সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
হামলার পরই পাল্টা তল্লাশি অভিযান শুরু করে রুশ প্রশাসন। গাড়িতে ধাওয়া করে চার বন্দুকবাজকেই পাকড়াও করা হয়। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত হামলায় জড়িত সন্দেহে মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেই দাবি সেদেশের নিরাপত্তা সংস্থা ফেডেরাল সিকিউরিটি সার্ভিসের (এফএসবি)। সরকারি সংবাদ সংস্থাকে তারা আরও জানিয়েছে, হামলা চালানোর পর রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্ত পেরোনোর চেষ্টা করেছিল জঙ্গিরা। তাদের সহযোগীরা ইউক্রেনে লুকিয়ে। তাদের মধ্যে যোগাযোগও ছিল।
রুশ প্রশাসনের তরফে আরও জানানো হয়েছে, শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিট নাগাদ একটি মিনি ভ্যানে চেপে মস্কোর উপকণ্ঠে ক্রাসনোগরস্কের সিটি হলে পৌঁছয় জঙ্গিরা। কালাশনিকভ রাইফেলের পাশাপাশি তাদের কাছে ছিল গ্রেনেড, দাহ্য তরলও। গুলি চালাতে চালাতে ভিতরে ঢুকে পড়ে জঙ্গিরা। একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, গুলির শব্দ শুনে পড়িমরি করে বাইরে বেরনোর চেষ্টা করছিল আতঙ্কিত জনতা। তখনই তাদের উপর ফের বুলেট বৃষ্টি করে জঙ্গিরা। এতে আরও হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। অনেকে পদপিষ্টও হন বলে দাবি এক প্রত্যক্ষদর্শীর। অন্য একটি ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, বুলেট থেকে বাঁচতে হলের আসনের পিছনে লুকিয়েছেন অনেক শ্রোতা।
হলটিতে দাহ্য তরল ছড়িয়ে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল জঙ্গিরা। গোটা হলে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় তা নিয়ন্ত্রণে এলেও প্রচণ্ড তাপে ধসে যায় হলের ছাদ। কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গোটা সিটি হল।
মস্কোয় জঙ্গি হামলার ব্যাপারে আগেই রাশিয়াকে সতর্ক করেছিল আমেরিকা। এমনকী সেদেশে থাকা মার্কিন নাগরিকদের জনবহুল এলাকা এড়িয়ে চলতেও পরামর্শ দেওয়া হয় দূতাবাসের তরফে। তবে সেই সতর্কবার্তায় কান দেয়নি ক্রেমলিন। তিন দিন আগে স্বয়ং পুতিনই প্রকাশ্যে দাবি করেছিলেন, রুশ জনসাধারণকে ভয় দেখানোর জন্য ভ্রান্ত প্রচার করা হচ্ছে। ফলে রুশ গোয়েন্দা বিভাগ সতর্ক থাকলে এই ঘটনা এড়ানো যেত কি না, সেই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। পুতিন অবশ্য জানিয়েছেন, হামলায় ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করে শাস্তি দেওয়া হবে। ঘটনার পর মস্কোজুড়ে জারি হয়েছে হাই অ্যালার্ট।