বহু প্রচেষ্টার পর পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে শরিকি সহমত। ব্যবসা, পেশা ও ধর্মকর্মে শুভ সময়। ... বিশদ
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, হলদিয়ায় বিজেপির বিধায়ক ও প্রাক্তন চেয়ারম্যানের গোষ্ঠী দু’পক্ষেই আদি ও নব্যরা ভাগাভাগি হয়ে রয়েছে। নিষ্ক্রিয়দের প্রচারের কাজে লাগাতে গিয়ে শিল্পশহরে বিজেপির নয়া কৌশল ভোটের মুখে কার্যত বুমেরাং হয়ে ফিরছে। নির্বাচনের সময় হঠাৎ প্রাক্তন চেয়ারম্যানের আগমন এবং কারখানার গেটে গিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে জনসংযোগ মেনে নিতে পারছে না বিধায়ক গোষ্ঠী। শিল্পাঞ্চলে গেট দখল নিয়ে দু›পক্ষের ঠান্ডা লড়াই নজরে রাখছেন শ্রমিকরাও। বিজেপির গোষ্ঠীবাজির খপ্পরে পড়ে দাবিদাওয়া ও বেতনচুক্তি নিয়ে আন্দোলন করতে গিয়ে শ্রমিকদেরও দ্বন্দ্বের মধ্যে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ। ফলে শিল্পশহরে ভোটে নির্ণায়ক শক্তি শ্রমিকরা কতটা পদ্মশিবিরের পক্ষ নেবেন, তা নিয়ে অঙ্ক কষা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তবে হলদিয়ার শ্রমিকদের ভোট একচেটিয়া তারাই পাবেন বলে প্রবল আশাবাদী বিজেপি নেতৃত্ব। বিধায়ক গোষ্ঠীর নেতা শ্যামল মাইতি বলেন, হলদিয়ায় বিধায়ক বনাম প্রাক্তন চেয়ারম্যানের লড়াই কারা বলছে জানি না। আমাদের মধ্যে কোনও ভাগাভাগি নেই। কারও কাউকে বিশেষ পছন্দ হতে পারে, তার সঙ্গে কাজ করতে পারে। কিন্তু তাতে গোষ্ঠীকোন্দল বলে কিছু নেই। শ্যামল আদকও গোষ্ঠীর কথা উড়িয়ে দিয়েছেন। তবে তিনি আলাদা নিজের ঢঙে ‹ইন্টারনাল› প্রচার সারছেন বলে স্বীকার করেছেন।
হলদিয়া বিধানসভায় ২০২১ সালে ১৫ হাজার ভোটের লিড নিয়ে জয়ী হন দলবদলু তাপসী মণ্ডল। তমলুক লোকসভা এলাকায় ৭টি বিধানসভার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়ে বিধায়ক হন তিনি। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, এবারের অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে হলদিয়া বিধানসভার প্রাপ্ত ভোটই যে কোনও দলের প্রার্থী জয়ের ক্ষেত্রে নির্ণায়ক হয়ে উঠবে। এই এলাকা থেকে যে প্রার্থী যত লিড পাবেন, তিনি তত এগিয়ে যাবেন। সেজন্য বিজেপি, তৃণমূল ও বামেরা পাখির চোখ করেছে হলদিয়া শিল্পাঞ্চলকেই। বিজেপি হলদিয়ায় লিড দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে এগলেও তাঁদের বুথস্তরের কর্মী, সংগঠকরা সন্দিহান। তাঁদের মাথাব্যথার কারণ লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের এফেক্ট। বিজেপির এক তরুণ নেতা বলেন, হলদিয়ায় শ্রমিক মহলে তৃণমূলের উপর ব্যাপক ক্ষোভ রয়েছে একথা ঠিক। কিন্তু লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ভাতা দ্বিগুণ হওয়ায় পরিবারের মধ্যে ভোট ভাগাভাগি হয়ে গিয়েছে। মাগ্গিগণ্ডার বাজারে মহিলাদের কাছের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বড় প্রাপ্তি। সেখানে বিজেপি ক্ষমতায় এলে ‹তিন হাজার টাকা দেবে, এই কথা ঠিক বোঝানো যাচ্ছে না সবাইকে। কারণ হাজার টাকা তাঁরা হাতে গরম পাচ্ছেন। পাশাপাশি, পুরনো ঘাঁটি হলদিয়ায় সিপিএম ভালো ভোট পেলে বিপাকে পড়বে তারা, মানছে বিজেপি নেতৃত্ব।