ঘরে বা পথেঘাটে পড়ে গিয়ে শরীরে বড় আঘাত পেতে পারেন। আমদানি রপ্তানির ব্যবসা ভালো হবে। ... বিশদ
গত এক দশক ধরে মাথাভাঙা হাইস্কুলের পড়ুয়ারা মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় স্থান পেয়ে আসছে। ২০১৬ সালে মাথাভাঙা হাইস্কুলের ছাত্র সৌভিক বর্মন রাজ্যে প্রথম হয়েছিল। প্রতিবছরই এখানকার ছাত্রছাত্রীরা মেধাতালিকায় কোনও না কোনও স্থানে থাকছে। শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত রাজ আমলের ঐতিহ্যবাহী স্কুলের ছাত্র আসিফ কামাল এবার মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় সপ্তম স্থান অধিকার করেছে। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৭। একইসঙ্গে স্কুলের অপর দুই ছাত্র রৌশন হুদা ও সৌরদীপ সাহা ৬৭২ নম্বর পেয়েছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক চৈতন্য পোদ্দার সহ শিক্ষকদের দাবি, মেধাতালিকায় স্থান পাওয়ার সংখ্যাটা আরও বৃদ্ধির প্রত্যাশা ছিল তাঁদের। যদিও সেটা না হওয়ায় কিছুটা হতাশা রয়েছে।
স্কুলের ছাত্র মেধা তালিকায় স্থান পাওয়ায় বৃহস্পতিবার খুশির আবহ ছিল স্কুলজুড়ে। সহপাঠীর ভালো ফলাফলে খুশি স্কুলের পড়ুয়ারাও। এদিন দুপুরের পরে স্কুলে আসে আসিফ। তাকে ঘিরে খুশিতে মেতে ওঠে ওর বন্ধুরা। স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষক-শিক্ষিকরা ফুলের তোড়া দিয়ে সংবর্ধনা জানায় আসিফ কামালকে।
এ ব্যাপারে স্কুলের প্রধান শিক্ষক চৈতন্য পোদ্দার বলেন, রাজ আমলের স্কুল আমাদের। এই স্কুলে থেকে নিয়ম করে মেধাতালিকায় স্থান পায় পড়ুয়ারা। গত এক দশকে খুব একটা এর হেরফের হয়নি। এবারে আমাদের স্কুলের ছাত্র আসিফ কামাল সপ্তম স্থান পেয়েছে। আরও দুই-তিনজনের মেধাতালিকায় স্থান পাওয়ার প্রত্যাশা ছিল আমাদের, তবে সেটা হল না। আমি আসিফের বাড়িতে গিয়ে ওকে শুভেচ্ছা জানিয়ে এসেছি। আসিফ স্কুলে এসেছিল। আমরা ওকে সংবর্ধিত করেছি। যারা ভালো ফলাফল করেছে তারা সকলেই আমাদের গর্ব। শিক্ষকের অপ্রতুলতা ও পরিকাঠামোর কিছু সমস্যা থাকার পরও আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাই ভালোভাবে পঠনপাঠনের। আশা করছি, এবার এই সমস্যাগুলি সমাধান করবে শিক্ষাদপ্তর।
শহরের ঐতিহ্যবাহী স্কুলের পড়ুয়ার এমন সাফল্যে খুশি শহরের বাসিন্দা সহ শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিরা। একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান মেধাবী আসিফকে সংবর্ধনা দেওয়ার কথা জানিয়েছে। স্কুল চত্বরে রাজ আমলের তৈরি ভবনের রক্ষণাবেক্ষণের পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিতে আবারও সরব হয়েছেন শহরের সচেতন নাগরিকরা। একইসঙ্গে পরিকাঠামো সমস্যার সমাধানের দাবিও জানিয়েছেন শিক্ষক শিক্ষিকারা।
নিজস্ব চিত্র