গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
বুধবার হুগলির আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী মিতালি বাগ এবং চুঁচুড়া লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে আরামবাগের কালীপুর এবং বলাগড়ে দুটি নির্বাচনী সভা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪ তম জন্মজয়ন্তী দুটি সভামঞ্চে পালন করা হয়। কবিগুরুর প্রতিকৃতিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান মমতা। দুটি জায়গাতেই গেরুয়া শিবিরের ‘পোস্টার বয়’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিশানা করেন তিনি। বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী খালি ছবি দিচ্ছেন, সবেতেই ছবি। খালি আত্মপ্রচার, একটা প্রতারক সরকার। প্রতিশ্রুতির টোপ ঝুলিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ভোট আদায় করেছেন। গত ১০ বছরে করেছেনটা কি? কিস্যু না!’ এখানেই থেমে থাকেননি ইন্ডিয়া জোটের নেত্রী। গলার স্বর আরও চড়া করে মমতার আক্রমণ—‘দেশের প্রধানমন্ত্রী সবচেয়ে মিথ্যাবাদী। এত মিথ্যাবাদী প্রধানমন্ত্রী, আগে কোথাও দেখিনি। শুধু মিথ্যা কথা, মিথ্যার গ্যাস বেলুন। আমাদের বলে চোর, ওটা (প্রধানমন্ত্রী) তো চোরের সওদাগর। এখন গোটা দেশ বলছে, গলি গলি মে শোর হ্যায়, বিজেপি চোর হ্যায়।’ বিভিন্ন প্রকল্পে বাংলার দুর্নীতি খুঁজতে একের পর এক কেন্দ্রীয় টিম পাঠিয়ে কার্যত হতাশ হয়েছে দিল্লি। একটি টিমও বাংলার বিরুদ্ধে কোনও নেতিবাচক রিপোর্ট পেশ করেনি। তবুও বাংলার শ্রমজীবী-প্রান্তিক মানুষ তার হকের টাকা পাননি। সেই প্রসঙ্গ উত্থাপন করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলার ন’কোটি মানুষকে আমরা রেশন দিই। এই খাতে কেন্দ্র বছরে সাত হাজার কোটি টাকা ধার্য করে। আর রাজ্য ধার্য করে ন’হাজার কোটি। কোভিডের পর থেকে গত দু’বছরে রেশন দেওয়ার জন্য আমরা ১৮ হাজার কোটি টাকার চাল কিনেছি। সেই সঙ্গে আরও ১২ হাজার কোটি টাকা আমরাই দিয়েছি। মোদি এক পয়সাও দেননি। আর প্রচারে এসে উনি ক্রমাগত মিথ্যা বলে চলেছেন, রেশন নাকি উনিই দেন!’ মিশ্র সম্প্রদায়ের বাস যেমন আরামবাগে, তেমনই পূর্ববঙ্গ থেকে আসা উদ্বাস্তু মানুষের একটা বড় অংশের বাস বলাগড়ে। রয়েছেন মতুয়া সম্প্রদায়ের লোকজনও। তাঁদের সবাইকে আশ্বস্ত করে মমতা বলেন, ‘এনআরসি-সিএএ করতে দেব না। কেউ ভয় পাবেন না। কারও অধিকার কাড়তে দেব না।’ এরপর তাঁর কটাক্ষ, ‘শুনলাম অসমের মুখ্যমন্ত্রী এখানে প্রচারে আসছেন। তাঁকে বলব, বাংলা থেকে শিক্ষা নিয়ে যান। মানুষকে ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখবেন না।’