গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
এবারের লোকসভা নির্বাচনে ভোটারের সংখ্যা ৯৬ কোটি ৮০ লক্ষেরও বেশি। নির্বাচন কমিশনের লক্ষ্য হল দেশের প্রতিটি ভোটারের কাছে পৌঁছানো। কমিশনের অঙ্গীকার— ভোটার যেখানেই থাকুন না কেন, তাঁর ভোটদান নিশ্চিত করা হবে। মহন্ত হরিদাস যাতে ভোট দিতে পারেন, তার জন্য প্রচুর কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। প্রায় বিপন্ন এশিয়াটিক সিংহের আবাসস্থল গুজরাতের গির অরণ্য। ভোট প্রক্রিয়ায় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের গির অরণ্যে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করতে হয়েছে। দু’দিন ধরে বাসে জঙ্গলের অসমান কাঁচা রাস্তা পেরিয়ে তাঁরা পৌঁছন। ভোট দেওয়ার পর মহন্ত হরিদাস বলেছেন, ‘মাত্র একজন ভোটারের জন্য ১০ জনের একটি দল জঙ্গল পেরিয়ে প্রত্যন্ত গ্রামে এসেছেন। এর থেকেই প্রমাণিত, কমিশনের কাছে প্রতিটি ভোট কতটা গুরুত্বপূর্ণ।’
মধ্যাহ্নভোজের আগেই বুথে পৌঁছে যান ৪২ বছরের মহন্ত হরিদাস। বানেজের বুথের কর্মীদের সহযোগিতায় গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করেন। বানেজ থেকে উনা শহরের দূরত্ব ৬৪ কিলোমিটার (৪০ মাইল)। প্রিসাইডিং অফিসার পাধিয়ার সুরসিংহ উনার বাসিন্দা। তিনি বলেছেন, ‘গণতন্ত্রে প্রত্যেক ভোটারের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেউ যাতে তাঁর ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত না হন, তা নিশ্চিত করাই আমাদের কর্তব্য। তার জন্য এত দুর্গম পথ পেরতে হলেও কোনও সমস্যা নেই।’ সুরসিংহ জানিয়েছেন, প্রায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় তাঁদের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বনবিভাগের অফিসে পৌঁছতে হয়। সেখানেই ভোটকেন্দ্রটি স্থাপন করা হয়েছিল। সেখানে মোবাইলের কোনও নেটওয়ার্ক ছিল না। তিনি জানিয়েছেন, তাঁদের রাত কাটাতে হয়েছে একটি আপাত পরিত্যক্ত বাড়িতে। সেখানে খাটের বন্দোবস্ত না থাকায় তাঁদের শুতে হয়েছে মেঝেতে। খাবার বলতে ছিল ডাল-রুটি। এমন একটি বুধে ১০০ শতাংশ ভোটদানের পর তাঁদের পরিশ্রম সার্থক হয়েছে বলেই মনে করছেন ভোটকর্মীরা।