সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
উল্লেখ্য, ইংলিশবাজার শহরে তৃণমূল পিছিয়ে রয়েছে বলে কোনও কোনও মহল থেকে প্রচার করা হচ্ছে। বিজেপি এবারও শহরে রেকর্ড ভোটে লিড নেবে বলে গেরুয়া শিবিরের নেতারা দাবি করছেন। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল প্রার্থীর জমজমাট প্রচার, শহরে ফের নতুন করে ভোটের অঙ্ক কষতে হবে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। শাহনওয়াজ বলেন, এদিন আমরা শহরে প্রচার করেছি। প্রচারে অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছি। ভোটে ইংলিশবাজার শহর থেকে আমরা বিপুল ভোটে লিড পাব।
ইংলিশবাজার পুরসভার ভাইস চেয়ারপার্সন সুমালা আগরওয়াল বলেন, এর আগে শহরের কিছু জায়গায় দলের প্রার্থী পথসভা করেছেন। দু-একটি ওয়ার্ডে তিনি ঘুরেছেন। তবে এদিনই প্রথম সেই অর্থে ধারাবাহিক প্রচার হয়েছে। শহরের এক তৃতীয়াংশ ওয়ার্ড এলাকায় আমরা এদিন পৌঁছে গিয়েছিলাম। প্রচার শুরু হয়েছিল সকাল ৯টায়। তার ঘণ্টাখানেক আগে থেকেই কর্মী-সমর্থকরা নিজ নিজ ওয়ার্ডে সমবেত হয়েছিলেন। প্রার্থীকে একঝলক দেখতে বাড়ির দরজায় বাসিন্দারা অপেক্ষা করছিলেন। বারান্দা ও ছাদ থেকেও অনেক উঁকি দিয়ে প্রার্থীর উদ্দেশ্যে হাত নেড়েছেন। শাহনওয়াজও পাল্টা তাঁদের ভোট দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।
অন্যদিকে, রবিবার রাত ৯টা নাগাদ ইংলিশবাজার শহরের পোস্টঅফিস মোড়ে দক্ষিণ মালদহের বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী প্রচার করেন। দলের কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে তিনি স্লোগানের মাধ্যমে উপস্থিত লোকজনের কাছে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য আবেদন জানান। সংবাদমাধ্যমকে বিজেপি প্রার্থী বলেন, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের থেকেও বেশি ভোটে এবার আমরা ইংলিশবাজার শহরে লিড পাব। শহরের বাসিন্দারা পদ্ম চিহ্নে বোতাম টেপার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচনে ইংলিশবাজার শহরে তৃণমূল সুবিধা করতে পারেনি। পুরভোটে তৃণমূল বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও তৃণমূল নেতৃত্বের মন থেকে শঙ্কা দূর হয়নি। ইংলিশবাজার শহরের কয়েকজন নেতা-নেত্রীর উপর বাসিন্দাদের ক্ষোভ রয়েছে। ক্ষমতা পেয়ে তাঁরা ধরাকে সরা জ্ঞান করছেন বলে শহরবাসীর অভিযোগ। শহরের নেতা-নেত্রীদের একাংশের উপর তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্বের রাশও আলগা হয়ে গিয়েছে। দল তেমন কড়া পদক্ষেপ না নেওয়ায় ওইসব নেতারা আরও বেপরোয়া হয়ে গিয়েছেন। তার ফল শহরবাসীকে ভুগতে হচ্ছে। নেতাদের বিরুদ্ধে পুঞ্জীভূত ক্ষোভ দলের ভোটব্যাঙ্কে ধস নামাতে পারে বলে রাজনৈতিক মহলের আশঙ্কা। সেই সুযোগেই বিজেপি ভোটে বাজিমাত করতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন।