ঘরে বা পথেঘাটে পড়ে গিয়ে শরীরে বড় আঘাত পেতে পারেন। আমদানি রপ্তানির ব্যবসা ভালো হবে। ... বিশদ
ময়নাগুড়ি থানার পুলিস জানিয়েছে, ধৃতের নাম মৃন্ময় রায়। তার বাড়ি ময়নাগুড়ির চূড়াভাণ্ডার পঞ্চায়েত এলাকায়। বৃহস্পতিবার রাতে তাকে ময়নাগুড়ির এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ময়নাগুড়ি ব্লকের খাগড়াবাড়ি-২ পঞ্চায়েতের এক নাবালিকার সঙ্গে মৃন্ময়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। দেড় বছর ধরে তাদের প্রেম চলছিল। ১ মে নাবালিকা অভিযুক্ত যুবককে মোবাইলে মেসেজ করে। তাতে লেখা হয়েছিল— ‘প্লিজ কথা বলো। আমি মরে যাচ্ছি। তোমাকে ছাড়া আমি বাঁচতে পারব না।’
নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, ৩০ এপ্রিল মেয়ে আমগুড়িতে চড়কের মেলায় গিয়েছিল। সেখানে অভিযুক্ত যুবকের সঙ্গে সে দেখা করে। ওই দিন সে মৃন্ময়ের মোবাইল নিয়ে আসে। পরের দিন অর্থাৎ ১ মে নাবালিকা যুবককে মোবাইল ফেরত দিতে যায়। বাড়ি ফিরে আসে দুপুরে ১টা নাগাদ। বিকেল ৪টে থেকে সে অসুস্থ বোধ করে। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে। পরে পাঠানো হয় জলপাইগুড়ি হাসপাতালে। সেখানেই মৃত্যু হয় তার। নাবালিকার বাবার অভিযোগ, মেয়ের সঙ্গে ওই যুবকের হয়তো ঝামেলা হয়েছিল। অভিযুক্ত যুবক উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলেছিল। মেয়েকে মরার জন্য প্ররোচনা দিয়েছিল। এর জেরেই এ ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তি দাবি জানিয়েছেন নাবালিকার পরিবারের সদস্যরা। যদিও ধৃত থানায় দাঁড়িয়ে জানায়, সে ওই নাবালিকাকে কোনওরকম প্ররোচনা দেয়নি।
ময়নাগুড়ি থানা আইসি সুবল ঘোষ বলেন, নির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ের হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।