গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারে প্রায় ২৫ দিন পঠনপাঠন ও গবেষণার সুযোগ পাবে অর্পিতা। তার মহাকাশ গবেষণা নিয়েও পড়ার সুযোগ থাকবে বলে জানা গিয়েছে। গতবছর একই প্রশিক্ষণের জন্য ডাক পেয়েছিল পতিরামের উপাসনা মণ্ডল। এবার ডাক পেল একই স্কুলের এবং একই এলাকার অর্পিতা।
অর্পিতা পতিরাম বিবেকানন্দ গার্লস হাইস্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী। তার বাবা দীপঙ্কর সাহা ব্যবসায়ী। মা বর্ণা সাহা গৃহবধূ। মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে অর্পিতা। এবছর ১ মার্চ অনলাইনে ইসরোর ‘যুবিকা’ পরীক্ষায় বসে সে। রেজাল্ট বের হওয়ার পর ইসরো থেকে অর্পিতাকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। আজ, বৃহস্পতিবার অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার উদ্দেশে বাবাকে নিয়ে রওনা হচ্ছে অর্পিতা।
ছোট থেকে মহাকাশ নিয়ে গবেষণার আগ্রহ অর্পিতার। সম্প্রতি চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণের যাবতীয় বিষয় খুঁটিনাটি পর্যবেক্ষণ করেছে। এবার সরাসরি ইসরোতে প্রশিক্ষণের সুযোগ পেয়ে আপ্লুত অর্পিতা ও তার পরিবার।
অর্পিতা বলে, ছোট থেকেই মহাকাশ ও মহাকাশযান নিয়ে আমার আগ্রহ ছিল। গত বছর আমাদের এলাকার উপাসনা দিদি এই পরীক্ষায় পাশ করে ইসরোতে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল। এবছর সেই পরীক্ষায় সফল হয়ে ইসরো থেকে ডাক পাব ভাবিনি। ইসরো থেকে চন্দ্রযান-৩ পাঠানো হয়। কীভাবে ওই সেটি পাঠানো হয়েছিল, ভালো করে দেখব। সুযোগ পেলে এই বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করব।
অর্পিতার স্কুল তথা পতিরাম বিবেকানন্দ গার্লস হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা লাবণী সরকার বলেন, অর্পিতা মেধাবী। শান্ত ও চুপচাপ স্বভাবের। গত বছরও আমাদের স্কুলের উপাসনা এই সুযোগ পেয়েছিল। আমাদের গ্রামের স্কুল থেকে এই সাফল্যে সকলেই গর্বিত। নিজস্ব চিত্র।