বহু প্রচেষ্টার পর পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে শরিকি সহমত। ব্যবসা, পেশা ও ধর্মকর্মে শুভ সময়। ... বিশদ
আসিফের বাবা আশরাফুল কামাল পেশায় স্কুল শিক্ষক, মা গৃহবধূ। দুই ভাই বোনের মধ্যে আসিফ বড়। বরাবর মেধাবী আসিফ ভালো ফল করবে এটা প্রত্যাশিত ছিল। বেশ কয়েকটি বিষয়ে তার প্রাপ্ত নম্বর নিয়ে কিছুটা অসন্তুষ্টি রয়েছে। ভবিষ্যতে বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা করার ইচ্ছে তার। পড়াশোনার মাঝেই ক্রিকেট, ফুটবল ও ভলিবল তার পছন্দের খেলা। মাঠে নেমে বন্ধুদের সঙ্গে মাঝে খেলেও সে। ক্যুইজ প্রতিযেগিতায় অংশগ্রহণ করাও তার নেশা। একাধিক ক্যুইজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে পুরস্কারও পেয়েছে।
সময় ধরে পড়াশোনা না করলেও গড়ে প্রতিদিন ছয় ঘণ্টার মতো পড়াশোনা করা ও গৃহশিক্ষকের কাছে পড়েছে সে। রাজ্য মেধা তালিকায় সপ্তম হওয়ায় আপ্লুত আসিফের বাবা আশরাফুল কামাল। ছেলের ইচ্ছাকে গুরুত্ব দিয়ে ভবিষ্যতের পড়াশোনা চালানোর পক্ষপাতি তিনিও। আশরাফুল কামাল নিজেও বিজ্ঞানের শিক্ষক। আসিফ বাংলায় ৯৬, ইংরেজি ও ভৌতবিজ্ঞানে ৯৮ করে, অঙ্কে ও জীবনবিজ্ঞানে ৯৯ করে, ইতিহাস ৯৭ এবং ভুগোল ১০০ পেয়েছে।
আসিফ বলেন, আমি বাঁধাধরা নিয়মে পড়াশোনা করিনি। রাত ১১টার মধ্যেই ঘুমানোর অভ্যাস আমার। সকাল ৬টায় ঘুম ভাঙার পরই পড়ার বিছানায় নয়, টেবিলে বসে পড়তাম। টেস্ট পরীক্ষার পর আত্মবিশ্বাস ছিল আমার ভালো ফলাফল হবে। সপ্তম হয়েছি এতে খুশি। তবে কয়েকটি বিষয়ে আশানুরূপ ফলাফল হয়নি। শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে তারপর সিদ্ধান্ত নেব। ছেলের ফলাফলে খুশি তার বাবা আশরাফুল কামাল। আশরাফুল সাহেব বলেন, ছেলের মাধ্যমিকের ফল ভালো হবে এটা আমরা জানতাম। সপ্তম হওয়ায় আমরা খুশি। ও বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করে গবেষণা করতে ইচ্ছুক। আমরা ওর ইচ্ছাকে গুরুত্ব দিয়ে পড়াশোনা চালাব। এদিন আসিফের বাড়িতে এসে দেখা করেন গিরীন্দ্রনাথ বর্মন। গিরীন্দ্রনাথবাবু বলেন, মাথাভাঙা হাইস্কুলের ছাত্ররা মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় বরাবর স্থান পায়। স্কুলের মেধা তালিকায় আরও একটি নতুন পালক যুক্ত হল। আসিফের ভবিষ্যৎ জীবনের সাফল্য কামনা করি। এসেছিলেন প্রাক্তন সাংসদ তথা এনবিএসটিসি’র চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায়। পার্থবাবু বলেন, এবারে জেলার দুই ছাত্র প্রথম ও সপ্তম হয়েছে। আসিফকে সংবর্ধনা জানিয়েছি। আগামী দিনে আরও ভালো ফলাফল করুক সে। জেলার নাম, মাথাভাঙার নাম উজ্জ্বল করুক। মাথাভাঙা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক চৈতন্য পোদ্দার বলেন, আসিফ স্কুলের মুখ উজ্জ্বল করল। ওকে দেখে অন্য পড়ুয়ারাও অনুপ্রাণিত।