গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
দুঃস্থ পরিবারের শিশুদের পড়াশোনার দিকটি বিবেচনা করে বৃহস্পতিবার সকালে খোলা হয় ওই স্কুল। ঘণ্টা দুয়েক চলে ক্লাস। এদিন দশ জন খুদে পড়ুয়াকে নিয়ে চলে পঠনপাঠন। এদিন স্কুলের পাঁচজন শিক্ষক ছাত্রদের পড়ান। শিক্ষকদের এই উদ্যোগে খুশি অভিভাবকরা। সাধুবাদ জানিয়েছেন মালদহ জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারপার্সন বাসন্তী বর্মন। বলেন,আমার গ্রামেই ওই স্কুল। সম্প্রতি স্কুলের ভোল পাল্টে গিয়েছে। স্কুল শিক্ষকদের এই উদ্যোগ আমাদের কাছে আনন্দের। আমরা তাঁদের পাশে আছি।
খারনুনা প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলবে ৪ জুন। তার আগে প্রতি সপ্তাহের শুধু বৃহস্পতিবার করে খুদেদের আলাদা করে পড়ানো হবে। এক্ষেত্রে স্কুলের তরফে খুদেদের পোশাক বাধ্যতামূলক করা হয়নি। টিউশনের মতো পড়ুয়ারা সাধারণ পোশাক পরে আসতে পারবে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক গদাধর রায় বলেন, আমাদের স্কুলটি একেবারে প্রত্যন্ত এলাকায়। এখানে উচ্চশিক্ষার হার কম। অভিভাবকরা কাজে বেরিয়ে যান। গরমের জন্য জুন মাস পর্যন্ত স্কুল বন্ধ। অনেকে টাকার অভাবে ছেলেমেয়েদের টিউশন দিতে পারেন না। তাদের পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে বলে গ্রামবাসীরা আমাদের আগে জানিয়েছেন। অভিভাবকদের অনুরোধ রেখে আমরা বৃহস্পতিবার করে কিছু সময়ের জন্য স্কুল খুলব। এদিন ক্লাস নেওয়া হয়েছে। সব শিক্ষক সহযোগিতা করেছেন। এদিন স্কুলে এসে ক্লাস করেছিল পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়া নন্দিতা মুন্ডা। শিক্ষকদের এই উদ্যোগে ওই পড়ুয়ার মা শঙ্করী মাহাত মুন্ডা খুশি। তিনি বলেন, আমার মেয়েকে টিউশন দিতে পারিনি। এখন স্কুল বন্ধ। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক খুবই ভালো কাজ করছেন। দায়িত্ব নিয়ে স্কুল ছুটির দিনেও ক্লাস করাচ্ছেন।