চণ্ডীগড়, ৯ মে: মুখ্যমন্ত্রী বদলেও সরকার বাঁচানো গেল না হরিয়ানায়! এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। গত কয়েক মাস ধরে ওই রাজ্যে একের পর এক রাজনৈতিক ঘটনা ঘটেই চলেছে। হরিয়ানায় বিজেপির সঙ্গ আগেই ত্যাগ করেছেন দুষ্যন্ত চৌতালা। সরকার বাঁচাতে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে মনোহর লাল খট্টরকেও সরিয়ে দেয় বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। হরিয়ানার নতুন মুখ্যমন্ত্রী হন নায়েব সিং সাইনি। এসবের মাঝেই ফের বিপত্তি ঘটে। গত মঙ্গলবার হরিয়ানার বিজেপি সরকারের উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নেন তিন নির্দল বিধায়ক। সোমবীর সাঙ্গওয়ান, রণধীর গোলেন ও ধরমপাল গোন্দের এই তিন বিধায়ক গেরুয়া শিবির ছেড়ে দাঁড়িয়েছেন কংগ্রেসের পাশেই। আর সেই সুযোগে বিজেপিকে হটাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন জেজেপি প্রধান দুষ্যন্ত চৌতালা। আজ, বৃহস্পতিবার হরিয়ানার রাজ্যপাল বন্দারু দত্তাত্রেয়াকে একটি চিঠি দিয়েছেন জেজেপি প্রধান। তাতে তিনি হরিয়ানা বিধানসভায় আস্থা ভোট আয়োজনে রাজ্যপালের কাছে আর্জি জানিয়েছেন। আর এটাই যে হরিয়ানায় বিজেপি সরকারের কফিনের শেষ পেরেক হতে চলেছে সেটা বলাই বাহুল্য। কারণ কংগ্রেসের দাবি, হরিয়ানা বিধানসভায় (৯০ সদস্যের মধ্যে) বর্তমানে ৮৮ জন রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৪০ জন বিজেপির বিধায়ক। জেজেপি ও নির্দল বিধায়কদের সমর্থন ছিল সরকারের দিকে। তারা সরে যাওয়ায় নায়েব সিং সাইনির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার বর্তমানে সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে। সেই কারণে গত মঙ্গলবার রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবিও জানান কংগ্রেস নেতৃত্ব। আর কিছুদিনের মধ্যেই হরিয়ানায় বিধানসভা নির্বাচন। কিন্তু তার আগেই বিজেপি সরকারের পতন ঘটবে বলেই অনুমান রাজনৈতিক মহলের। কারণ হরিয়ানার বিধনাসভায় ম্যাজিক ফিগার ৪৫। বিরোধী দলগুলির তরফে বারবার দাবি করা হচ্ছে বিজেপির কাছে ৪০ জনের বেশি বিধায়ক নেই। যদিও শাসক দলের দাবি তাঁদের কাছে ৪৭ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। সেই বিতর্ক শেষ করতেই হরিয়ানার প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী দুষ্যন্ত আস্থা ভোটের দাবি জানিয়েছেন বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের। সূত্রের খবর, শুধু রাজ্যপালকেই নয়, বর্তমানে বিধানসভায় গেরুয়া শিবিরের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে কিনা তাঁর প্রমাণ দিতে বিজেপি সরকারকেও চিঠি লিখেছেন জেজেপি প্রধান। আগামী ২৫ মে রাজধানীর পড়শি রাজ্যে লোকসভার ভোটগ্রহণ রয়েছে। তার আগে সরকার টলমল খাওয়ায় চাপে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।