বহু প্রচেষ্টার পর পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে শরিকি সহমত। ব্যবসা, পেশা ও ধর্মকর্মে শুভ সময়। ... বিশদ
খাদ্যদ্রব্য থেকে সাংসারিক নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম প্রতিদিন বেড়ে চলেছে। সংসার চালাতে রীতিমতো সমস্যা পড়েছেন মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষরা। রোজকার বাজারের বাজেটেও কাটছাঁট করতে হচ্ছে। এদিকে খাসি বা পাঠার মাংস অনেক আগেই মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই পোলট্রি মুরগির দিকেই ঝুঁকেছিলেন তারা। সপ্তাহে অন্তত একদিন চেটেপুটে খাওয়াদাওয়া করতে মধ্যাহ্নের খাবারের মেনুতে পোলট্রির মাংস থাকছিল। কিন্তু তাতেও বাধ সেধেছে মূল্যবৃদ্ধি। লালবাগের স্টেশন রোডের বাসিন্দা সৌমেন হাজরা বলেন, ভোটের দিন ঘোষণার আগে দাম ১৬০-১৮০ টাকার মধ্যে ছিল। ভোটের দিন ঘোষণার পরেই দাম বাড়তে শুরু করে। মাস খানেক খানেক ধরে প্রতি কেজি মাংসের দাম ২৫০ টাকায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। জিয়াগঞ্জের বাসিন্দা অনিল মণ্ডল বলেন, বর্তমানে খাসির মাংস ৭০০-৭৫০ টাকা কেজি। তাই দামের জন্য সাধ থাকলেও সাধ্য হয় না। তাই মধ্যবিত্ত পোলট্রিতেই সন্তুষ্ট ছিল। সম্প্রতি অনেকটাই দাম বাড়ার কারণে পোলট্রিও হাতের নাগালের বাইরে যেতে বসেছে। মাংস ব্যবসায়ী লাল্টু শেখ বলেন, প্রতিদিন দিনভর প্রচার ও রাজনৈতিক কর্মকান্ডের শেষে রাতে রাজনৈতিক দলগুলি তাদের কর্মী ও সমর্থকদের জন্য খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা রাখছে। প্রত্যেক দলের মেনুতে পোলট্রি মুরগির মাংস থাকছেই। ফলে বাড়তি চাহিদার জন্য সুযোগ বুঝে পোলট্রি ফার্মের মালিকরা দাম চড়িয়ে দিচ্ছেন। এক্ষেত্রে আমাদের কোন কিছু করার থাকছে না। এক পোলট্রি ফার্মের মালিক বলেন, শুধুমাত্র নির্বাচনের কারণে দাম বেড়েছে এটা বলা ঠিক হবে না। মুরগির খাবার, পরিচর্চা এবং পরিবহণ খরচ অনেকটাই বেড়েছে।তাই বাধ্য হয়ে দাম বাড়াতে হয়েছে। শাসক দলের এক নেতা বলেন, নির্বাচনের সঙ্গে পোলট্রি মুরগির দাম বাড়ার কোন সম্পর্ক নেই। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ভোটের জিগির তুলে অতিরিক্ত মুনাফা লুটছে।