যে কোনও ব্যবসার বৃদ্ধি ও অর্থকড়ি আয় বৃদ্ধি। ধর্মাচরণে মনযোগ বৃদ্ধি। বন্ধুর শত্রুতায় ক্ষতি। ... বিশদ
সাম্প্রতিরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগকে কেন্দ্র করে রাজ্য সরকার ও রাজ্যপালের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। সেই আবহে রাজ্যপাল রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করেন। বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্যের শিক্ষাদপ্তর। সেখানে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্যরা কোনও প্রকার স্থায়ী বা অস্থায়ী কোনও নিয়োগ করতে পারবেন না। এমনকী, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোনওরকম সুযোগ সুবিধাও ভোগ করতে পারবেন না। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের সেই নির্দেশ অমান্য করার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববাংলা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
সম্প্রতি, বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগে একজন অতিথি অধ্যাপককে নিযুক্ত করা হয়। এই মর্মে কর্তৃপক্ষের সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন বা বিজ্ঞপ্তি জারি করার কথা ছিল। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ছাড়া অন্য কোথাও সেই বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। বিশ্ববিদ্যালয়টি রাজ্য সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন। তাই যেকোনও নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দপ্তর থেকে অনুমোদন নেওয়া বাধ্যতামূলক। এক্ষেত্রে সেই নিয়মকেও বুড়ো আঙ্গুল দেখানো হয়েছে বলে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া সম্পূর্ণ অবৈধভাবে ওই অতিথি অধ্যাপককে উপাচার্যের বাসভবনে থাকার অনুমতি দিয়েছেন বলেও দিলীপবাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ। যদিও অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য বলেন, কাউকেই স্থায়ীভাবে নিয়োগ করা হয়নি। গণিত বিভাগের অতিথি অধ্যাপককে প্যানেলে আলোচনার মাধ্যমে ‘ক্যাজুয়াল স্টাফ’ হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। এর জন্য সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছিল। ক্লাস পিছু ৫০০ টাকার চুক্তিতে ওই অধ্যাপককে নিয়োগ করা হয়েছে। এর জন্য উচ্চশিক্ষা দপ্তরের কাছ থেকে অনুমতিও নেওয়া হয়েছে। যদিও নিয়োগের সেই বিজ্ঞপ্তি বা বিজ্ঞাপন দেখতে চাওয়া হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। নিজস্ব চিত্র