সংবাদদাতা, দেওয়ানহাট: তাঁকে রাজনীতির ময়দানে দাপটের সঙ্গে সভামঞ্চ কিংবা মিটিং, মিছিলে দেখা যায়। কড়া হাতে সামলাচ্ছেন প্রশাসনিক দপ্তরও। তবে এবার উত্তরবঙ্গের হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী ও কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে দেখা যাবে এক অন্য ভূমিকায়। বাংলা সিনেমার রূপালি পর্দায় অভিনয় করছেন তৃণমূলের কোচবিহারের এই প্রবীণ নেতা। যদিও আগেও তিনি অন্য একটি সিনেমায় নায়কের বাবার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। সেটি মুক্তি পাওয়ার অপেক্ষায়। রাজার শহর কোচবিহারের পর্যটন ও ঐতিহ্যকে নিয়ে একটি গল্পের চিত্রনাট্য তৈরি করে হচ্ছে পূর্ণদৈর্ঘ্য বাংলা সিনামা ‘মিহিরা’। জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে মুক্তি পাবে থ্রিলার ঘরানার বাংলা এই সিনেমাটি। 
সিনেমায় রবি ঘোষ ছাড়াও অভিনয় করতে দেখা যাবে নব্বইয়ের দশকের ‘আশিকি’ খ্যাত জনপ্রিয় বলিউড অভিনেতা রাহুল রায়কে। একেবারে ভিন্ন চরিত্রে তাঁকে এবার অভিনয় করতে দেখা যাবে। পাশাপাশি সিনেমায় অপর এক প্রধান চরিত্রে অভিনয় করবেন অভিনেতা খরাজ মুখোপাধ্যায়। পুরোপুরি ভিন্ন লুকে ভিন্ন চরিত্রে দেখা যাবে অভিনেতা রাহুল ও খরাজকে। ছবির অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে আছেন সঞ্জয় বিশ্বাস, সজল বর্মন, কৃতী চক্রবর্তী, প্রদীপ বর্মন, সজল বর্মন প্রমুখকে। সিনেমায় টলিউড ও মুম্বইয়ের কলাকুশলীদের পাশাপাশি কোচবিহারের শিল্পীরাও সুযোগ পেয়েছেন। উত্তরবঙ্গে পুরো ছবির শ্যুটিং হবে। ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গের নদী, জঙ্গল, পাহাড়ে শ্যুটিংয়ের পাশাপাশি কোচবিহার রাজবাড়ি, মদনমোহন বাড়ি, সাগরদিঘি সহ শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলিতে একপ্রস্থ শ্যুটিং হয়েছে। 
কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, আগেও আমি অন্য একটি ছবিতে অভিনয় করেছি। সেখানে মূল চরিত্রে ছিলেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় এক অভিনেতা। সেটি এখনও রিলিজ হয়নি। তার কাজ চলছে। এই ছবিতেও আমাকে একটি অংশে অভিনয় করারা কথা বলায় রাজি হই। এই সিনেমার মাধ্যমে কোচবিহারের কৃষ্টি-সংস্কৃতি ও পর্যটনকে তুলে ধরা হচ্ছে। পর্যটকদের কোচবিহারের প্রতি আকৃষ্ট করতে সাহায্য কারবে এই সিনেমা। 
পরিচালক বাবাই সেনের কথায়, আমাদের শ্যুটিং শেষের পর্যায়ে। একটি ভিন্ন ধরনের চরিত্রে বলিউড অভিনেতা রাহুল রায়কে দেখা যাবে এখানে। আশা করছি, দর্শকদের ভালো লাগবে সিনেমাটা। এই ছবি মুক্তি পাবে প্রযোজক সজল বর্মনের প্রযোজনায়। 
সিনেমার প্রযোজক টাকাগাছের বাসিন্দা সজল বর্মন বৃহস্পতিবার কোচবিহারে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, কোচবিহারের পর্যটন ও ঐতিহ্যকে নির্ভর করে একটি গল্প সাজিয়ে সিনেমাটি বানানো হচ্ছে। সিনেমায় রাজবংশী ভাষার একটি গান রাখা হয়েছে। বাংলা সিনেমার ক্ষেত্রে যা একেবারেই নতুন। আশা করি, দর্শকদের ভালো লাগবে। ইতিমধ্যেই সিনেমার একটি ট্রেলার মুক্তি পেয়েছে। জুন মাসের শুরুর দিকে ছবিটি মুক্তি পাবে।  ফাইল চিত্র