গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
উচ্চ মাধ্যমিকে মেধা তালিকায় দু’টি স্থান দখল করেছে রামকৃষ্ণ মিশন পরিচালিত এই স্কুলের দুই ছাত্র অভিষেক গুপ্ত এবং অর্ণব কর্মকার। তৃতীয় স্থানাধিকারী অভিষেকের পরেই রয়েছেন পঞ্চম স্থানাধিকারী অর্ণব। উচ্চ মাধ্যমিকে ফের রাজ্য সেরাদের তালিকায় বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দির ফিরে আসায় রীতিমতো উচ্ছ্বসিত রামকৃষ্ণ মিশনের সন্ন্যাসীবৃন্দ থেকে শিক্ষক ও অভিভাবকরা।
এই স্কুলের ছাত্র অর্ণব উচ্চ মাধ্যমিকে পেয়েছেন ৪৯২। বাংলায় ৯৮, ইংরাজিতে ৯৭, বায়ো সায়েন্সে ৯৯, রসায়নে ৯৯, গণিতে ৯৯ নম্বর পেয়েছে অর্ণব। ভবিষ্যতে কৃতী চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন রয়েছে তাঁর। বাবা অমরচন্দ্র কর্মকার গাজোল কলেজের বাংলা বিষয়ের শিক্ষক। মা বাসবী কর্মকার প্রাথমিক শিক্ষিকা।
অর্ণব এদিন জানান, তাঁর প্রিয় বিষয় ফিজিক্স। দু’বছর আগে মাধ্যমিকে ৬৮৩ নম্বর পেলেও মেধা তালিকায় নাম ছিল না তাঁর। সেই আক্ষেপ মিটে গিয়েছে উচ্চ মাধ্যমিকের ফলে। ছয়জন গৃহশিক্ষকের পাশাপাশি নিজে প্রতিদিন চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা করে লেখাপড়া করতেন অর্ণব। পাশাপাশি ভালোবাসেন গল্পের বই পড়া ও ছবি আঁকতে। তাঁর প্রিয় সাহিত্যিক শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় ও সত্যজিৎ রায়। এছাড়াও ক্রিকেট দেখতে ভালোবাসেন। তাঁর প্রিয় ক্রিকেটার মহেন্দ্র সিং ধোনি। হেপাটোলজিস্ট হওয়ার স্বপ্ন রয়েছে তাঁর।
উচ্চ মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় থাকা দুই কৃতী অভিষেক ও অর্ণব ও তাঁদের অভিভাবকরা এই সাফল্যের জন্য সম্পূর্ণ কৃতিত্ব দিচ্ছেন রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দির কর্তৃপক্ষকেই। অভিষেকের সুরেই অর্ণবও এদিন বলেন, আমাদের ফলাফলের আসল কৃতিত্ব এই স্কুলের। প্রধান শিক্ষক মহারাজ এবং অন্য শিক্ষকরা যেভাবে আমাদের যত্ন নিয়েছেন, তার তুলনা হয় না। এছাড়া স্কুলের পরিবেশ, পঠনপাঠন সব মিলিয়ে এই বিদ্যালয়ের ছাত্র হিসাবে আমরা নিজেদের সৌভাগ্যবান মনে করছি।