সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
শর্মিলা প্রচারে বেরিয়ে হাসিমুখে জনসংযোগ সারছেন। চড়া রোদও তাঁর প্রচারে বিঘ্ন ঘটাতে পারছে না। কয়েকদিন আগে তিনি মেমারি-১ ব্লকে গিয়ে আদিবাসী রমণীদের নাচের তালে পা মেলান। নিজের হাতে খাবার পরিবেশন করেন। প্রচারে বেরিয়ে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত টিপসও দিচ্ছেন। এলাকার বাসিন্দাদের কাছে তিনি ‘ঘরের মেয়ে’ উঠেছেন।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রে শাসকদলের নেতাদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ লড়াই ছিল। কিন্তু প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পর সেই দ্বন্দ্ব উধাও। নেতারাই ঐক্যবদ্ধভাবে প্রচারে নেমেছেন। যদিও বিদায়ী সাংসদ সুনীল মণ্ডলকে ময়দানে দেখা যাচ্ছে না। দলের অনেকেরই দাবি, তাতে কোনও প্রভাব পড়বে না। তৃণমূলের প্রতীকের জোরেই তিনি জয়ী হয়েছিলেন। তাই তাঁর ময়দানে থাকা বা না থাকা কোনও প্রভাব ফেলবে না। এক নেতা বলেন, অনেকটা প্রার্থীর কারণেই দ্বন্দ্ব মিটেছে। অনেকেই মনে করছেন তিনি প্রার্থী হিসেবে যোগ্য। তাছাড়া তিনি সব গোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গেই সুসম্পর্ক রেখে চলছেন।
তৃণমূল প্রার্থী বলেন, মানুষের কাজ করব বলেই রাজনীতিতে এসেছি। সমস্যার কথা সংসদে তুলে ধরব। শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হবে। দিদি মহিলাদের জন্য অনেক প্রকল্প এনেছেন। মহিলারা অনেকটা এগিয়ে গিয়েছেন। তৃণমূল নেতা স্বপন দেবনাথ বলেন, শর্মিলা সরকার ঘরের মেয়ে। এই এলাকা তাঁরা পরিচিত। তাই প্রচারে বেরিয়ে মানুষের সঙ্গে তাঁর একাত্ম হতে সময় লাগছে না। নেতৃত্বের দাবি, নবাগতরা নেতাদের ‘স্ক্রিপ্টে’ চলেন। ময়দানে নামার পর পরিণত হতে অনেক সময় গড়িয়ে যায়। তারপরও ভুল করেন। কিন্তু ব্যতিক্রম শর্মিলা। সমস্ত সমীকরণ বুঝেই তিনি পা ফেলছেন।
তাঁতিদের থেকে শাড়ি কিনছেন বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী শর্মিলা সরকার।-নিজস্ব চিত্র