গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
তারপরও কী পরিস্থিতি বদলাচ্ছে? স্থানীয়দের কথা শুনলে প্রশ্ন থেকেই যায়। যেমন অটোচালক বীরেন্দ্র। কুপ্পাম বিধানসভার রামাকুপ্পাম মণ্ডলের এই বাসিন্দা অটো চালান বিজয়ওয়াড়াতে। গ্রামে খুব বেশি যাওয়া হয় না। তবে এবারে যাবেন, ভোট দিতে। আর ভোট দেবেন জগনের দলকেই। মঙ্গলবার ধুলোর ঝড়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অটো চালাতে চালাতে নিজেই বললেন সেকথা। কেন ওয়াইএসআরসিপি? টিডিপি নয় কেন? উত্তর যেন তৈরি ছিল বীরেন্দ্রর। বললেন, ‘আমাদের ওখানে কঠিন লড়াই। কিন্তু জগনের দলের আর একটা সুযোগ প্রাপ্য, জানেন! ওরা সবার জন্য কাজ করছে। বিশেষ করে গরিবদের জন্য। গ্রামের বহু মানুষ টাকা পেয়েছেন। সেই টাকা কিন্তু জগন ধার করে এনে সবার মধ্যে ভাগ করে দিয়েছেন।’ নিজেই আলাপ করালেন আর এক অটোচালকের সঙ্গে। রাজারামও কুপ্পামের বাসিন্দা, তবে অন্য মণ্ডলের। জানালেন, ‘বাবা গ্রামে এখনও চাষবাস করেন। গত পাঁচ বছরে সরকারি প্রকল্পে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা সাহায্য পেয়েছেন।’ এই ভোটব্যাঙ্কই স্বপ্ন দেখাচ্ছে ওয়াইএসআর কংগ্রেসের তরুণ প্রার্থী কেআরজে ভরতকে।
উল্টো ছবিও আছে। গ্রামের অনেকে জগনের কাজে সন্তুষ্ট নন। ওয়াই এস রাজশেখর রেড্ডির কাজের সঙ্গে ছেলেকে তুলনা করছেন তাঁরা। তাঁদের মতে, আরও বেশি করার সুযোগ ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। তবে কিছু গ্রামে এখনও অটুট টিডিপি ভোটব্যাঙ্ক। সেই জোরেই ৭৪ বছরের চন্দ্রবাবুর চ্যালেঞ্জ, ‘লোকসভার ২৫ আসনের মধ্যে ২৪টাই পাবে টিডিপি, বিজেপি ও জনসেনা জোট। বিধানসভার ১৭৫টি আসনের মধ্যে তাঁদের জোট পাবে ১৬০টা। কারণ জগনের আমলে উন্নয়নের পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে। প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার ঢেউ উঠেছে রাজ্যজুড়ে।’ চন্দ্রবাবুর দাবিকে আংশিক মান্যতা দিচ্ছেন কংগ্রেস প্রার্থী এ গোবিন্দরাজুলু। জীবনের প্রথম বড় নির্বাচনই গুরুত্বপূর্ণ এই কেন্দ্রে। তবে কোনও টেনশন নেই তাঁর। সাফ জানিয়েছেন, টিডিপি আর জগনের লড়াই আগেও দেখেছে মানুষ। কাজের কাজ যে বিশেষ হয়নি, সেটা সকলে বুঝতে পেরেছেন। এবারে এই কেন্দ্রে কংগ্রেস ভালো ভোট পাবে। কংগ্রেস প্রার্থী নিজের মতো করে চেষ্টা করলেও এই কেন্দ্রে জয়ের দৌড়ে নেই হাত শিবির। লড়াইটা স্পষ্ট— জগনের উন্নয়ন বনাম চন্দ্রবাবুর ভরসা। শেষ পর্যন্ত নাইডুর দুর্গ অটুট থাকবে কি না, উত্তর দিতে তৈরি হচ্ছে কুপ্পাম।