বহু প্রচেষ্টার পর পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে শরিকি সহমত। ব্যবসা, পেশা ও ধর্মকর্মে শুভ সময়। ... বিশদ
এদিন বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী ইংলিশবাজার শহরে প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তায় পদযাত্রা করেন। তৃণমূল সুপ্রিমোর রোড শো দেখতে শহরবাসীর ভিড় উপচে পড়ে। আট থেকে আশি সকলেই রাস্তার দু’পাশে ভিড় জমায়। ইংলিশবাজারের বাসিন্দারা মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। মুখ্যমন্ত্রী ইংলিশবাজারবাসীর অভিবাদন গ্রহন করেন। সবমিলিয়ে মালদহে তৃণমূলনেত্রীর সম্ভাব্য শেষ নির্বাচনী কর্মসূচিতে ব্যাপক সাড়া পেয়ে রাজ্যের শাসক দল উজ্জীবিত। সম্প্রতি ইংলিশবাজারে রোড শো করতে এসে বিজেপি নেতা অমিত শাহ বাংলার মনীষীদের মূর্তির দিকে ফিরেও চাননি। মুখ্যমন্ত্রী এদিন তাঁদের মূর্তিতে শ্রদ্ধা জানান।
এদিন জেলায় মুখ্যমন্ত্রীর মোট তিনটি কর্মসূচি ছিল। হরিশ্চন্দ্রপুর ও পুরাতন মালদহের নির্বাচনী জনসভা সেরে ইংলিশবাজারে পৌঁছন তিনি। বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ ইংলিশবাজার শহরের সুকান্ত মোড় থেকে তিনি পদযাত্রা শুরু করেন। ইংলিশবাজার মালদহ দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত হলেও এদিন জেলার দুই তৃণমূল প্রার্থীই মুখ্যমন্ত্রীর পদযাত্রায় শামিল হন। শাহনওয়াজ আলি রায়হান ও প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে দু’পাশে নিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো পদযাত্রা শুরু করেন। জেলার তৃণমূল নেতানেত্রীরাও পদযাত্রায় অংশ নেন। রাস্তার দু’পাশে বাড়ির বারান্দা, ছাদে বিকেল থেকেই বাসিন্দারা অপেক্ষা করছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীকে কাছ থেকে এক ঝলক দেখার জন্য রাস্তার দু’পাশে মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। শিশু কোলে বহু মহিলাকে রাস্তার পাশে অপেক্ষা করতে দেখা যায়। বেশ কয়েকটি জায়গায় শিশুদের কাছে টেনে নেন মমতা। আদর করে মাথায় হাত রেখে আশীর্বাদ করেন। এতে শিশুদের পাশাপাশি অভিভাবকরাও আপ্লুত।
আবার নেতাজি সুভাষ রোডে এক বৃদ্ধা মমতার মাথায় হাত রেখে আশীর্বাদ করেন। মুখ্যমন্ত্রী মাথা নত করে বৃদ্ধার স্নেহ ও ভালোবাসা গ্রহণ করেন। শহরের মনস্কামনা রোডে এক ব্যক্তি রাস্তার পাশে সাদা কাগজে হাতে লেখা আবেদনপত্র নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। রাজনৈতিক কর্মসূচি হলেও মুখ্যমন্ত্রী তাঁর আবেদনপত্র নেন। তাতে কিছুক্ষণ চোখ বুলিয়েও নেন। পরে তা নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে দেন। নেতাজি রোডে মহিলারা তৃণমূল কংগ্রেস ও মুখ্যমন্ত্রীর নাম লেখা সুসজ্জিত কুলো নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে তা চাক্ষুষ করেন। মহিলাদের পদযাত্রায় কুলো নিয়ে হাঁটার জন্যও তিনি বলেন।
শহরের নেতাজি মোড় ও পোস্ট অফিস মোড়ে এদিন সবচেয়ে বেশি ভিড় লক্ষ্য করা যায়। পদযাত্রা যত এগিয়েছে, পাল্লা দিয়ে উন্মাদনা ততই বেড়েছে। রবীন্দ্র অ্যাভেনিউ ধরে এগনোর সময় রাস্তায় কার্যত তিল ধারণের জায়গা ছিল না। রথবাড়ি এলাকায় পদযাত্রা শেষের সময় গোটা চত্বর জনসমুদ্রের চেহারা নেয়।
রবীন্দ্র অ্যাভেনিউ ধরে কিছুদিন আগেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রোড শো করেছিলেন। জেলা বিজেপি নেতৃত্ব ঘোষণা করার পরও অমিত শাহ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পূর্ণাবয়ব মূর্তিতে শ্রদ্ধা জানাননি। এদিন তৃণমূলনেত্রী নেতাজি ও রবীন্দ্রনাথের মূর্তিতে শ্রদ্ধা জানান।