সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
তথ্যাভিজ্ঞ মহল।
রেল পরিষেবা নিয়ে এমনই যাত্রীদের অভিযোগের শেষ নেই। রেলযাত্রীদের একটি বড় অংশই ভোটার। ফলে নির্বাচনী আবহে ১০০ দিনের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে চর্চা করে মোদি সরকার আদতে রেলযাত্রীদের মন জয়ের মরিয়া চেষ্টা করছে কি না, তা নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছে। একইসঙ্গে প্রশ্ন উঠছে, মোদির বিভিন্ন প্রতিশ্রুতির মতো এগুলিও কি শেষমেশ খাতায়-কলমেই রয়ে যাবে?
মোদি সরকার আবারও কেন্দ্রে ক্ষমতায় এলে পরবর্তী ১০০ দিনের কর্মসূচি কী হবে, সেই ব্যাপারে ইতিপূর্বে বিভিন্ন জোন এবং ডিভিশনগুলির কাছে প্রস্তাব চেয়ে পাঠিয়েছিল রেল বোর্ড। সেগুলি খতিয়ে দেখেই এব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে খবর। রেল বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ফের মোদি সরকার কেন্দ্রে ক্ষমতায় এলে পরবর্তী ১০০ দিনের মধ্যে ‘প্রধানমন্ত্রী রেলযাত্রী বিমা যোজনা’ চালু করা হবে। এর মাধ্যমেই ট্রেনে উঠলেই সমস্ত রেলযাত্রী বিমার আওতায় আসবেন।
বর্তমানে টিকিট বুকিংয়ের সময় যাত্রীদের কাছে বিমার বিকল্প চাওয়া হয়। তাতে রাজি হলে ওই যাত্রীকে বাড়তি টাকাও দিতে হয়। নয়া ব্যবস্থায় যাত্রীদের টিকিট মূল্যের সঙ্গে অতিরিক্ত টাকা বাধ্যতামূলকভাবেই গুনতে হবে, নাকি এই পরিষেবা বিনামূল্যে মিলবে—১০০ দিনের অ্যাজেন্ডায় তা অবশ্য স্পষ্ট নয়। পাশাপাশি রেল বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে, মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার ১০০ দিনের মধ্যে চালু করা হবে ‘সুপার অ্যাপ’। এর মাধ্যমে একটিমাত্র অ্যাপের সাহায্যেই টিকিট বুকিং থেকে ট্রেনের লাইভ-ট্র্যাকিং বা ই-কেটারিং পরিষেবা মিলবে। মিলবে অন্যান্য পরিষেবাও। অর্থাৎ, আর আলাদা আলাদা অ্যাপ ব্যবহার করতে হবে না। প্রসঙ্গত, গত রবিবার লোকসভা নির্বাচনের ইস্তাহারেও রেল নিয়ে একাধিক আশ্বাসের কথা শুনিয়েছে বিজেপি।