সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, সাধারণ মানুষকে নির্বাচনে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি ও নির্বাচন কমিশন বিভিন্ন সামাজিক বার্তা দিচ্ছে। মানুষ যাতে নিশ্চিন্তে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, তারজন্য কমিশনকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতেও দেখা যাচ্ছে। অথচ লোকসভা নির্বাচনের সময়কালে পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে গত সোমবার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা বিভাগ। সেখানে আগামী ১০ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত পরীক্ষা নেওয়ার সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। ওই সময় বাংলা সহ দেশের নানা রাজ্যে নির্বাচন রয়েছে। এমনটা হলে এরাজ্যের পাশাপাশি বিশ্বভারতীতে পাঠরত গুজরাত, কেরল, উত্তরপ্রদেশ, অসম, বিহার সহ বিভিন্ন রাজ্যের ছাত্রছাত্রীরাও নিজের রাজ্যে ফিরে গিয়ে ভোট দিতে পারবেন না। এতে বেজায় ক্ষুব্ধ অধিকাংশ পড়ুয়া। তারা এটা ভেবেই আশ্চর্য যে বিশ্বভারতী রাজ্যের একমাত্র কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়। যার আচার্য স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অথচ সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে এধরনের ঘটনা ঘটছে। এটা অনভিপ্রেত। নির্বাচনের সময় গোটা ভারতবর্ষে একমাত্র বিশ্বভারতীতেই বিভিন্ন সেমেস্টারের পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। যেখানে শুধুমাত্র এই কারণেই ইউপিএসসি কর্তৃপক্ষও তাদের পরীক্ষা ২০ দিনের জন্য পিছিয়ে দিয়েছে। সেখানে বিশ্বভারতীর এই ধরনের মনোভাব, পড়ুয়াদের ভোটদান থেকে বিরত করবে। যা নির্বাচনের পক্ষে ভালো উদাহরণ নয়। এর প্রেক্ষিতে ভাষাভবনের ইংরেজি বিভাগের স্নাতকস্তরের প্রায় ৪৬ জন পড়ুয়া, প্রত্যেকে ভোটদানের অধিকার চেয়ে নির্বাচন কমিশনকে বিশ্বভারতীর বিরুদ্ধে চিঠি লিখেছেন। শুধু ইংরেজি বিভাগেই নয়, শিক্ষাভবন পদ্মভবন সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৪০০ জন ছাত্রছাত্রী বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের সামনে তুলে ধরেছেন। ইংরেজি বিভাগের এক ছাত্র লেখেন, শিক্ষার অধিকারের সঙ্গে ভোট দেওয়াও আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। অনেক ছাত্র-ছাত্রীকে নিজের ভোট দেওয়ার জন্য দীর্ঘপথ যাত্রা করতে হয়। পরীক্ষা ও নির্বাচনের তারিখের মধ্যে সংঘাত হওয়ায় ছাত্র হিসেবে আমাদের উপর এতে অযাচিত চাপ ও বোঝার সৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু আমরা কিংকর্তব্যবিমূঢ়। তাই সেমেস্টারের পরীক্ষাগুলি যাতে নির্বাচন চলাকালীন স্থগিত হয়, তার বন্দোবস্ত করলে আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারব।
এবিষয়ে বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অতিগ ঘোষ বলেন, যতটুকু জানি বিশ্ববিদ্যালয় সর্বসম্মতিক্রমে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর বেশি কিছু বলতে পারব না। বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের রিটার্নিং অফিসার নিতু শুক্লাও এনিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে ভোটদান নিয়ে অনিশ্চয়তায় বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারা।