ঘরে বা পথেঘাটে পড়ে গিয়ে শরীরে বড় আঘাত পেতে পারেন। আমদানি রপ্তানির ব্যবসা ভালো হবে। ... বিশদ
পুষ্পিতার বেড়ে ওঠা শিক্ষার পরিবেশের মধ্যেই। বাবা গৃহশিক্ষক, মা একটি স্কুলের পার্শ্বশিক্ষিকা। বাড়িতে বাবা, মায়ের কাছেই পড়াশোনার যাবতীয় সমস্যা বুঝে নিত পুষ্পিতা। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৯১। পুষ্পিতা বলে, আমি নিয়মিত স্কুলে যেতাম। তার বাইরে যতক্ষণ সময় পেয়েছি পড়াশোনার চেষ্টা করেছি। নিজেই নোট তৈরি করেছিলাম।
মেধাতালিকায় ৬৮৭ নম্বর পেয়ে সপ্তম স্থান ছিনিয়ে নিয়েছে আরত্রিক। সিউড়ির ইন্দিরাপল্লিতে তার বাড়ি। একেবারে প্রি প্রাইমারি থেকেই তার শিশু মন্দিরে পড়াশোনা শুরু। তার সাফল্যেও খুশির হাওয়া বইছে শিক্ষা মহলে। ছেলের সাফল্যে আনন্দাশ্রু বাবা স্কুলশিক্ষক অভিব্রত সৌয়ের। আবেগঘণ হয়ে আরত্রিক বলে, ভালো ফল হবে আশায় ছিলাম। কিন্তু এতটা হবে বুঝিনি। অঙ্কে ৯৯, ভূগোলে ১০০ পেয়েছি। ভবিষ্যতে ইঞ্জিনিয়ার হতে চাই। শুধু পড়াশোনা করতাম না। গিটার বাজানো, ক্যারাটে শেখা সবই সমানভাবে চালিয়ে গিয়েছি। সামনের বছরগুলিতে আরও ভালো পড়াশোনা করতে চাই।
চন্দ্রদীপের প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৫। সে টেস্ট পরীক্ষায় ৬৭০ নম্বর পেয়েছিল। ফাইনাল পরীক্ষায় অনেকটা নম্বর বাড়ায় উচ্ছ্বসিত সে। বাবা পূর্ণচন্দ্র দাস প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। অঙ্ক, জীবন বিজ্ঞানে ১০০ নম্বর পেয়েছে সে। চন্দ্রদীপের স্বপ্ন বড় হয়ে চিকিৎসক হওয়া। সেই লক্ষ্যেই সে নিয়মিত পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে। সে বলে, বড় হয়ে চিকিৎসক হতে চাই। দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল। স্কুলের শিক্ষক থেকে শুরু করে গৃহশিক্ষক প্রত্যেকেই আমাকে সাহায্য করেছেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সৌমেন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, প্রতিবারই আমাদের স্কুল থেকে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকে র্যাঙ্ক থাকে। এবারও চন্দ্রদীপ আমাদের মুখ উজ্জ্বল করল। ওকে অভিনন্দন।
সিউড়িতে এদিনই বিকেলে সপ্তম স্থানাধিকারী অভিব্রতকে অভিনন্দন জানাতে যান তৃণমূল প্রার্থী তথা বিদায়ী সাংসদ শতাব্দী রায়। ফুলের তোড়া, মিষ্টি দিয়ে তিনি অভিনন্দন জানান। এছাড়াও শিক্ষা সেলের শিক্ষকরাও শুভেচ্ছা জানাতে উপস্থিত ছিলেন।
সিউড়ির চন্দ্রগতি স্কুলের ফলাফল অত্যন্ত ভালো হয়েছে। স্কুলের ছাত্র প্রিয়াংশু ঘোষ ৬৮৩ নম্বর পেয়েছে। এক নম্বরের জন্য সে মেধাতালিকায় স্থান পায়নি। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুমন্ত রাহা বলেন, স্কুলের ফলাফল যথেষ্ট ভালো হয়েছে। মোট ১৩৬ জন পড়ুয়ার মধ্যে ১৩৫ জন পাশ করেছে। এতে আমরা খুশি।