বহু প্রচেষ্টার পর পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে শরিকি সহমত। ব্যবসা, পেশা ও ধর্মকর্মে শুভ সময়। ... বিশদ
এবারও ডিম্পলকে প্রার্থী করেছেন অখিলেশ। এখনদল তথা পরিবারের মর্যাদা রক্ষার গুরুদায়িত্ব তাঁর কাঁধে। অনেক চেষ্টা করেও বিজেপি এই কেন্দ্রে কখনও দাঁত ফোটাতে পারেনি। ২০২২ সালে উপ নির্বাচনে ‘বহু ডিম্পল’-কে হারাতে কার্যত আদাজল খেয়ে নেমেছিল বিজেপি। তবুও প্রায় তিন লক্ষ ভোটে হেরে যান বিজেপি প্রার্থী রঘুরাজ সিং সাক্য। মইনপুরী লোকসভার মধ্যে রয়েছে পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্র— মইনপুরী, ভোঙ্গান, কিসনি (এসসি), কারহাল এবং যশবন্তনগর। মইনপুরী এবং এটাওয়া জেলায় ছড়িয়ে রয়েছে এই লোকসভা কেন্দ্র। এরমধ্যে মইনপুরী এবং ভোঙ্গান রয়েছে বিজেপির দখলে। বাকি তিনটিই সমাজবাদী পার্টির একছত্র আধিপত্য। এবার মইনপুরী বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক জয়বীর সিং ঠাকুরকে লোকসভার টিকিট দিয়েছে বিজেপি। তাই খাতায় কলমে এই কেন্দ্রে সপা এগিয়ে থাকলেও ডিম্পলের জয় নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না। কারণ, বিধানসভার হিসেব অনেক ক্ষেত্রেই লোকসভার ক্ষেত্রে খাটে না। তাছাড়া, জয়বীরের লড়াকু মেজাজ ডিম্পলকে বেগ দিতে পারে। রাজ্যের পর্যটন এবং সংস্কৃতিমন্ত্রী হিসেবে একটা সুনাম কুড়িয়েছেন তিনি।
বিজেপি যতই ‘পরিবার বাদ’ নিয়ে সরব হোক না কেন, মইনপুরী কেন্দ্রে তানাশাহি ধরে রাখতে সেই ‘পরিবার বাদ’-এর উপরই ভরসা রাখছে সপা শিবির। আর সেই কারণেই ডিম্পলের হয়ে প্রচারে দেখা যাচ্ছে তাঁদের মেয়ে অদিতিকে। প্রত্যেক জনসভায় নিয়ম করে অদিতির উপস্থিতি সকলের নজর কাড়ছে। ২২ বছরের অদিতি গারওয়ালি হিন্দিতে সপার নির্বাচনী প্রতীক সাইকেলে ভোট দিতে বলছেন। শুধু অদিতিকে দেখতে ডিম্পলের প্রচার সভায় ভিড় হচ্ছে যথেষ্ট। মুলায়ম পরিবারের তৃতীয় প্রজন্ম অদিতিকে কাছে পাওয়ার জন্য মইনপুরীর মা-বোনেদের উৎসাহের কমতি নেই।
আর মুলায়ম পরিবারকে আক্রমণ করেই প্রচার সারছেন বিজেপি প্রার্থী জয়বীর। তিনি বলছেন, ‘মুলায়মের মৃত্যুর পর সহানুভূতির হাওয়ায় ভর করে উপ নির্বাচনে জেতেন ডিম্পল। এখন সেই পরিস্থিতি আর নেই। এবার আমি জিতব।’ তাঁর কথায়, ‘এলাকাবাসী এখন ডিম্পলকে জিজ্ঞাসা করছেন, মইনপুরীর জন্য আপনি কি করেছেন? ডিম্পল কোনও উত্তর দিতে পারছেন না।’ মইনপুরীতে বিজেপির ভরসার জায়গা ‘মোদি কি গ্যরান্টি’। তাতে ভর করেই এবার মইনপুরীর লোকসভার খাতা খুলবে গেরুয়া শিবির।