গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
কাটোয়া বিধানসভা এলাকায় বিজেপির আদি কর্মীরা ২০২১ সালের পর থেকেই বসে গিয়েছেন। শহরের আরও শোচনীয় অবস্থা। বহু বুথে তৈরি হয়নি কমিটি। কাগুজে বুথ কমিটি তৈরি করে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পৌঁছে দিয়েছে স্থানীয় নেতৃত্ব। সাংগঠনিক অবস্থা এতটাই দুর্বল যে শহরে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের রোড শোয়ে জমায়েত ভালো হয়নি। ২০১৯ সালের রোড শোয়ের তুলনায় কার্যত ফ্লপ শো হয়েছে এবার। এখন থেকেই সব বুথে আদৌ এজেন্ট দিতে পারবে কিনা তা নিয়ে ঘোর দুশ্চিন্তা শুরু হয়েছে গেরুয়া শিবিরের।
সূত্রের খবর, কাটোয়া বিধানসভায় বিজেপির আদি কর্মীদের বুথ এজেন্ট হওয়ার জন্য ফোন করে অনুনয় করা হচ্ছে। মোদিজির আদর্শের কথা বলেও তাঁদের নামানোর চেষ্টা হচ্ছে। অনেক রকম প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে। তবুও আদি বিজেপির কর্মীদের অনেকেই রাজি হচ্ছে না। কাটোয়া শহরের বিজেপির এক আদি নেতা বলেন, আমাকে ফোনে এখন এজেন্ট হতে অনুরোধ করছে। অনেক ‘অফার’ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু ভোটের পর দলের নেতারা কেউ পাশে থাকবে না। আগে লিখিত গ্যারান্টি দিলে তবেই এজেন্ট হব। এটা আমরা কয়েকজন নেতাকে সাফ জানিয়ে দিয়েছি। ওই নেতা আরও বলেন, দলীয় প্রার্থী আমাদের সঙ্গে বসেছিলেন, কিন্তু তাঁকেও আমরা বলেছি, ২০২১ সালের ভোটের পর শাসকদলের নেতাদের আক্রমণের মুখে যখন আমাদের পড়তে হয়েছিল, তখন কেউ আমাদের পাশে দাঁড়াননি। আমাদের প্রচারেও ডাকা হয়নি। দলের রাজ্য সভাপতি আসছেন রোড শো করতে, সেখানে যদি প্রতি বুথ থেকে দশ জন করেও লোক যেতেন তাহলেও দু’ হাজার লোক হতো। শহরের প্রতি মণ্ডল থেকে পাঁচজন করেও আসেননি। বিজেপির আরেক আদি নেতা বলছিলেন, কাটোয়া বিধানসভায় বিজেপিকে আমরা নিয়ে এসেছি। আর আমাদের সঙ্গেই দুর্ব্যবহার কর দূরে ঠেলে দিয়েছে। এখন সব বুথে এজেন্ট দিতে পারবে না।
বিজেপির সাংগঠনিক কাটোয়া জেলার মিডিয়া সেলের ইনচার্জ অশোক রায় বলেন, সব বুথে আমরা এজেন্ট দিতে না পারলেও বেশির ভাগ বুথেই এজেন্ট দেওয়ার চেষ্টা করব। তবে ভোট স্বচ্ছ হলে আমরাই এগিয়ে থাকব। পাশাপাশি সাংগঠনিক কাটোয়া জেলার সভাপতি গোপাল চট্টোপাধ্যায় বলেন, তৃণমূলের প্রতি মানুষ বিতশ্রদ্ধ হয়ে আমাদের ভোট দেবেন।
২০১৯ সালের নির্বাচনে কাটোয়াতে গেরুয়া শিবির এগিয়েছিল। আর এবার পদ্ম শিবিরের আদি নেতাদের মধ্যে ক্ষোভ বেড়ে যাওয়ায় চিন্তা বাড়ছে দলীয় নেতৃত্বের।