গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
প্রায় প্রতি বছর জলপাইগুড়ি জেলায় কোনও না কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ লেগেই আছে। ২০২২ সালে দশমীর রাতে মালবাজারে মাল নদীতে ভয়ানক হড়পাবান আসে। তাতে সাতজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল। পরের বছর সিকিমের হ্রদ বিপর্যয়ের সময়ও ব্যাপক প্রভাব পড়ে জেলায়। অনেক জায়গায় নদীবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিছু লোকালয়ে চাষের খেতে তিস্তার জল ঢুকে যায়। এখানেই শেষ নয়, সম্প্রতি বিধ্বংসী মিনি টর্নেডোয় ময়নাগুড়ির বার্নিশ ও জলপাইগুড়ি শহরের গা ঘেঁষা খড়িয়া, পাহাড়পুর এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। অতীতের সেসব অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে বর্ষা শুরুর আগেই দুর্যোগ মোকাবিলায় আগাম ব্যবস্থাপনা নিয়ে জলপাইগুড়ি সদর মহকুমাস্তরের এই বৈঠক ছিল।
যেখানে বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা, দমকল, পূর্ত, সিভিল ডিফেন্স, পুরসভা, স্বাস্থ্য, সেচ, বিদ্যুৎ, খাদ্য সহ একাধিক দপ্তরের প্রতিনিধিরা ছিলেন। মহকুমা শাসক তমোজিৎ চক্রবর্তী বৈঠক শেষে বলেন, বিপর্যয় ব্যবস্থাপনায় মূলত ঝড়, প্লাবন, ভূমিকম্পের মতো তিন ধরনের বিপর্যয়ের কথা মাথায় রেখে পরিকল্পনা হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য বিপর্যয় ব্যবস্থাপনায় সমস্তরকম আগাম ব্যবস্থাপনা নিয়ে রাখা। সেজন্য শুরু হয়েছে দুর্যোগ মোকাবেলায় নিযুক্ত সরকারি কর্মী, আধিকারিকদের তালিকা তৈরির প্রক্রিয়াও। ওই তালিকায় সরকারি কর্মী, আধিকারিকদের নাম, তাঁদের কর্মস্থল ও ফোন নম্বর এক জায়গায় নথিভুক্ত করা হচ্ছে। সেখানে বনকর্মী থেকে শুরু করে পূর্তদপ্তরের কর্মীদের নাম ফোন নম্বর থাকবে। একইভাবে স্বাস্থ্য, ভূমি, দমকল বিভাগের কর্মী আধিকারিকদের নামও থাকবে। চলতি মাসেই সেই তালিকা তৈরির কাজ শেষ হবে। তাতে দুর্যোগের সময় মহকুমাস্তরে আপৎকালীন পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে সুবিধা মিলবে। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সদরের ভিডিও মিহির কর্মকার সহ বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকরা।