সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
যখন যেমন নির্বাচন, তার আগে আগে সংশ্লিষ্ট লোকসভা কেন্দ্রগুলিতে সেইসব স্থানীয় ঘোষণাপত্র প্রকাশ করবে গেরুয়া শিবির। তা নিয়ে প্রচারের মূল দায়িত্ব থাকবে ওই লোকসভা আসনের বিজেপি প্রার্থীর উপরই। এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকে সহযোগিতা করবে তিন সদস্যর একটি দল। আগামী কাল, শুক্রবারই প্রথম দফার লোকসভা নির্বাচন। ভোট শুরুর মাত্র দু’দিন আগে কেন এমন উপলব্ধি গেরুয়া শিবিরের? আপাতত এপ্রশ্নকে কেন্দ্র করে তীব্র জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টিকে রীতিমতো ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। দলের অন্দরের খবর, সার্বিকভাবে একটি জাতীয় স্তরের ইস্তাহার প্রকাশের প্রত্যক্ষ প্রভাব আদৌ সমাজের সর্বস্তরে পৌঁছবে কি না, তা নিয়ে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব যথেষ্ট সন্দিহান। সেক্ষেত্রে রাজ্যে রাজ্যে একেবারে তৃণমূলস্তরের যাবতীয় ক্ষোভ-অসন্তোষকে মাথায় রেখে সেগুলি আলাদাভাবে ‘অ্যাড্রেস’ করা যায় কি না, প্রধানত তা নিয়েই ঘুঁটি সাজাতে মরিয়া গেরুয়া শিবির। রাজনৈতিক মহলের মতে, এতেই প্রমাণিত হচ্ছে যে, ভোট বৈতরণী পেরতে শুধুমাত্র ‘মোদি ম্যাজিক’-এর উপর আস্থা রাখতে পারছে না বিজেপি। সেই কারণেই স্থানীয় ইস্যুর উপর জোর দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।
তবে হাতে সময় কম বলে বেজায় চিন্তিত বিজেপি নেতৃত্ব। তাই মনে করা হচ্ছে, বিশেষ বিশেষ কিছু রাজ্য এবং লোকসভা আসনগুলিকে ‘ফোকাস’ করে স্থানীয় ‘ইস্তাহার’ প্রকাশের পথে হাঁটতে পারে গেরুয়া শিবির। যেমন, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা। কৃষক বিক্ষোভের কারণে এই দু’টি বিজেপি শাসিত রাজ্যে যথেষ্ট চাপে রয়েছে দল। ‘আব কি বার, চারশো পার’-এর পথে বিজেপির অন্যতম প্রধান অন্তরায় ১৬০টি চিহ্নিত ‘দুর্বল’ লোকসভা আসন। সেইসব আসনের জন্যও আলাদাভাবে স্থানীয় ঘোষণাপত্র প্রকাশের পথে হাঁটতে চাইছে গেরুয়া শিবির। বিষয়টি নিয়ে বিজেপি আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও মন্তব্য করেনি। তবে দলীয় সূত্রে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে, স্থানীয় স্তরকেও যে বিজেপি অবহেলা করে না, এর মাধ্যমে সেই বার্তাই পৌঁছবে।