্রাম থেকে বেরিয়ে মাড়বেদিয়া, কালিপাহাড়ী, হাঁসডিমা, তিয়াসি হয়ে গড়শিকা গ্রামে প্রবেশ করে। অভিযোগ, র্যালিটি গড়শিকা গ্রামে ঢোকার সময় হঠাৎ তিন তৃণমূলকর্মী দলীয় পতাকা নিয়ে তা আটকে দেয়। এনিয়ে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে তৃণমূল কর্মীদের বচসা হয়। উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতিও শুরু হয়ে যায়। পরে বিজেপি কর্মীরা তৃণমূলের তিন কর্মীকে এক সাইডে সরিয়ে র্যালি এগিয়ে নিয়ে যায়। ঝামেলার সময় গ্রামের এক বিজেপি কর্মী র্যালির পিছনে গাড়ি দাঁড় করিয়ে সামনে এসেছিলেন। ঝামেলার পর তিনি র্যালির পিছনে থাকা গাড়িটি আনতে যান। অভিযোগ, সেই সময় ওই বিজেপি কর্মীকে তৃণমূলের কর্মীরা কাঠ দিয়ে আক্রমণ করে। তাঁর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করা হয়। তিনি জখম হন। বিজেপি কর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত চিকিৎসার জন্য মুরাডি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠান। খবর পেয়ে পুলিস ঘটনাস্থলে আসে। দু’পক্ষের ঝামেলা মিটিয়ে র্যালিটি গ্রাম থেকে বের করে।
জখম বিজেপি কর্মী মৃত্যুঞ্জয় হাঁড়ি বলেন, এদিন আমাদের র্যালি গ্রামে প্রবেশ করতেই তৃণমূলের কয়েকজন ঝান্ডা নিয়ে এসে বাধা দেয়। আমি র্যালির পিছনে ছিলাম। হঠাৎ ঝামেলা হচ্ছে দেখে পিছনে বাইকটি দাঁড় করিয়ে সামনে যাই। ঝামেলার পর বাইকটি নিতে আমি র্যালির পিছনে গিয়েছিলাম। তখনই কয়েকজন এসে আমাকে লাঠি নিয়ে আক্রমণ করে। অভিযোগকারী রঘুনাথপুর বিধানসভার কনভেনর অরূপ আচার্য বলেন, তৃণমূলের স্বভাব হচ্ছে গায়ে পড়ে ঝগড়া লাগানো। ওরা রাজনৈতিকভাবে লড়াই করতে পারছে না। তাই সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে ভোটে জিততে চাইছে। এদিন নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে র্যালি করা হচ্ছিল। তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়েছে। পুলিস অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার না করলে আগামী দিন থানা ঘেরাও করে বৃহত্তর আন্দোলন হবে।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, বিজেপির পায়ের তলার মাটি সরে যাচ্ছে। মানুষ ওদের গ্রহণ করছে না। মানুষ জবাব চাইছে। আর বিজেপি জবাব দিতে পারছে না। তাই ওরা তৃণমূলের নাম নিয়ে মিথ্যা নাটক করছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে এই বিজেপি কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।-নিজস্ব চিত্র